বৃষ্টি মানেই ডেঙ্গু, বাঁচতে হলে শুধু প্রচুর জল নয় এই খাবার অবশ্যই
কলকাতা টাইমস :
কামান দিয়েও যখন মশা নিধন করা যাচ্ছে না তখন নিজেদেরকেই উদ্যোগী হতে হবে; সতর্ক হতে হবে। মশার আবাসস্থল ধ্বংস করতে হবে। কারণ ডেঙ্গু হলে কী পরিণতি হতে পারে সেটা আমরা সবাই জানি। প্রয়োজন ডেঙ্গু জ্বরের মারাত্মক উপসর্গগুলি সম্পর্কে সচেতন থাকা। তাহলেই প্রাণহানির আশঙ্কা শূন্যে নামিয়ে আনা যেতে পারে।
ডেঙ্গু হলে রক্তে অনুচক্রিকার সংখ্যা কমে যায়। সেই সঙ্গেই ডায়রিয়ার কারণে ডিহাইড্রেশন হয়। এই রোগে শরীরে প্রচুর জলের প্রয়োজন। ডেঙ্গু হলে তাই শিশু, প্রাপ্তবয়স্ক সকলেরই ডায়েটে প্রচুর পরিমাণ জল বা তরল খাবার রাখা প্রয়োজন। জেনে নিন কী কী তরল খাবার রাখবেন খাদ্যতালিকায় :
১. শুধু যে ডায়রিয়া হলে ডিহাইড্রেশন হয় তা নয়, ডেঙ্গু জ্বর হলেও ডিহাইড্রেশনের মাত্রা বেড়ে যায়। তাই জ্বর হলে পর্যাপ্ত জল পান করতেই হবে।
২. বমি বমি ভাব থাকলে বাচ্চারা জল খেতে চায় না। সে ক্ষেত্রে ওদের অল্প অল্প করে বারে বারে জল দিতে হবে।
৩. পানির পাশাপাশি লেবুর শরবত, টাটকা ফলের রস, স্যুপ, হাল্কা লিকার চা, ডাবের জল সহ পর্যাপ্ত লিকুইড ডায়েট প্রয়োজন।
৪. বাড়িতে রান্না করা টাটকা ও হালকা সব রকমের খাবারই খাওয়া যায়।
৫. প্রত্যেকটা ছোট-বড় মিলের সঙ্গে জল বা শরবত খেলে ভালো হয়।
৬. জল পানের ব্যাপারে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার একটা নির্দেশিকা আছে। শরীরের প্রতিকেজি ওজন পিছু একজন ডেঙ্গু আক্রান্তের প্রত্যেক ঘণ্টায় ৭ মিলিলিটার লিকুইড গ্রহণ করা উচিত।
৭. এই নির্দেশিকা অনুযায়ী একজন ২০ কেজি ওজনের বাচ্চার প্রত্যেক ঘণ্টায় ন্যূনতম ১৪০ মিলিলিটার জল বা জলীয় খাবার খেতে হবে।
৮. ৫০ কেজি ওজনের প্রাপ্তবয়স্কের মানুষের ৩৫০ মিলিলিটার জল, শরবত বা স্যুপ খাওয়া জরুরি।