লকডাউনে অন্যের খিদে মেটাতে গিয়ে ‘জঙ্গির খাবার’ ৫ ত্রাণ কর্মী
কলকাতা টাইমস :
লকডাউনের সময় গত জুন মাসে প্রত্যন্ত অঞ্চলে ত্রাণ পৌঁছতে গিয়ে নিখোঁজ হয়ে যান পাঁচ ত্রাণ কর্মী। গতকাল বুধবার (২২ জুলাই) ফের তাদের খোঁজ মিলল একটি ভিডিও ক্লিপিংয়ে।
সেখানে দেখা যাচ্ছে তাদের হাঁটু মুড়ে বসিয়ে লাল কাপড়ে চোখ বেঁধে গুলি করে হত্যা করছে জঙ্গিরা। ঘটনাটি ঘটেছে নাইজেরিয়ায়। কেউ এখনও দায় না স্বীকার করলেও প্রশাসনের প্রাথমিক অনুমান, বড় অঙ্কের ক্ষতিপূরণের উদ্দেশ্যেই জঙ্গি সংগঠন বোকো হারামই এই কাজ করেছে।
গত জুনে ত্রাণ সংস্থার ওই পাঁচ কর্মী নাইজেরিয়ার উত্তরপূর্বাংশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে লকডাউনের সময় মানুষদের কাছে জল, খাবার এবং ওষুধপত্র পৌঁছতে গিয়েছিলেন। তারপর থেকেই নিখোঁজ ছিলেন লুকা ফিলিবাস, আবদুল রহমান বুলামা এবং তাদের তিন সহকর্মী। তারা সবাই নাইজেরিয়ার স্টেট ইমার্জেন্সি ম্যানেজমেন্ট এজেন্সি এবং আন্তর্জাতিক চারটি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের হয়ে কাজ করতে।
স্থানীয় সংবাদ মাধ্যমগুলিতে সম্প্রচারিত ওই ভিডিও ফুটেজে পাঁচ কর্মীর পিছনে সামরিক পোশাকে পাঁচ অপহরণকারীকে মুখে রুমাল বাঁধা অবস্থায় দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা যাচ্ছে। একটি অপরিচিত কণ্ঠস্বরকে হাউসা ভাষায় বলতে শোনা গিয়েছে, ‘এটা সেই সব বিশ্বাসঘাতকদেরকে বার্তা যারা তোমাদের প্রতারণা করছে আর আমাদের মানুষদের অবিশ্বাসীতে রূপান্তরিত করছে।’
পুরো ঘটনায় কড়া নিন্দা প্রকাশ করে নাইজেরিয়ার প্রেসিডেন্ট মোহম্মাদু বুহারির দপ্তরের তরফে মৃতদের পরিবারের প্রতি শোকজ্ঞাপন করা হয়েছে।
প্রেসিডেন্টের মুখপাত্র গরবা শেহু বলেছেন, উত্তরপূর্ব নাইজেরিয়া থেকে বোকো হারামকে নিশ্চিহ্ন করতে যাবতীয় পদক্ষেপ করা এবং দোষীদের কড়া শাস্তির আশ্বাস দিয়েছেন প্রেসিডেন্ট। কিন্তু ওই হৃদয় বিদারক ঘটনার ছবি সামনে আসার পর সরকারি আশ্বাসে মোটেও আশ্বস্ত হতে পারছেন না বোকো হারাম অধ্যুষিত এলাকা বোর্নো।
উল্লেখ্য, ওই পাঁচজনকে মোনডোঙ্গো থেকে মাইদুগুরি যাওয়ার প্রধান সড়কের উপর থেকে অপহরণ করা হয়েছিল। ওই সড়কেই গত ডিসেম্বরেও আরও চার ত্রাণ কর্মীকে হত্যা করেছিল জঙ্গিরা।