করোনা পাল্টে দিয়েছে ‘ব্রেন রাইটিং’ ও, সোজা থেকে…
কলকাতা টাইমস :
করোনার এই দুঃসময়ে মানুষের মধ্যে উৎকণ্ঠার শেষ নেই। এমন অনিশ্চিত একটা অবস্থা মানুষের হাতের লেখায়ও প্রভাব ফেলেছে বলে দাবি হস্তলেখা বিশেষজ্ঞদের।
২২-৬২ বছর বয়সী প্রায় দু’শো জনের করোনা-পূর্বের হাতের লেখা ও বর্তমান লেখার তুলনা করে তারা জানাচ্ছেন, বর্তমান সময়ে সামগ্রিকভাবে হাতের লেখা পাল্টে গিয়েছে। যার নেতৃত্বে ওই সমীক্ষা করা হয়েছে সেই হস্তলেখা বিশেষজ্ঞ মোহন বসু জানাচ্ছেন, মানুষের ‘বায়োলজিক্যাল ইগো’ যখন বহির্জগতের সংস্পর্শে আসে, তখন তার মধ্যে একটি লক্ষ্য থাকে। সেই লক্ষ্য ছোট হতে পারে বা বড় হতে পারে। অর্থাৎ কেউ উচ্চাকাঙ্ক্ষী হতে পারেন, কেউ আবার সাধারণ জীবনেই সন্তুষ্ট হতে পারেন। এমনকি, বাড়ি থেকে বেরিয়ে কোনও গন্তব্যস্থানে যাওয়াটাও এই লক্ষ্যের মধ্যে পড়ে। কিন্তু করোনা সেই লক্ষ্যেই আঘাত হেনেছে।
মোহন বসুর কথায়, হাতের লেখা যেমনই হোক না কেন, নির্দিষ্ট লক্ষ্য থাকলে মানুষের হাতের লেখার অভিমুখ সোজা হয়। কিন্তু পারিপার্শ্বিক পরিস্থিতির কারণে প্রভাবিত হলে হাতের লেখা আর সোজা থাকে না। তখন সেটা বক্র, জটিল আকার ধারণ করে। যেমনটা বর্তমান পরিস্থিতিতে হয়েছে।
হস্তলেখা বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন, আদতে ‘হ্যান্ড রাইটিং’ বলে কিছু হয় না। আসল হল ‘ব্রেন রাইটিং’। কারণ, মস্তিষ্কই ঠিক করে দেয় যে লেখার ধাঁচ, অক্ষরের ধরন কী হবে। হাতের লেখা, সই নির্ভর করে মানসিক পরিস্থিতি, পারিপার্শ্বিক অবস্থার উপরে। পরিস্থিতি বদলালে হাতের লেখাও পাল্টায়। কিন্তু সেই পাল্টানো এক, আর বর্তমানের পরিবর্তন আর এক বিষয় বলেই জানাচ্ছেন তারা। কারণ, বর্তমান সময়ে মানুষের হাতের লেখায় ‘সংবেদনশীলতা’ ফুটে উঠেছে। যার প্রতিফলন ঘটছে মানুষের সঙ্গে মানুষের সম্পর্কে, এমনকি একই পরিবারের সদস্যদের মধ্যেও।