লিপস্টিক কীভাবে ক্ষতি করে জানলে চমকে উঠবেন
লিপস্টিক ব্যাপারটা মহিলাদের অতি প্রিয়। প্রায় সব মহিলার কাছেই ৪-৫ রকমের লিপস্টিকের শেড থাকে। দিনের বেলায় অফিসে হোক বা কলেজে, লিপস্টিকে রাঙেন ঠোঁট। কেউ কেউ আবার রাতে ঠোঁটে লিপস্টিক পরা অবস্থাতেই শুয়ে পড়েন। কিন্তু আপনি কি জানেন, লিপস্টিক শরীরের কতরকম ক্ষতি করে?
লিপস্টিক তৈরি অন্যতম উপাদান সীসা (Lead)। আগের বছর ম্যাগি ও বেশকিছু প্রসেসড্ খাবারে সীসা পাওয়া গেছিল বলে দেশজুড়ে হইচই পড়ে গেছিল। রাতারাতি ম্যাগির গায়ে নিষিদ্ধ তকমা বসেছিল। শুনতে অবাক লাগলেও এটাই সত্যি যে লিপস্টিকে তার চেয়ে অনেক পরিমাণ সীসা থাকে, যা ঠোঁটে লাগালে ক্ষতি। লিপস্টিক রাঙানো ঠোঁট জিভ দিয়ে চাটলে সেই লিপস্টিক পেটে চলে যায়। বলতে পারেন পেটে যায় সীসা, যা কিনা আমাদের স্নায়ু ও হরমোন নিঃসরণে ক্ষতি করে। এছাড়াও, লিপস্টিক অনেকধরনের অ্যালার্জি সৃষ্টি করে ত্বকে। ঠোঁট কালো করে দেয়। রোমকূপ বন্ধ করে দেয়। শুষ্ক করে দেয় ঠোঁট। ক্যান্সার হওয়ার কারণও হতে পারে। লিপস্টিক এমন কিছু উপাদান দিয়ে তৈরি হয়, যার দ্বারা ক্যান্সার হওয়ার সম্ভাবনা অনেকগুণ বেড়ে যায়।
কী ধরনের লিপস্টিক এড়িয়ে চলা উচিত?
লিপস্টিক ক্ষতিকারক উপাদানে তৈরি, যেমন সীসা, ক্যাডমিয়াম, পারদ ও অ্যান্টিমনি। এছাড়াও লিপস্টিকে থাকে ফর্ম্যালডিহাইড, কার্সিনোজেন, মিনারেল অয়েল ও পেট্রোকেমিক্যালস্। এইসব উপাদান রোমকূপ বন্ধ করে দেয়। কার্সিনোজেনের মতো প্যারাবেন প্রিজ়ারভেটিভ হিসেবে ব্যবহার করা হয় বলে শরীরে ক্ষতি করে।
তা হলে কি আর লিপস্টিক পরবেন না?
আলবাত পরবেন। একশোবার পরবেন। তারজন্য লিপস্টিক কেনার সময় ভালো করে উপাদান তালিকা মিলিয়ে নিন। যেমন, হার্বাল লিপস্টিক বেছে নিতে পারেন। ঠোঁটের যত্ন নেওয়া শুরু করুন। ঠোঁটে লালচেভাবে আনতে ঘি মাখুন। ঠোঁট সুন্দর করুন। সিগারেটের মতো নেশা ঠোঁট কালো করে দেয়। ফলে, লিপস্টিক পরে ব্যাপারটাকে ম্যানেজ করা ছাড়া আর উপায় থাকে না। না হলে বাড়িতেই তৈরি করুন মনের মতো লিপস্টিক।