November 23, 2024     Select Language
Editor Choice Bengali KT Popular শারীরিক

পায়ে মেদই যখন দীর্ঘায়ুর রহস্য!

[kodex_post_like_buttons]

কলকাতা টাইমস  :

ম্প্রতি এক গবেষণায় প্রমাণিত হয়েছে যে, রোগা, স্কিনি পায়ের অধিকারীদের টাইপ টু ডায়াবেটিস, কার্ডিওভাসকুলার সমস্যায় আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি অনেক বেশি। ছিপছিপে শরীর ও বডি মাস ইনডেক্স নর্ম্যাল হলেও পায়ে মেদ না থাকলে টাইপ টু ডায়াবেটিস, হার্টের সমস্যার ঝুঁকি অন্তত তিন গুণ বেড়ে যায় বলে দাবি গবেষকদের।

এর কারণ হিসেবে জার্মানির টুবিনজেন বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক নর্বার্ট স্টেফান জানান, যাদের শরীর রোগা, তারা মেটাবলিক্যালি আনহেলদি হন। আবার অন্য দিকে অল্প মোটা যারা, তাদের বিএমআই (বডি মাস ইনডেক্স) বেশি হওয়া সত্ত্বেও মেটাবলিক্যালি তারা অনেক বেশি সুস্থ। ফলে তাদের সাধারণত দীর্ঘায়ু হওয়ার সম্ভাবনা অনেকটাই বেশি।

মোট ৯৮১ জন অংশগ্রহণকারীকে নিয়ে করা এই গবেষণায় দেখা গেছে যে, একেবারে মেদহীন শরীর এবং পায়ের অধিকারীরা একটু মোটাদের তুলনায় ১৮ শতাংশ ‘মেটাবলিক্যালি আনহেলদি’। ম্যাগনেটিক ইমেজিং ও ম্যাগনেটিক রেজোন্যান্স স্পেকট্রোস্কোপির সাহায্যে বডি ফ্যাট মাস, ফ্যাট ডিস্ট্রিবিউশন ও ডিপোজিশন অব ফ্যাট ইন দ্য লিভার প্যারামিটারের সাহায্যে ঝুঁকির পরিমাণ নির্ধারণ দেখা গেছে, রোগাদের ক্ষেত্রে দুর্বল মেটাবলিজম ও মোটাদের ক্ষেত্রে ভূঁড়ি, নন-অ্যালকোহলিক ফ্যাটি লিভারের সমস্যা হার্ট ও টাইপ-টু ডায়াবেটিসের প্রধান কারণ।

ইনসুলিন সেন্সিটিভিটি, ইনসুলিন সিক্রেশন, ক্যারোটিভ ভেসেলের ঘনত্ব ও ফিটনেসও গবেষণার প্যারামিটার হিসেবে পরীক্ষা করে দেখা গেছে রোগ কিন্তু নরম্যাল ফেনোটাইপদের মধ্যে লিপোডিসট্রফির মতো বিরল রোগে আক্রান্ত হওয়ার প্রবণতা থাকে। এই রোগ সাধারণত জিনগত এবং এ ক্ষেত্রে শরীরে পর্যাপ্ত ফ্যাট সঞ্চিত হতে পারে না। সেল মেটাবলিজম জার্নালে এই গবেষণার ফল প্রকাশিত হয়েছে।

Related Posts

Leave a Reply