September 29, 2024     Select Language
৭কাহন Editor Choice Bengali KT Popular খেলা

ক্রিকেট আর তাবলিগ-জামাত কেন ঋণী মহিলাদের কাছে!

[kodex_post_like_buttons]

কলকাতা টাইমস :

ক্রিকেট খেলা আর তাবলিগ জামাত দুটি ভিন্ন প্রসঙ্গ। তবে এই দুটি বিষয়ের সঙ্গে জড়িয়ে আছে নারীর অবদান। আসুন দেখে নেওয়া যাক-

ক্রিকেট

ক্রিকেট খেলার শুরুর দিকে বোলাররা এখনকার মতো হাত ওপর দিকে ঘুরিয়ে বোলিং করতো না। তারা বোলিং করতো হাত নিচে দিয়ে ছুড়ে (অনেকটা বেইজ বলের মতো)।

একদিন জন নামের এক ব্রিটিশ ক্রিকেটার ব্যাটিং প্রাকটিসের জন্যে তার ছোট বোন ক্রিস্টিনা উইলস বোলিং করতে বললো। বোনটি হাত দিয়ে ছুড়ে বোলিং করতে করতে হঠাৎ করে একবার হাত ওপর দিকে ঘুড়িয়ে বোলিং করলো। নতুন এ বোলিং স্টাইলে ক্রিকেটার জন হকচকিয়ে বোল্ড আউট হয়ে গেল। তবে একটু থেমে সে তার বোনকে বললো, “তুমি আবার এভাবে বোলিং কর তো।” হাত ঘুরিয়ে নয়অ স্টাইলে বোলিংয়ের এই বিষয়টি তার ভাল লেগে যায়।

সেসময় আজকের দুনিয়ার নিয়মের (ওভার আর্ম) নতুন বোলিং স্টাইল প্রতিষ্ঠিত করতে অনেক সমালোচনা ও গালাগালির মুখোমুখি হতে হয়েছিল ইংল্যান্ড ও সাসেক্সে খেলা ক্রিকেটারকে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত তার প্রবর্তিত স্টাইলটি-ই টিকে যায়। তবে আজকের এই বোলিং স্টাইলটি কিন্তু তার ছোট বোন সেই ছোট্ট মেয়ে ক্রিস্টিনার হাত ধরেই এসেছে। এটা উনবিংশ শতাব্দীর গোড়ার দিককার কথা। ধারণা করা হয়, পরিধেয় স্কার্টের সঙ্গে যাতে হাত জাড়িয়ে না যায়- এই চিন্তায় ক্রিস্টিনা নিয়মের বাইরে গিয়ে ওভারআর্ম বল করেছিলেন।

তবে এই ঘটনার বিশ্বস্ততা নিয়ে সন্দেহ রয়েছে অনেকের।

এখন নারীদের ক্রিকেট নিয়ে বেশ উৎসাহ-উদ্দীপনা দেখা গেলেও অনেকেই জানেন না যে নারীরা ক্রিকেট অনেক আগে থেকেই খেলে আসছে।  অনুসন্ধানে দেখা যায়, লাল বলের বদলে আজকালকার ওয়ানডে আর টি-টোয়েন্টিতে সাদা বলে ক্রিকেট খেলার প্রচলন নয়া বিষয় হলেও মেয়েরা সাদা বলে ক্রিকেট অনেক আগেই খেলে রেখেছে। ১৭৪৫ সালে ব্রামলি  ও হাম্বলটনের দুটি নারীদলের ক্রিকেট ম্যাচের কথা জানা যায় নথিপত্রে। ওই ম্যাচে উভয় দলে ১১ জন করে খেলোয়াড় ছিল যাদের পরনে ছিল সম্পূর্ণ সাদা পোশাক। এরপর ১৭৬৮ সালে সাসেক্সে অনুষ্ঠিত নারীদের এক ক্রিকেট ম্যাচে ৩০০০ দর্শক উপস্থিত ছিল।

তাবলিগ-জামাত
তাবলিগ-জামাত প্রতিষ্ঠার সময় এর অবকাঠামো নিয়ে বাংলাদেশ-ভারত-পাকিস্তানের আলেমরা একমত হলেও একটি জায়গায় তারা আটকে গেলেন। সেটা হচ্ছে, নামাজের সময় তাবলিগে অংশ নেওয়া লোকজন তাদের ব্যাগগুলো কোথায় রাখবে?

এর সমাধানে কেউ বললো এক জায়গায় জড়ো করে সব ব্যাগ রাখা হবে। প্রশ্ন আসলো- কিন্তু তাতে তো নিজের ব্যাগ চেনাই কঠিন হয়ে যাবে দরকারের সময়।

কেউ বললো- তাহলে কেউ একজনকে ব্যাগের হেফাজতে দায়িত্ব দেয়া হবে। এর পিঠে প্রশ্ন আসলো, তাহলে তো হেফাজতকারির তাবলিগি কাজ আদায় হবে না!

সবাই চিন্তায় পড়ে গেল, কী করা যায়… কী করা যায়!

কোনোভাবেই কোনো কুল কিনারা না পেয়ে সবাইকে অনুরোধ করা হল, সবাই যেনো বিষয়টা নিয়ে একটু ভাবেন।

অপরদিকে, ওই দলের এক কৃষককে কয়েকদিন ধরে চিন্তিত দেখে তার স্ত্রী জিজ্ঞেস করলেন, “কয়েকদিন ধরে কী নিয়ে এতো চিন্তিত?”

কৃষক তাবলিগিদের সমস্যাটি স্ত্রীকে বললেন। স্ত্রী শুনে সঙ্গে সঙ্গেই বললেন, “আরে এটা তো খুবই সহজ। নামাজের কাতারগুলোর প্রস্থ কিছুটা বাড়িয়ে দিলেই তো হয়। তাহলে নামাজও পড়া হবে আবার যে যার নিজের ব্যাগের দায়িত্বও রাখতে পারবে।” অর্থাৎ ব্যাগগুলো যার যার সামনের দিকে রেখে নামাজ পড়া হবে।

সমাধান মিলে গেল।

তাবলিগি-জামাতের লোকজন এখনো সেই কৃষকের স্ত্রীর পন্থাটিই মেনে চলছেন।

Related Posts

Leave a Reply