ভুবন ভোলানো এই হাসিটি আপনার কত ক্ষতি করতে পারে?
কলকাতা টাইমস :
নিতান্ত রামগরুড়ের ছানা না হলে হাসতে আপনার কোনও বারণ নেই। যখন-তখন, যেখানে-সেখানে মন দিয়ে প্রাণ খুলে হাসুন না! কেউ বারণ করবে না। বরং অভিজ্ঞরা সুস্থ থাকতে হাসির পরামর্শই দিয়ে থাকেন। শরীর-স্বাস্থ্য বজায় রাখতে অনেকে তো আবার সাতসকালে নিয়ম করে হাসেন। কিন্তু সবকিছুরই তো একটা ভাল-মন্দ বলে কথা রয়েছে! তা সে হাসিই হোক না কেন। জানেন, প্রাণ খোলা এই হাসির জন্যই আপনাকে বয়সের তুলনায় বেশি বড় লাগতে পারে।
সাইকোনমিক বুলেটিন নামের গবেষণা পত্রে অন্তত এমনটাই দাবি করেছেন কয়েকজন গবেষক। যাঁরা বলেছেন, হাসির চোটেই মানুষের বয়স দেখার ভিত্তিতে অনেকটাই বেড়ে যায়। একটি মানুষ যখন হাসতে শুরু করেন তখন তাঁর মুখের পেশি প্রভাবিত হয়। এর ফলে চোখের নিচের অংশ কিংবা ঠোঁটের দুই পাশের অংশে ভাঁজ পড়ে। সে কারণেই মানুষের মুখের আদল বয়সের তুলনায় অনেকটাই বেশি মনে হয়।
এর কোনও সুদূরপ্রসারী প্রভাব রয়েছে কি? মুখের পেশিতে কোনও অন্য প্রভাব ফেলছে কি? এই প্রশ্নের উত্তর অবশ্য এখনও মেলেনি। তবে গবেষকদের ধারনা, মানুষের মধ্যে যখন আবেগের সৃষ্টি হয় তখন তা মুখমণ্ডলে ধরা পড়ে। আর তাই মানুষের বয়সের বহিরাগত ছাপকেও নিয়ন্ত্রণ করে। যদিও এই কোনও অনুমানই এখনও প্রমাণিত নয়। তাই মন খুলে এখনও আপনি হাসতেই পারেন।