বুড়িয়ে যাওয়ার ভয়ে মৃত্যু এগিয়ে আসে
বয়স বাড়ার ভয় মানুষের আয়ু কমিয়ে আনতে পারে বলে এক গবেষণায় জানিয়েছে ইউএন হেলথ এজেন্সি। বয়স বৃদ্ধি নিয়ে মানুষের চিন্তাধারা নিয়ে গোটা বিশ্বের মানুষে অতীত রেকর্ড বিশ্লেষণ করে এ তথ্য জানায় জাতিসংঘ।
এ ধরনের জরিপ এটাই প্রথম পরিচালিত হলো। গবেষণায় দেখা গেছে, বিশ্বের ৬০ শতাংশ মানুষ বুড়িয়ে যাওয়ার বিষয়টিকে নেতিবাচকভাবে দেখেন। তাদের ভয়, বয়স বাড়ার পর কেউ তাদের সম্মান করবে না।
জরিপে ৫৭টি দেশের ১৮-৫৭ বছর বয়সী ৮৩ হাজার মানুষের মতামত দেখা হয়। তাতে পরিষ্কার হয়, উন্নত দেশে বুড়ো মানুষের প্রতি মানুষের ধারণা অনেক বেশি নেতিবাচক।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার এজিং অ্যান্ড লাইফ কোর্সের প্রধান জন বেয়ার্ড জানান, বয়স বৃদ্ধির ভয় সব মানুষের মধ্যে অতি স্বাভাবিক বিষয় বলে প্রতীয়মান হয়েছে। তাদের প্রতি বাজে ধারণা তরুণদের মাঝেও ছড়িয়ে পড়ে। মানুষ যে তার বুড়ো বয়স নিয়ে ভয়ে ভয়ে থাকেন সে বিষয়ে অনেক প্রমাণ মিলেছে। এ গবেষণায় দেখা গেছে, যারা বুড়িয়ে যাওয়ার ভয়ে থাকেন তাদের মৃত্যু অন্যদের চেয়ে গড়ে সাড়ে ৭ বছর এগিয়ে আসে।
এ ধরনের ভীতি বিশেষ পরিস্থিতিতে আসে। যেমন- ৫০ বছর বয়সী কেউ নতুন চাকরি খুঁজছেন বা ৬৫ বছর বয়সীরা অর্থনৈতিক কষ্টে রয়েছেন। এ কারণে জাতিসংঘ মনে করে, বয়স্কদের পেনশন বা অবসরের বিষয়ে আরো বেশি ইতিবাচক পদক্ষেপ গ্রহণ জরুরি।
এ ক্ষেত্রে ঠিক কত বয়স থেকে বলা যায় যে বয়স বেড়েছে? এ বিষয়টি বিবেচনায় না এনে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা দেশভেদে মানুষের জীবনের নানা চাওয়া-পাওয়ার কথা বিবেচনা করেছে।
রেয়ার্ড বলেন, যাদের বয়স ৪১ বছর হয়েছে তারা ভাবতেই পারেন বয়স বেড়েছে। আবার যাদের বয়স ৮১, তারা ৪১ বছর বয়সীদের কাছে বয়স্ক ব্যক্তি। আসলে বয়স্কদের সংজ্ঞা নির্ধারণে আরো বেশি শিথিল পদ্ধতি গ্রহণ করা উচিত।
বয়স বৃদ্ধি নিয়ে মানুষের মানসিক অবস্থা বিচারে এই প্রথম গবেষণা করলো জাতিসংঘ। বয়সের সঙ্গে কিভাবে মনের অবস্থা বদলায় তা দেখা হয়েছে।