ভুলেও এই ৫ কথা শিশুদের বলা উচিত নয়, তাহলেই …
কলকাতা টাইমস :
শিশুর লালন-পালনের ক্ষেত্রে ধৈর্যই হলো মূল চাবিকাঠি। তবে কখনো কখনো সামাজিক প্রত্যাশা, অফিস এবং বাড়ির বিভিন্ন কাজের চাপে মা-বাবা ধৈর্যহারা হয়ে পড়েন। হয়তো এমন পরিস্থিতিতে মা-বাবা সন্তানকে এমনকিছু কথা বলে থাকেন যা আসলে বলা উচিত নয়। আপনার কাছে হয়তো সেসব কথা স্বাভাবিক মনে হতে পারে, তবে শিশুর মনে তা বিরূপ প্রভাব ফেলে।
তাড়াতাড়ি!
বেশিরভাগ শিশু যখন স্কুলের প্রস্তুতি নেওয়ার সময় বা যখন তারা কিছু করার জন্য চাপে থাকে তখন খুব ধীর হয়। তবে আপনার শিশুকে তাড়া দিলে তার কাজ আরও ধীর হয়ে যাবে। কারণ আপনি তাড়া দিলে তারা আরও বেশি চাপ অনুভব করবে। এক্ষেত্রে আপনি যদি তাদের উদ্দেশে চিৎকার-চেচামেচি করতে থাকেন, তবে তারা নিজেদের অপরাধী ভাববে এবং দ্রুত কাজগুলো করতে পারবে না। আপনি বরং খেলার ছলে শিশুর কাজের গতি বাড়িয়ে তুলতে পারেন। হাঁটার ক্ষেত্রে এভাবে বলতে পারেন, ‘দেখি তো কে আগে দরজায় পৌঁছায়’! বা খাওয়ার ক্ষেত্রে, ‘কে আগে খাবার শেষ করতে পারে’! কাজের ক্ষেত্রেও একইভাবে উৎসাহ দিতে পারেন। শিশু খেলার ছলেই কাজগুলো করতে শিখে যাবে।
আমাকে একা থাকতে দাও
প্রত্যেকেরই অন্তত কিছু সময় একা থাকার প্রয়োজন রয়েছে। সন্তানের মা-বাবা হওয়ার মানে সারাদিন তাদের পেছনে ব্যয় করা নয়, বরং নিজেকে ভালো রাখতে নিজের মতো কিছু সময়ও কাটানো উচিত। তবে শিশুকে কখনোই সরাসরি ‘আমাকে একা থাকতে দাও’ বলবেন না। এতে তারা মনে করবে, তারা আপনার জন্য বিরক্তিকর। এও ধরে নেবে, আপনার সঙ্গে কথা বলা তাদের জন্য অদরকারি।
আপনার যদি সত্যিই একা থাকার প্রয়োজন পড়ে তবে অন্যভাবে বলার চেষ্টা করতে পারেন। যেমন, আপনি তাদের বলতে পারেন যে, আপনার কিছু করার দরকার আছে এবং এটি শেষ করার পরে তাদের সাথে খেলতে পারবেন। কিছুটা সময় একা কাটানোর পরে আপনি যখন ভালো বোধ করবেন, তারপর আপনার দেয়া প্রতিশ্রুতি পালন করুন।
শিশুর লালন-পালনের ক্ষেত্রে ধৈর্যই হলো মূল চাবিকাঠি। তবে কখনো কখনো সামাজিক প্রত্যাশা, অফিস এবং বাড়ির বিভিন্ন কাজের চাপে মা-বাবা ধৈর্যহারা হয়ে পড়েন। হয়তো এমন পরিস্থিতিতে মা-বাবা সন্তানকে এমনকিছু কথা বলে থাকেন যা আসলে বলা উচিত নয়। আপনার কাছে হয়তো সেসব কথা স্বাভাবিক মনে হতে পারে, তবে শিশুর মনে তা বিরূপ প্রভাব ফেলে। টাইমস অব ইন্ডিয়া এমন পাঁচটি বিষয় প্রকাশ করেছে, যা শিশুকে কখনোই বলা উচিত নয়-
তাড়াতাড়ি!
বেশিরভাগ শিশু যখন স্কুলের প্রস্তুতি নেয়ার সময় বা যখন তারা কিছু করার জন্য চাপে থাকে তখন খুব ধীর হয়। তবে আপনার শিশুকে তাড়া দিলে তার কাজ আরও ধীর হয়ে যাবে। কারণ আপনি তাড়া দিলে তারা আরও বেশি চাপ অনুভব করবে। এক্ষেত্রে আপনি যদি তাদের উদ্দেশে চিৎকার-চেচামেচি করতে থাকেন, তবে তারা নিজেদের অপরাধী ভাববে এবং দ্রুত কাজগুলো করতে পারবে না। আপনি বরং খেলার ছলে শিশুর কাজের গতি বাড়িয়ে তুলতে পারেন। হাঁটার ক্ষেত্রে এভাবে বলতে পারেন, ‘দেখি তো কে আগে দরজায় পৌঁছায়’! বা খাওয়ার ক্ষেত্রে, ‘কে আগে খাবার শেষ করতে পারে’! কাজের ক্ষেত্রেও একইভাবে উৎসাহ দিতে পারেন। শিশু খেলার ছলেই কাজগুলো করতে শিখে যাবে।
আমাকে একা থাকতে দাও
প্রত্যেকেরই অন্তত কিছু সময় একা থাকার প্রয়োজন রয়েছে। সন্তানের মা-বাবা হওয়ার মানে সারাদিন তাদের পেছনে ব্যয় করা নয়, বরং নিজেকে ভালো রাখতে নিজের মতো কিছু সময়ও কাটানো উচিত। তবে শিশুকে কখনোই সরাসরি ‘আমাকে একা থাকতে দাও’ বলবেন না। এতে তারা মনে করবে, তারা আপনার জন্য বিরক্তিকর। এও ধরে নেবে, আপনার সঙ্গে কথা বলা তাদের জন্য অদরকারি।
আপনার যদি সত্যিই একা থাকার প্রয়োজন পড়ে তবে অন্যভাবে বলার চেষ্টা করতে পারেন। যেমন, আপনি তাদের বলতে পারেন যে, আপনার কিছু করার দরকার আছে এবং এটি শেষ করার পরে তাদের সাথে খেলতে পারবেন। কিছুটা সময় একা কাটানোর পরে আপনি যখন ভালো বোধ করবেন, তারপর আপনার দেয়া প্রতিশ্রুতি পালন করুন।
তুমি কেন তোমার ভাই-বোন অথবা বন্ধুর মতো হতে পারো না!
প্রায় প্রত্যেকেই তাদের শিশুকে অন্যান্য শিশুর সঙ্গে তুলনা করেন। যখন আপনি শিশুকে অন্য কারও মতো হতে বলেন, এটি তাকে অস্বাস্থ্যকর প্রতিযোগিতার দিকে উৎসাহিত করে। এই জাতীয় কথা বলে আপনি শিশুকে বোঝান যে, তাদের অন্য কারও মতো হওয়াটাই আপনার আকাঙ্ক্ষা। কিন্তু এটি তাদের জন্য ক্ষতির কারণ হতে পারে।
শিশুকে অন্যের সঙ্গে তুলনা করার পরিবর্তে, তার প্রশংসা করুন। তাকে আরও ভালো করতে বা আপনি যা চান তা করতে উৎসাহ দিন। শিশুর ভেতরে ইতিবাচক শক্তি বাড়লে সে এমনিতেই কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্যে পৌঁছে যাবে।
কান্না বন্ধ করো!
শিশু কোনো বিষয়ে কষ্ট পেলে বা আঘাত লাগলে আপনি কি কখনো তাদের কান্না করে হালকা হতে বলেছেন? না-কি শিশু কান্না করলেও তা বন্ধ করার জন্য ধমক দিয়েছেন! তাদের অনুভূতির প্রকাশ করতে না দেয়ার অধিকার আপনার নেই। শিশু কোনো বিষয়ে আঘাত পেয়ে কান্না করলে তাকে কাঁদতে দিন। এতে মন হালকা হবে। আর না হলে শিশুর ভেতরে কান্না জমে বিস্ফোরক আকার ধারণ করবে।আমি যখন তোমার বয়স ছিলাম তখন অনেককিছু করেছি!
একেক শিশুর বিকাশ একেকভাবে ঘটে। কারণ প্রত্যেক মানুষই আলাদা। আপনি নিজের ছেলেবেলার সঙ্গে যখন তাদের তুলনা করবেন, তখন তা আপনাকে কেবল হতাশই করবে। আপনার শিশুর প্রচেষ্টার প্রশংসা করুন। তাদের নিজের কাজগুলো করতে উৎসাহী করুন। তবে কখনোই নিজের ছেলেবেলার সঙ্গে তুলনা করতে যাবেন না।