গরু ছাড়া রুখতে বাড়ি-বাড়ি গোবর কিনবে সরকার
কলকাতা টাইমস :
গোবর কিনে স্বনির্ভরতার মুখ দেখতে চাইছে সরকার। গবাদিপশুকে কৃষকদের কাছে অর্থনৈতিকভাবে লাভবান করে তুলতে এবার গোবর কেনার কথা ঘোষণা করল ছত্তিশগড় রাজ্য সরকার। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী ভূপেশ বাঘেল বৃহস্পতিবার নতুন এই প্রকল্পের কথা ঘোষণা করেন। তিনি জানান, ‘হরেলি’ (স্থানীয় উত্সব) থেকেই এই প্রকল্প চালু হয়ে যাবে।’
গোবর বিক্রি কত করে পাবেন কৃষকরা? এ বিষয়ে ছত্তিশগড়ের মুখ্যমন্ত্রী জানান, আগামী সাত-আট দিনের মধ্যেই গোবরের দাম নির্ধারিত করা হবে। এ জন্য পাঁচ সদস্যের একটি মন্ত্রী কমিটি গঠন হয়েছে। কৃষি ও পানিসম্পদ মন্ত্রী রবীন্দ্র চৌবেকে এই কমিটির চেয়ারম্যান করা হয়েছে।
ছত্তিসগড় সরকার ইতিমধ্যেই নার্ভা, গরুভা, ঘুরুয়া, বদি প্রকল্পের উল্লেখ করে বলেন, এই সমস্ত প্রকল্পের আওতায় ইতিমধ্যে ২,২০০ গ্রামে গোশালা তৈরি করে দেওয়া হয়েছে। আগামী দু-তিন মাসের মধ্যে আরও ৫ হাজার গোশালা সরকার তৈরি করে দেবে বলে তিনি দাবি করেছেন।
এমন একটি পরিকল্পনার কারণ হিসেবে ভূপেশ বাঘেল জানান, গরু ছেড়ে রাখার একটি ধারা লোকজনের মধ্যে রয়েছে। গবাদিপশু রাস্তাঘাটে অবাধে বিচরণ করায় অনেক বার দুর্ঘটনা ঘটেছে। যার জেরে প্রাণহানিও হয়েছে। আবার ছাড়া গরু অন্যের ফসল খেয়ে নষ্ট করেছে, এমনও হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রীর কথায়, গরু ছেড়ে রাখার এই যে ধারা চলে আসছে, তা বন্ধ করতেই এই পদক্ষেপ।
বাঘেল আরও জানান, গরু দুধ দেওয়া বন্ধ করলে, অনেকেই সেই গরুকে ঘরে রাখেন না। মালিকানাহীন, পরিত্যক্ত হয়ে রাস্তায় ঘুরে বেড়ায়। মুখ্যমন্ত্রীর ধারণা, সরকারি উদ্যোগে গোবর কেনা শুরু হলে আর্থিক উপার্জনের কথা ভেবে কেউ আর গরু ছেড়ে রাখবেন না। শুধু কৃষক বলে নয়, বাড়িতে গরু রয়েছে, এমন যে কারও থেকে সরকার গোবর কিনবে।
রাস্তাঘাটে গরুর অবাধ বিচরণ বন্ধ করতে নগর প্রশাসন বিভাগকে নির্দেশ দিয়েছেন ছত্তিশগড়ের মুখ্যমন্ত্রী। বাড়ি বাড়ি গিয়ে গোবর কেনা থেকে ভার্মি কম্পোস্ট তৈরির দায়িত্বও নগর প্রশাসন বিভাগকে দিয়েছেন তিনি।