তরমুজ ঘরেই ভালো থাকবে ৬ মাস, যদি করেন …
সঠিক তরমুজ বাছুন
তরমুজ সংরক্ষণের জন্য এটি সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় যে সঠিক তরমুজ বেছে নিতে হবে।
– কোনো ফাটা কিংবা টোল খাওয়া তরমুজ নেওয়া যাবে না। একেবারে নিখুঁত তরমুজ বেছে নিতে হবে।
– খুব বড় কিংবা ছোট নয় মাঝারি মাপের তরমুজ নিতে হবে। এ ক্ষেত্রে চার কেজি ওজন হলো আদর্শ।
– পুরু খোসার তরমুজ নিন। কিছু তরমুজের জাত রয়েছে সহজে নষ্ট হয় না, সে ধরনের জাত সংরক্ষণ সুবিধাজনক।
– এটি যেন নরম না হয় কিংবা অতিরিক্ত পাকা না হয়। টাটকা তরমুজ নিন।
মোমের আস্তর দিন
তরমুজ সংরক্ষণের জন্য কোনো রাসায়নিক প্রয়োজন হবে না। এ ক্ষেত্রে যা প্রয়োজন হবে তা হলো কয়েকটি মোমবাতি। এগুলো দিয়ে যেভাবে সংরক্ষণ করবেন:
– সঠিক মাপের তরমুজ ভালোভাবে পরিষ্কার করে শুকনো কাপড় দিয়ে ভালোভাবে মুছে নিন। এতে যেন কোনোভাবেই জল কিংবা ময়লা লেগে না থাকে।
– একটি পাত্রে মোম গলিয়ে তা তরমুজের ওপর ভালোভাবে আস্তর দিয়ে দিন। কোনো স্থানের মোম ফেটে গেলে সেখানে আবার মোমের আস্তর দিন যেন সেখান দিয়ে কোনোভাবেই বাতাস প্রবেশ করতে না পারে।
– মোমের আস্তর যেন আধ সেন্টিমিটার পুরু হয়।
– মোম ঠাণ্ডা করার জন্য সময় দিন।
সংরক্ষণ করবেন যেভাবে
– মোমের আস্তর দেওয়া তরমুজ সাবধানে রাখতে হবে যেন আঘাত লেগে মোম খুলে না যায়।
– একটি বাক্সের ভেতর খড় কিংবা খবরের কাগজ রাখুন। তার ভেতর তরমুজটি রেখে তা ঠাণ্ডা ও শুষ্ক কোনো স্থানে সংরক্ষণ করুন।
– কিছুদিন পর পর তরমুজ পরীক্ষা করুন যে তার মোমে কোনো দাগ দেখা যায় কি না।
খাওয়ার জন্য
এভাবে প্রায় ছয় মাস পর্যন্ত তরমুজ সংরক্ষণ করা সম্ভব। তবে সংরক্ষণের জন্য তাপমাত্রা থাকতে হবে কম। গরম আবহাওয়ায় তা নষ্ট হয়ে যেতে পারে। খাওয়ার আগে তরমুজের বাইরের মোমগুলো ছাড়িয়ে নিয়ে তারপর ভালোভাবে পরিষ্কার করে নেবেন।