এখানে মানুষ বিড়ালের পোষ্য !
কলকাতা টাইমস :
এক বিখ্যাত বাঙালি লেখিকা বলতেন বিড়ালকে মানুষ পোষে না। বরং বিড়ালই মানুষ পোষে। তাঁর কথাই সত্যি হয়েছে জাপানের এক দ্বীপে। সেখানে মানুষের থেকে বিড়ালের সংখ্যা বেশি। গোটা দ্বীপে রাজত্ব চালিয়ে বেড়ায় মজন্তালি মার্জার বাহিনী।
দ্বীপের পোশাকি নাম আওশিমা। সেটা অবশ্য অনেকদিন চাপা পড়ে গেছে ইন্টারনেটে ‘ক্যাট আইল্যান্ড’ নামের আড়ালে। এখন এই দ্বীপে মানুষের সংখ্যা নগণ্য। পথে ঘাটে সর্বত্র দাপিয়ে বেড়ায় মার্জারকুল।
১৯৪৫ সালে দ্বীপের জনসংখ্যা ছিল ৯০০। ইঁদুরের হাত থেকে বাঁচতে মানুষ বিড়াল পোষা শুরু করে। বিড়ালও নিজের মতো বংশবিস্তার করে চলে। কিন্তু একদিন দ্বীপে মানুষের সংখ্যা কমতে থাকে। আজ দ্বীপে বাস করে কিছু অবসরপ্রাপ্ত বৃদ্ধ বৃদ্ধা। যাঁরা দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পরে এখান থেকে অন্য কোথাও মাথা গোঁজার ঠাইঁ পাননি।
পোষ্যের থেকে পালকের সংখ্যা কমে যাওয়ায় পোষ্যরা বাঁধনহীন। কেউ নজরদারি করে না বিড়ালের জন্ম নিয়ন্ত্রণে। ফলে যা হওয়ার সেটাই হয়েছে। দ্বীপের সর্বত্র শুধু শয়ে শয়ে বিড়াল। পরিত্যক্ত ঘর বাড়ি স্কুল‚ সব জায়গায় তাদের অবাধ গতি এবং বিচরণ।
মৎস্যজীবীদের দ্বীপ হওয়ায় বিড়ালদের খাবারের অভাব হয় না। তবে একটা সদর্থক দিকও আছে। বিড়ালদের কল্যাণে দ্বীপে প্রচুর পর্যটক আগমন বেড়েছে।