November 26, 2024     Select Language
৭কাহন Editor Choice Bengali KT Popular

এই ৯ রকমের মধ্যে কোন রকমটা আপনার 

[kodex_post_like_buttons]

কলকাতা টাইমস :

‘প্রেম যে কাঁঠালের আঠা, লাগলে পড়ে ছাড়ে না।’ সত্যি প্রেমের অনুভূতি এক অদ্ভুত অনুভূতি। প্রেম রোগ বড়ই ভয়াবহ হয়, তাই প্রেমে পড়লেও জ্বালা আবার এর স্বাদ না নিলেও যেন মন ভরে না। তবে হরেক রকমের প্রেম বর্তমান আমাদের এই দুনিয়ায়। প্রেমে পড়ার সঠিক কোনও বয়সই হয় না। তাই যখন ইচ্ছা তখনই পড়া যেতেই পারে।

জীবনের বিভিন্ন পর্যায় এসে প্রেমের বিভিন্ন সংজ্ঞার মানে বোঝা যায়। কিন্তু লুকিয়ে প্রেম করার মজাটাই একটু অন্যরকম হয়ে থাকে। সাইকোলজিস্ট রবার্ট স্টেনবার্গ ভালবাসাকে তিনিটি উপাদানের মধ্যে ভাগ করেছেন। সেই উপাদানটিকে একটি ত্রিভুজের মাধ্যমে প্রতিস্থাপন করেছিলেন। তিনটি উপাদান হল- আবেগ(রোম্যান্টিক আকর্ষণ), অন্তরঙ্গতা (গভীর অনুভূতি) এবং সহানুভূতি (শুধুমাত্র সম্পর্কক রক্ষা করাই নয়, তাকে সসম্মানে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া)।

এই উপাদানগুলিকে একসঙ্গে ৭ ভাগে ভাগ করেছেন। যার ফলে আমরা ৭ রকমের ভালবাসার সংজ্ঞা পাই। তাহলে এক ঝলকে দেখে নিন আপনার ভালবাসার নাম কী…

১. রোমান্টিক প্রেম : আবেগ এবং অন্ত্রঙ্গতা যখন কোনও ভালবাসার মধ্যে থাকে তখন তাকে রোম্যান্টিক প্রেম বলা হয়ে থাকে। যেই মানুষকে হয়ত আপনি কোনও প্রতিশ্রুতি দেননি। কিন্তু তা সত্ত্বেও একটি মধুর সম্পর্কের মধ্যে জড়িয়ে পড়েছেন আপনি। এই সম্পর্ক সব সময় বেশি দূর না চললেও একটা মধুর অনুভূতি দিয়ে যেতে পারে আপনাকে।

২. মোহ : আপনি একটা মানুষকে রোজ দেখছনে বেশ ভালোও লাগছে আপনার। তার সঙ্গে সময় কাটাতে চাইছেন। কিন্তু এটা শুধুমাত্রই মোহ। যখন আপনার এই মোহ কেটে যাবে তখন আপনার ভালোলাগাও দূরে চলে যাবে। এখানে শুধুমাত্রই আবেগ কাজ করে।আবেগ ছাড়া আর কিছুই বর্তমান থাকে না।

৩. অনবদ্য প্রেম : অন্তরঙ্গতা, আবেগ এবং প্রতিশ্রুতি এই তিনটি উপাদান যখন ভালবাসার মধ্যে মিলে মিশে যায় তখন একটা অনবদ্য প্রেম পাই আমরা। এই প্রেমের ক্ষেত্রে অন্তরঙ্গতা যে রকম থাকে ঠিক সেই রকমই থাকে একে ওপরের প্রতি বিশ্বাস, ভরসা। যেই প্রেমিক যুগলের মধ্যে দেওয়াল তোলার ক্ষমতা কারোর থাকে না। এই প্রেমই হয় সত্যিকারের প্রেম। এই প্রেম সত্যি সত্যি কাঁঠালের আঠা, যাকে সরষের তেল দিয়েও ছাড়ানো সম্ভব নয়।

৪. প্রতিশ্রুতি : অনেক সময় দেখতে পাওয়া যায় আপনি হয়ত কাউকে প্রতিশ্রুতি দিয়ে বসে আছেন। কিন্তু সেই মানুষটির প্রতি কোনও রকম আকর্ষণ অনুভবই করছেন না। কিন্তু তাকে ছেড়ে দিতেও মন চাইছে না। তখন আপনি খালি প্রেমের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছেন। অনেক সময় বহু বছর প্রেম করার পরেও অনেকেই বিয়ে করেন কেবলমাত্র একে ওপরের কাছে প্রতিশ্রুতি বদ্ধ থাকেন বলে।

৫. মোবাইল বা ইন্টারনেটে প্রেম : কোনো বন্ধুর কাছ থেকে চেয়ে নিয়ে বা ফোনবুক থেকে চুরি করে, পাড়ার ফ্লেক্সির দোকান থেকে সংগ্রহ করে, অন্য কোন সুত্র থেকে নাস্বার পেয়ে বা নিতান্তই মনের মাধুরী মিশিয়ে কোন নাম্বার বানিয়ে তাতে ফোন করে কোন মেয়ের সাথে সংযোগ স্থাপনের মাধ্যমে এই ধরনের প্রেমের সূত্রপাত।

ইন্টারনেটে চ্যাটিংয়ে বা সোসিয়্যাল মিডিয়া সাইটে (যেমন – ফেইসবুক) দু’জনের পরিচয়ের মধ্য দিয়ে এ ধরনের প্রেমের সূত্রপাত। অনেক ক্ষেত্রে ছেলে বা মেয়ের একজন বিদেশে অবস্থান করে। এভাবে পরিচয়ের পর ছেলে মেয়ে পরস্পরের সাথে সামনাসামনি দেখা করে। এ ধরনের প্রেমে উভয়পক্ষেরই ফাঁকি দেয়ার সুযোগ থাকে অনেক। এ ধরনের প্রেমের সফলতার হার খুবই কম। আসলে অধিকাংশ ক্ষেত্রেই সফলতা এ ধরনের প্রেমের মূল উদ্দেশ্য নয়।

৬. ঘনিষ্ট প্রেম : যখন অন্তরঙ্গতা এবং প্রতিশ্রুতি দুটোই সম্পর্কের মধ্যে থাকে তখন তাকে ঘনিষ্ট প্রেম বলা হয়ে থাকে। এই প্রেম সাধারণত কোনও বন্ধুর প্রতি অথবা যে কোনও মানুষের প্রতি হয় থাকে। যাকে আপনি অনেক দিন ধরেই চেনেন, কিন্তু তার সঙ্গে সময় কাটাতে কাটাতে কখন এতোটা ঘনিষ্ট হয়ে গেছেন সেটাও বুঝতে পারেননি। এই প্রেম টেঁকার সম্ভাবনা থাকে অনেক বেশি।

৭. ভালোলাগা : এমন মানুষ যার সঙ্গে আপনি সমস্ত কথা শেয়ার করতে চান। সমস্ত মুহূর্ত এক সঙ্গে কাটাতে চান। তাকে আপনার শুধুই ভালোলাগে। এই অনুভূতিকে কখনওই ভালবাসা বলে ভেবে বসবেন না। তিনি আপনার খুব ভালো বন্ধু হতে পারে, কিন্তু কাছের মানুষ নয়।

৮. অর্থহীণ প্রেম : দূর থেকে দেখার পর অনেক মানুষকেই বেশ ভালো লাগে আমাদের। আমরা সেই মানুষটির পছন্দকে নিজের পছন্দ হিসেবে মেনে নিতে থাকি। হয়ত অনেক সময় সেই ভালোলাগা বিয়ে পর্যন্ত গড়িয়ে যেতে পারে। কিন্তু তারপর সমস্ত ভালোলাগার অবসান ঘটে যায়। কারণ মানুষকে কাছ থেকে না দেখে দূর থেকে দেখেই তাকে আমরা বিচার করতে থাকি। যার ফলে ভবিষ্যতে অনেক বড় ধোকা খেতে হয় আমাদের।

৯. প্রথম দেখায় প্রেম : প্রথম দেখাতেই এই ধরনের প্রেমের সূত্রপাত। এ ধরনের প্রেম অনেক ক্ষেত্রেই একতরফা হয়। ছেলেদের ক্ষেত্রে এ ধরনের প্রেম বেশি দেখা যায়। প্রথম দেখাটা হতে পারে কোন বিবাহ অনুষ্ঠানে, শপিং মল, কলেজ, ভার্সিটি, কোচিং সেন্টারে, স্যারের বাসায়, বন্ধু আড্ডায়। এমনকি বন্ধুর মোবাইলে ছবি দেখেও এ ধরনের প্রেমের শুরু হতে পারে। এ ধরনের প্রেমে প্রায় অবধারিতভাবেই তৃতীয় পক্ষের (বন্ধুকূল বা বড়ভাই) সাহায্যের দরকার পড়ে। এ ধরনের প্রেমের সূত্রপাতে রূপ সৌন্দর্য্য ও দৈহিক সৌন্দর্য্যের ভুমিকাই বেশি।

Related Posts

Leave a Reply