নরেন্দ্র মোদিকে হত্যার ছক ! তামিলনাড়ু থেকে গ্রেফতার ষড়যন্ত্রকারী
নিউজ ডেস্কঃ
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে হত্যার ‘হুমকি’ দেওয়ায় তামিলনাড়ু থেকে এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। মহম্মদ রফিক (৫৩) নামে ওই ব্যক্তির বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রকাশ নামে এক ট্রাক কনট্রাক্টরের সাথে ফোনালাপের সময় তিনি মোদিকে হত্যার হুমকি দেন। ফোনালাপের অডিও ক্লিপটি ইতিমধ্যেই ভাইরাল হয়ে গেছে। রফিকের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ১৫৩এ (ধর্মের ভিত্তিতে বিভিন্ন গোষ্ঠীর মধ্যে শত্রুতা তৈরি করা) এবং ৫০৬(২) (অপরাধমূলক ভয় দেখানো) ধারায় মামলা করা হয়েছে। রফিককে ৭ মে পর্যন্ত বিচারবিভাগীয় হেফাজতে রাখার নির্দেশ দিয়েছে আদালত।
রফিকের বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগের মামলা রয়েছে। যার মধ্যে অন্যতম ১৯৯৮ সালে তামিলনাড়ুর কোয়েম্বাটোর সিরিয়াল বিস্ফোরণের মামলা। ওই বিস্ফোরণে ৫৮ জন নিহত হয়েছিল। ওই মামলায় দোষী সাব্যস্ত হওয়ার পর সাজাও ভোগ করেন রফিক। ২০০৭ সালে কারাগার থেকে মুক্ত হলেও পুলিশও তার ওপর সর্বদা নজরদারি চালাতো।
৮ মিনিটের টেলিফোনিক অডিও ক্লিপে শোনা যায়, ট্রাক কনট্রাক্টর প্রকাশের সাথে কথোপকথনের সময় মোদিকে হত্যার হুমকি দেন রফিক। তাকে বলতে শোনা যায়, আমরা প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে হত্যার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। ১৯৯৮ সালে বিজেপি নেতা লালকৃষ্ণ আদবানীর কোয়েম্বাটোর সফরেও আমরা বোমা পুঁতে রেখেছিলাম। আমার বিরুদ্ধে অনেক অভিযোগ রয়েছে এবং প্রায় শতাধিক গাড়ি ধ্বংস করেছি।
জানা যায়, প্রকাশের একটি ট্রাক জোর করে আটকে রেখেছিলেন রফিক। প্রকাশ তা ফেরত চাইতে গেলে রফিক ৫ লাখ টাকা দাবি করে। এই সময় প্রকাশ নরেন্দ্র মোদির নাম নিলে রফিক সাফ জানিয়ে দেয়, আপনি বুঝতে পারছেন না যে, আমি কাউকেই ভয় পাই না। এরপর প্রকাশ বলেন, তার অর্থ আপনি নরেন্দ্র মোদিকেও ভয় পান না? জবাবে রফিক জানান, হ্যাঁ, ঠিক তাই, আমরা মোদিকে হত্যারও পরিকল্পনা করেছি। রফিক আরও জানায় যে বিভিন্ন অপরাধের মামলায় জড়িয়ে তামিলনাড়ুর প্রায় সব কারাগারেই তার ঘোরা হয়ে গেছে।
তবে প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান, প্রকাশকে ভয় দেখাতেই রফিক মোদিকে হত্যার কথা বলেছিলেন। মোদিকে হত্যার কোনো ষড়যন্ত্র তার ছিল না। পুলিশি জেরায় ওই অডিও ক্লিপটি তার নিজের বলেও জানিয়েছে রফিক। রফিক আরও জানায়, প্রকাশ তাকে উত্তপ্ত করছিল বলেই সেই ওই ধরনের মন্তব্য করেছিল। তদন্তকারী কর্মকর্তারা বিষয়টি খতিয়ে দেখছেন বলে জানিয়েছেন কোয়েম্বাটোর পুলিশ কমিশনার কে.পেরিয়াইয়া।