লকডাউনের পর বেড়াতে যাবেন ভাবছেন ? তাহলে আগে জানুন ৮ বিষয়
ভ্রমণে আনন্দময় অভিজ্ঞতা অর্জন করতে কে না চায়। কিন্তু ইচ্ছে থাকলেও উপায় জানা থাকে না সবার। এই যেমন দেখুন এখন যা পরিস্থিতি তাতে বেড়াতে যাওয়া তো দূর ঘর থেকে বেরোতেই ভয়। তবে যাই হোক লকডাউন কাটলেই ভাবছেন তো বেড়াতে যাবেন? তাই আপনাকে জানিয়ে রাখি ভ্রমণে আনন্দের কয়েকটি উপায়। যা আপনাকে সুস্থও রাখবে।
১. স্বাস্থ্যের কথা আগে ভাবুন : বেড়াতে যাওয়ার আগে স্বাস্থ্যের কথা আগে ভাবুন। ব্যাগে সবার আগে হ্যান্ড স্যানিটাইজার, এন্টিবায়োটিক, কিছু দরকারি ওষুধ, বেশ কিছু তোয়ালে বা বড় রুমাল ভরুন। যাতে ভ্রমণ কালে স্বাস্থা বিধি মানাতে পারেন।
২. সঙ্গীতে হারিয়ে যান
সঙ্গীতের শক্তিকে হেলাফেলা করবেন না। আপনি যে পরিবেশেই যান না কেন, সে পরিবেশের সঙ্গে মানিয়ে যায় এমন সঙ্গীত রয়েছে। আর ভ্রমণের আগে সঙ্গে নিয়ে নিন আপনার প্রিয় সেই সঙ্গীত। এ সঙ্গীতগুলো আপনাকে দারুণ একটি সময় কাটাতে সহায়তা করবে। আর সঙ্গীতের সঙ্গে নাচকেও রাখবেন প্রিয় তালিকায়।
৩. অন্যদের সঙ্গে নিবিড় যোগাযোগ
যেখানেই ভ্রমণ করতে যান না কেন, সেখানকার স্থানীয় মানুষদের থেকে কোনোক্রমেই বিচ্ছিন্ন হওয়া যাবে না। প্রয়োজনে বিভিন্ন বয়সের মানুষের সঙ্গে যোগাযোগ স্থাপন করুন। তাদের ভালো লাগা ও মন্দ লাগার সঙ্গে নিজেকে পরিচিত করান। নিজের নিরাপত্তা বজায় রেখে যথাসম্ভব বন্ধুত্ব গড়ে তুলুন।
৪. অন্যকে সহায়তা করুন
মানুষকে সহায়তা করার মাধ্যমে যে আনন্দ পাওয়া যায় তা অন্য কিছুতে নাও পাওয়া যেতে পারে। তাই ভ্রমণের সময় শুধু নিজের আনন্দ নয়, অন্যের আনন্দের কথাও মাথায় রাখুন। তাদের প্রয়োজনে কিছু কাজ করুন। এতে তাদের সঙ্গে আপনার যে সম্পর্ক গড়ে উঠবে তাও ফেলনা নয়।
ভ্রমণের ফলে মানুষ অজানাকে জানতে পারে। আপনি যদি জ্ঞান অর্জন করতে চান তাহলে ভ্রমণ করুন। আর ভ্রমণের মাধ্যমে জ্ঞান অর্জনের জন্য আপনার সে জ্ঞান আহরণের ইচ্ছাটিকে জাগ্রত রাখতে হবে। এজন্য অজানাকে জানতে আগ্রহ থাকতে হবে। নানা স্থানের নানা বিষয় সম্পর্কে জানার জন্য নিজের ঘেরাটোপ থেকে বেরিয়ে আসতে হবে।
৬. সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করুন
ভ্রমণে নানা স্থানের নানা দৃশ্যের মাঝে আপনাকে দেখা যাবে। তবে এসব প্রত্যেক দৃশ্যের সঙ্গে সঠিকভাবে সংযোগ স্থাপন করা উচিত। অন্যথায় ভ্রমণের আসল মজা পাবেন না। আপনি যে অভিজ্ঞতাগুলো সঞ্চয় করলেন তা লিপিবদ্ধ করে রাখুন। এতে ভবিষ্যতে এসব বিষয় নিয়ে লেখালেখি করা ও অন্যদের জানাতে সুবিধা হবে।
বিভিন্ন অঞ্চলে রয়েছে বৈচিত্রময় নানা ধরনের খাবার। ভ্রমণকালে আপনি যে খাবারগুলো খাচ্ছেন শুধু সেগুলোর অভিজ্ঞতাও কম নয়। এ খাবারগুলোর স্বাদ ও গন্ধ মনে রাখুন। উপভোগ করুন খাবারের সঙ্গে সংস্কৃতিও। এগুলো আপনার অভিজ্ঞতার ভাণ্ডারকে সমৃদ্ধ করবে।
৮. নিজের মাধ্যমেই শুরু করুন
ভ্রমণে আপনার নিজের নানা বিষয়কে গুরুত্ব দিন। অন্যের নয়, আপনার যে বিষয়গুলো ভালো লাগে তাই করুন। এতে আপনার অভিজ্ঞতা সঞ্চয়কে গুরুত্ব দিন। এর ফলে অর্জিত অভিজ্ঞতাগুলো ভালো কাজে লাগানো সম্ভব হবে।