পাখিদের সঙ্গে রীতিমতন কথা বলেন এই জন্ম বধির ‘পাখি মানুষ’ !
নিউজ ডেস্কঃ
ছোটবেলা থেকেই কানে শোনেন না তিনি। কিন্তু থেমে থাকেননি। রাজালি বিন মোহামান হাবিদিন পাখিদের সঙ্গে অনন্য সখ্য গড়ে তুলেছেন। সিঙ্গাপুরের জুরং বার্ড পার্কের অন্য সব কর্মী তাকে ‘বার্ড হুইসপারার’ নামেই ডাকেন।
শিশু বয়সে এক বিরল রজার কারণে ৮০ শতাংশ শ্রবণশক্তি খোয়া যায় তার। আজ থেকে প্রায় ২০ বছর আগে পাখিদের এই পার্কে কাজ শুরু করেন তিনি। ধীরে ধীরে তার কর্ম দক্ষতার গুণে ডেপুটি হেড এভিয়ান কিপার পদে আসীন হয়েছেন তিনি। পার্কার পাখিদের সঙ্গে তার ভীষণ ভাব। অনেকেই বিশ্বাস করেন, পাখিদের সঙ্গে তিনি যোগাযোগ স্থাপন করতে পারেন। আওয়াজ, মুখ এবং দেহের নানা ভঙ্গিমায় তিনি পাখিদের সঙ্গে কথা বলেন। প্রত্যেক পাখির আচরণ এবং অভ্যাস তার মুখস্থ। তিনিই কেবল জানেন পাখিদের ভাষা এবং তাদের সঙ্গে কীভাবে কথা বলতে হয়।
রবার্ট রেডফোর্ড অভিনীত হলিউড মুভি ‘দ্য হর্স হুইসপারার’ এর আদলে সহকর্মীরা সবাই তার নাম দিয়েছেন ‘বার্ড হুইসপারার’। তারা বলেন, তিনি বিস্ময়করভাবে পাখিদের সঙ্গে মিশে গেছেন। এখানে আমাদের কেউ তেমনটা পারে না। অ্যাসিস্টেন্ট কিউরেটর অ্যাঞ্জেলিন লিম বলেন, কোনো পাখির দিকে একবার তাকিয়েই তিনি বুঝতে পারেন ওটা ঠিক আছে কি না। নিজের এই মন্ত্র তিনি ছড়িয়ে দিচ্ছেন সহকর্মীদের মাঝে। তিনি কোন আওয়াজ এবং ভঙ্গীতে কী বোঝান সে শিক্ষা দেন মাঝে মধ্যেই। পাখিদের সঙ্গে সহজেই ভাষা বিনিময় করেন তিনি। কিন্তু সহকর্মীদের লিপ রিডিং করে তারপর জবাব দিতে হয়। পার্কটি পাখিদের বিশাল এক অভয়ারণ্য। এখানে ৫ হাজার পাখি রয়েছে। প্যারোট থেকে শুরু করে হর্নবিল সবই আছে।