November 22, 2024     Select Language
Editor Choice Bengali KT Popular শারীরিক

মৃত্যুর পরও এই কারণেই নিজের কানেই শুনতে পাবেন ‘মরে গেছেন’!

[kodex_post_like_buttons]

কলকাতা টাইমস :

মৃত্যু যেন আরো আতঙ্কজনক হয়ে উঠলো। কারণ বিজ্ঞানীরা বলছেন মৃত্যুর পর আপনি নিজের মৃত্যুর ঘোষণা নিজের কানেই শুনতে পাবেন হয়তো! কেননা দেহে কোনো প্রাণের লক্ষণ না থাকলেও মানুষের মস্তিষ্ক সক্রিয় থাকে! অর্থাৎ, মৃত্যুর পরও মানুষের মস্তিষ্ক বেশ কিছুক্ষণ কাজ করতে থাকে!

তার মানে তত্ত্বগতভাবে, কেউ মারা যাওয়ার পর অন্যরা তার মারা যাওয়ার ঘোষণা দিলে বা তার মৃত্যুর কথা বলাবলি করার সময় তা শুনতে পাবেন তিনি! একবার ভাবনু তো আপনি বিছানায় বা মেঝেতে অচেতন হয়ে পড়ে আছেন, আর  শুনতে পাচ্ছেন লোকে আপনার মৃত্যুর কথা বলাবলি করছে!

এই বিস্ময়কর দাবিটি করেছেন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের চিকিৎসাবিদ ড. স্যাম পার্নিয়া। তিনি নিউ ইয়র্ক সিটির এনওয়াইইউ ল্যাঙ্গোন স্কুল অফ মেডিসিন এর ক্রিটিকাল কেয়ার এবং রিসাসসিটেশন বিভাগের পরিচালক।

তিনি এবং তার নেতৃত্বাধীন গবেষক দল হার্ট অ্যাটাকে অজ্ঞান হওয়ার পর পুনরায় বেঁচে ফেরা রোগীদের ওপর পর্যবেক্ষণ চালিয়ে এই বিস্ময়কর দাবি করেছেন; যাদেরকে প্রথমে চিকিৎসাগতভাবে মৃত হিসেবেই বিবেচনা করা হয়েছিল। এই বিষয়ে এত বড় গবেষণা এটাই প্রথম।

হার্ট অ্যাটাকের পর প্রাণ ফিরে পাওয়া এমন রোগীরা বলেছেন, তাদেরকে যখন মৃত ঘোষণা করা হয়েছিল তখন তাদের মস্তিষ্ক সচেতন ছিল এবং তারা তাদের আশেপাশের লোকজনদের কথা বার্তা শুনছিল এবং তাদের চারপাশে কী ঘটছিল তাও দেখছিল! এমনকি তাদেরকে মৃত ঘোষণা করার পরও তাদের মস্তিষ্ক সক্রিয় ছিল বলে দাবি করেছেন ওই রোগীরা।

তাদের অচেতন থাকার সময়কার ঘটনা সম্পর্কে পরে তারা যে বিবরণ দিয়েছে সেসবের সত্যতা নির্ণয় করেন সেসময় সেখানে উপস্থিত থাকা ডাক্তার ও নার্সরা।

চিকিৎসাগতভাবে একজন মানুষকে তখনই মৃত ঘোষণা করা হয় যখন তার হৃদপিণ্ড অচল হয়ে পড়ে অর্থাৎ হার্টবিট বন্ধ হয়ে যায় এবং মস্তিষ্কেও রক্তচলাচল বন্ধ হয়ে যায়।

ড. স্যাম পর্নিয়া বলেন, ‘টেকনিক্যালি, মৃত্যুর সময় এমনটাই ঘটে- হৃদপিণ্ড বন্ধ হয়ে যাওয়ার মুহূর্তটিকেই মৃত্যু বলা হয়।’

‘একবার এমনটা ঘটলেই রক্ত আর মস্তিষ্কে যায় না। ফলে প্রায় সঙ্গে সঙ্গেই মস্তিষ্কের কার্যক্রম থেমে যায়। চোখের দৃষ্টি, মুখের স্বর এবং মস্তিষ্কের সংবেদনা বন্ধ হয়ে যায়।’

তবে, মারা যাওয়ার পর মস্তিষ্কের ভেতরে একধরনের শক্তির বিস্ফোরণও ঘটতে দেখা গেছে।

২০১৩ সালে মিশিগান বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি গবেষণায় অচেতন অবস্থায় কৃত্রিমভাবে হার্ট অ্যাটাক ঘটানো হয়েছে এমন নয়টি ইঁদুরের মস্তিষ্কে বৈদ্যুতিক সিগনাল লক্ষ্য করা গেছে।

চিকিৎসাগতভাবে মৃত্যুর পর অল্প কিছু সময়ের জন্য ইঁদুরগুলোর মস্তিষ্কে এমন কিছু তৎপরতা লক্ষ্য করা গেছে যা মস্তিষ্কের ‘অস্বাভাবিকভাবে উচ্চহারে সচেতনতার দশার’ সঙ্গে সংশ্লিষ্ট।

ড. পার্নিয়া বলেন, একইভাবে গবেষকরা মানুষের ‘ভালোবাসা’র অভিজ্ঞতার গুনগত স্বভাব নিয়েও গবেষণা করতে পারবে। ভালোবাসার অনুভুতির সময় মস্তিষ্কে আসলে কী ঘটে তা দেখা যাবে এর মাধ্যমে। আমরা এখন আসলে মৃত্যুর সময় লোকে প্রকৃতই কী ধরনের অভিজ্ঞতার মধ্য দিয়ে যায় তা নির্ণয়ের চেষ্টা করছি। আর এতে সফল হতে পারলে আমরা সব মানুষেরই মৃত্যুর অভিজ্ঞতা কেমন তা বুঝতে পারব।’

Related Posts

Leave a Reply