November 22, 2024     Select Language
Editor Choice Bengali KT Popular রোজনামচা

করোনা : মৃত্যুর মারাত্মক ঢেউ নিয়ে আসবে শীত  

[kodex_post_like_buttons]

কলকাতা টাইমস :

র মাস তিনেকের মধ্যেই শীত আসছে। পৃথিবীর অধিকাংশ দেশেই এ সময়টায় ঠান্ডা লাগা বা ফ্লুর প্রাদুর্ভাব দেখা দেয়। এ কারণে আশঙ্কা দেখা দিয়েছে যে, ঋতু পরিবর্তনের সময় করোনাভাইরাস সংক্রমণ বেড়ে যাবে এবং বলা হচ্ছে, প্রথম দফায় সংক্রমণ যত ব্যাপক ছিল—দ্বিতীয় দফায় তা আরও মারাত্মক হবে।

কিন্তু করোনাভাইরাস সংক্রমণ কেমন চেহারা নেবে—তার পূর্বাভাস দেওয়া কি এত সহজ-সরল? মোটেও তা নয়। বরং ব্যাপারটা বেশ জটিল।

শুধু করোনার প্রকৃতি নয়, অন্য নানা রকম শীতকালীন রোগজীবাণু, মানুষের আচরণ, সরকারী নীতির সাফল্য-ব্যর্থতা—এরকম অনেক কিছুর ওপর নির্ভর করছে, করোনার সংক্রমণের দ্বিতীয় ঢেউ আসলেই আসবে কিনা।

তা ছাড়া বিজ্ঞানে এখন নতুন কিছু গবেষণা চলছে যাতে দেখা যায় যে, একটি ভাইরাল সংক্রমণ হয়তো অন্য কোনো ভাইরাসের সংক্রমণকে আটকে দিতে পারে। তবে করোনাভাইরাসের ক্ষেত্রে এর কোনো প্রভাব পড়বে কিনা তা এখনো অজানা।

এর উত্তর এখনও পাওয়া যায় নি। তবে বিজ্ঞানীরা বলেন, এমন হওয়ার সম্ভাবনা আছে। তবে এটা বলা হচ্ছে, অন্য ভাইরাস সম্পর্কে আমরা যা জানি তার ওপর ভিত্তি করে।

করোনাভাইরাস আছে মোট চার রকমের—যা সাধারণ সর্দিজ্বরের লক্ষণ সৃষ্টি করে। প্রতিটিই সহজে ছড়ায় শীতের সময়। ইনফ্লুয়েঞ্জা, রাইনোভাইরাস এবং আরএসভি নামে আরেকটি ভাইরাস—এর সবগুলোরই আচরণ মোটামুটি একই রকম।

তবে লন্ডন স্কুল অব হাইজিন এ্যান্ড ট্রপিক্যাল মেডিসিনের ড. রেচেল লো বলছেন, ‘এগুলো হয়তো মৌসুমী হতে পারে, কারণ অন্য কিছু ভাইরাস আছে যেগুলো শীতকালে সংক্রমণ বাড়তে দেখা যায়—কিন্তু আবহাওয়া নাকি মানুষের আচরণ, কোনটার প্রভাব এখানে বেশি এখনো তা বোঝার ক্ষমতা খুব সীমিত।’

তবে দেখা গেছে, মানবদেহের বাইরের পরিবেশ যখন ঠান্ডা তখন সব ভাইরাসই অপেক্ষাকৃত ভালোভাবে বেঁচে থাকতে পারে। ব্রিটেনের বিশেষজ্ঞরা বলছেন, করোনাভাইরাসের জন্য বিশেষ করে ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা বিশেষ অনুকুল বলে দেখা গেছে।

সূর্যের আলোয় যে অতিবেগুনি রশ্মি থাকে তা ভাইরাসকে নিষ্ক্রিয় করে ফেলে। কিন্তু শীতের সময় অতিবেগুনি রশ্মির পরিমাণও কম থাকে। শীতপ্রধান দেশগুলোতে ঠান্ডার সময় লোকে ঘরের ভেতরেই বেশি থাকে। দরজা জানালা থাকে বন্ধ থাকে। বাতাস চলাচল করে কম এবং এই পরিবেশই করোনাভাইরাস ছড়ানোর জন্য সহায়ক।

ব্রিটেনের অ্যাকাডেমি অব মেডিকেল সায়েন্সেস এর এক পূর্বাভাসমূলক রিপোর্ট বলছে, শীতের সময় ব্রিটেনের পরিস্থিতি সবচেয়ে বেশি খারাপ হলে তাতে আড়াই লাখেরও বেশি মানুষ মারা যাবে।

যেটা বিজ্ঞানীরা আশঙ্কা করছেন তা হলো, করেনাভাইরাসের দ্বিতীয় ঢেউ এবং নিয়মিত শীতকালীন ফ্লু দুটো যদি একসঙ্গে হয় তাহলে কি হবে? এটা ঠিক যে করোনার কারণে মানুষের আচরণে অনেক পরিবর্তন এসেছে। মানুষ ঘন ঘন হাত ধুচ্ছে, মুখে মাস্ক পরছে, সামাজিক দূরত্ব রক্ষা করছে, বাড়িতে বসে কাজ করছে।

তাই এমন হতে পারে যে আসন্ন শীতে নিয়মিত ফ্লু ভাইরাসও হয়তো বেশি ছড়াতে পারবে না। অস্ট্রেলিয়াতে এখন শীত চলছে। সেখানে ঠিক এই ব্যাপারটাই দেখ%B

Related Posts