অনেকের মাংস খেলে হয় অ্যালার্জি, ওষুধ ছাড়া এক মিনিটেই সমাধান
কিছু মানুষ আছেন যারা অ্যালার্জির জন্য মাংস খেতে পারেন না। তারা কী করবেন? আসলে অ্যালার্জির সমস্যা অনেক বিরক্তিকর একটি সমস্যা। যাদের এই সমস্যা রয়েছে তাদের যেসকল জিনিস এবং খাবারে অ্যালার্জি রয়েছে সেগুলোর সংস্পর্শে এলেই চুলকোনি, র্যাশ উঠা এবং চাকা মতো ফুলে উঠার সমস্যায় পড়তে দেখা যায় যা খুবই যন্ত্রণাদায়ক। তবে ঘরোয়া উপায়েও কিন্তু এই অ্যালার্জি নিরাময় সম্ভব এবং তা হবে একেবারেই পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াবিহীন ভাবে। রান্নাঘরের টুকিটাকি দিয়েই অনায়াসে অ্যালার্জি নিরাময়ের জাদুকরী পানীয় তৈরি করে নিতে পারেন। আর এই পানীয় তৈরি করতে সর্বোচ্চ সময় লাগবে মাত্র এক মিনিট। তার মানে মাত্র এক মিনিটেই আপনি অ্যালর্জির সমস্যা সমাধানের পথ খুঁজে পাচ্ছেন। চলুন তাহলে দেখে নেওয়া যাক পানীয়টি তৈরির পদ্ধতি এবং এর কার্যকারিতা।
যা যা লাগবে:
– ২ টি আপেল
– ২ টি গাজর
– ১ টি বড় বিটরুট
পদ্ধতি:
– উপকরণগুলো ব্লেন্ডারে বা জুসারে দিয়ে ব্লেন্ড করে রস ছেঁকে নিন অথবা জুসারে জুস তৈরি করে নিন।
– ব্যস, প্রতিদিন ১ গ্লাস পান করে নিন। দেখবেন অ্যালার্জির উদ্রেক অনেক কমে গিয়েছে।
কার্যকারণ ও উপকারিতা:
আপেলে রয়েছে ভিটামিন এ, বি এবং সি যা আমাদের দেহের পরিপাকতন্ত্রকে পরিষ্কার রাখতে সহায়তা করে এবং হজম সংক্রান্ত নানা সমস্যা দূরে রাখে। বিটে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, বিটেইন, এনজাইম এবং ভিটামিন এ যা গলব্লাডার ও লিভারের কর্মক্ষমতা বৃদ্ধিতে বিশেষভাবে সহায়ক। গাজরে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যা আমাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে এবং গাজরের অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল উপাদান লিভার এবং পরিপাকতন্ত্রকে রোগমুক্ত রাখতে সহায়তা করে। আর এই সকল পুষ্টিগুণ সম্পন্ন এই পানীয়টি আমাদের দেহের অভ্যন্তরীণ অঙ্গপ্রত্যঙ্গকে সুরক্ষা করে এবং ভেতর থেকে মজবুত করে। এতে করে দেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পায় যার কারণে অ্যালার্জির মতো ছোটখাটো সমস্যা আপনা থেকেই সেরে যেতে সাহায্য করে।
সতর্কতা: যদি দেহে অন্যান্য কোনো সমস্যার কারণে উপরের যেকোনো উপকরণ খাওয়া নিষেধ থাকে তাহলে এই পদ্ধতি অবলম্বনের আগে নিজের চিকিৎসকের পরামর্শ গ্রহন করুন।