খিদে নয়, কেন্দ্রের গোটা মুগ তো নবান্নের মসুরই মাথাব্যথা
কলকাতা টাইমস :
করোনার জেরে ঘরবন্দি মানুষ। বহু মানুষের কাছে খিদেটাই এখন সব থেকে বড় মাথাব্যথা। সরকারি রেশনে সেই খিদে মেটানোর একমাত্র পথ বহু মানুষের। আর সেই রেশন নিয়েই জোর দ্বন্দে কেন্দ্র-রাজ্য। রেশন নিয়ে কেন্দ্র রাজ্য দ্বন্দ্ব যেন মিটছেই না। শুরুটা হয়েছিল কেন্দ্রের পাঠানো চাল নিয়ে। রাজ্যের বিরুদ্ধে কেন্দ্রের পাঠানো চাল বিলি না করার অভিযোগ উঠেছিল। এরপর কার চাল ভাল তা নিয়ে দ্বন্দ্ব বাধে। এবার সেই দ্বন্দ্ব কিছুটা স্তিমিত। এবার দ্বন্দ্ব শুরু হয়েছে রেশনে ডাল বিলি নিয়ে। রেশনে কোন ডাল বিলি করা হবে, তা নিয়ে দ্বন্দ্ব এখন চরম পর্যায়ে।
প্রধানমন্ত্রী গরিব কল্যাণ অন্ন যোজনার অধীনে এপ্রিলের কোচার মসুর ডাল এখনও পড়ে রয়েছে। সেই ডাল জুনের রেশনের সঙ্গে বিলি করা যেতে পারে বলে মনে করছেন খাদ্য ও সরবরাহ দফতরের কর্তাদের একাংশ। কিন্তু এরপর কোন ডাল দেওয়া হবে তা নিয়েই বিরোধ শুরু হয়েছে কেন্দ্র ও রাজ্যের মধ্যে।
কেন্দ্র সরকার ইতিমধ্যেই চিঠি দিয়ে রাজ্য সরকারকে জানিয়েছে, মুগ কিংবা মসুর ডাল রেশনে দেওয়া সম্ভব নয়। বদলে গোটা মুগ কিংবা ছোলার ডাল দেওয়া যেতে পারে। পশ্চিমবঙ্গের জন্য মাসে বরাদ্দ করা ডালের পরিমাণ ছিল ১৪৪৫০ মেট্রিক টন। কিন্তু ৮ হাজার মেট্রিক টন মসুর ডাল সরবরাহ করার পরেই নাফেড জানিয়েছেন, এই ডাল আর দিতে পারছে না তারা।
কেন্দ্রের তরফে গোটা মুগ, ছোলা কিংবা ছোলার ডাল দেওয়ার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। কিন্তু নবান্ন জানিয়েছে, এরাজ্যের মানুষ গোটা মুগ খায় না। গোটা মুগ ভেঙে ডাল করে দেওয়ার প্রস্তাব দিয়েছে রাজ্য। কিন্তু কেন্দ্রের তরফে জানানো হয়েছে, বাংলায় মুগ ডাল ভাঙানোর পর্যাপ্ত কল নেই। কিন্তু নবান্ন মসুর ডালেই অনড় রয়েছে বলে সূত্রের খবর। রাজ্য যে গোটা মুগ নেবে না, তা কেন্দ্রকে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন খাদ্যমন্ত্রী।