কলকাতা টাইমস :
মাঝরাত্রে বাড়িটি থেকে ভেসে আসছিল একটানা কান্নার আওয়াজ। গলা শুনে মনে হয় শিশুর কান্না। উদ্বিগ্ন প্রতিবেশীরা খবর দেন পুলিশে। পুলিশ অফিসাররা ঘটনাস্থলে পৌঁছে যা দেখেন তাতে চোখ কপালে ওঠেন তাঁদের। তাঁরা আবিষ্কার করেন, ২ বছরের একটি শিশুকে কে যেন বাড়িটির পিছনে অঙ্গনে শিকল দিয়ে বেঁধে রেখেছে। আর ৩ বছরের বাচ্চা একটি মেয়েকে দরজার সঙ্গে বেঁধে রাখা হয়েছে একটি কুকুরের গলার চেন দিয়ে।
আমেরিকার সান আন্তোনিওর ঘটনা। যে বাড়িটিকে কেন্দ্র করে এতকিছু সেই বাড়ির ভিতরে পুলিশের জন্য অপেক্ষা করছিল আরও বিস্ময়। বাড়ির ভিতর ঢুকে তাঁরা দেখতে পান, ভিতরে রয়েছে আরও ছ’টি শিশু। তাদের শারীরিক অবস্থা খুবই খারাপ। অপুষ্টিতে শিশুগুলি ধুঁকছে। বাড়ির ভিতরে দেখা মেলে শিশুগুলির মায়েরও। পোরুচা ফিলিপস নামের বছর ৩৪-এর সেই মহিলাকে পুলিশ গ্রেফতার করেছে। তাঁর বিরুদ্ধে শিশুনির্যাতন ও শিশুদের প্রতি অবহেলামূলক আচরণের অভিযোগ রয়েছে।
বাডির বাইরে শিকল বাঁধা অবস্থায় যে দুটি শিশুকে পাওয়া গেছে তারা ফিলিপসের সন্তান নয়, তবে তারা ভাইবোন। সম্ভবত ক্রেশ চালাতেন ফিলিপস। শিশু দুটিকে সেই কারণেই ফিলিপসের কাছে রেখে গিয়েছিলেন তাদের বাবা-মা। সেই বাবা-মার সন্ধান চালাচ্ছে পুলিশ। তবে ওই শিশুদুটির এই দুরবস্থার জন্য ফিলিপসই দায়ী বলে ধারণা পুলিশের। একটি শিশুর হাতও ভেভেছে। সেটাও ফিলিপসেরই কীর্তি বলে মনে করছে পুলিশ। মোট যে ৮টি শিশুকে উদ্ধার করেছে পুলিশ তাদের বয়স ১০ মাস থেকে ১০ বছর। কোনও সুস্থ মানুষের পক্ষে এত ছোট শিশুর ওপর নির্যাতন চালানো সম্ভব নয় এমনটাই বলছেন মনোবিদরা। ফিলিপসের মানসিক সুস্থতা নিয়ে তাঁরা সন্দিহান।