ডাক্তার মাছের চিকিৎসা নিয়েছেন কখনো ? চোখ কপালে তুলে দেওয়া কিছু অদ্ভুত চিকিৎসা পদ্ধতি!
কলকাতা টাইমস :
কড়া ডোজে রোগীকে সুস্থ করে তুলে ফাঁকতালে নাম-যশ কামানো ডাক্তার হয়তো হরহামেশাই দেখা যায় কিন্তু ভিডিও গেম খেলে রোগ সেরে গেছে এমন রোগী কি দেখেছেন? না দেখারই কথা। তবে রহস্যে ভরা দুনিয়ায় নানান রোগের চিকিৎসায় অদ্ভূত কায়দা-কৌশলের প্রয়োগ দেখা যায়।
এর কোনো কোনোটা একেবারেই অবৈজ্ঞানিক। এসব চিকিৎসায় লোকজনের বিশ্বাস বা আস্থা এতো গভীর যে হাজার মাইল পথ পাড়ি দিয়ে অন্য দেশেও যায় সেই ‘চিকিৎসা’ নিতে। আপনি আগে হয়তো শোনেননি এমন কিছু চিকিৎসা-কায়দার খবর কালের কণ্ঠ অনলাইন পাঠকদের জন্য তুলে ধরা হলো-
ডলফিন ফেরাপি: দক্ষিণ আমেরিকান দেশ পেরুর রাজধানী লিমায় ডলফিন-ফেরাপি নামের চিকিৎসা পদ্ধতি প্রচলিত। গর্ভবতী মায়েরা এই কায়দার ‘চিকিৎসা’ নিয়ে থাকেন। সুইমিংপুলে থাকা ডলফিনের সঙ্গে সাঁতার কাটতে হয় তাদের। ডলফিন ওই নারীদের পেট ছুঁয়ে দেয়। এই পদ্ধতির মর্মকথা হলো- নিজেদের মধ্যে যোগাযোগের জন্য ব্যবহার করা ডলফিনদের হাই ফ্রিকোয়েন্সি সাউন্ডের প্রভাব পড়ে অনাগত সন্তানটির ওপর। এর ফলে শিশুটি স্নায়ুতান্ত্রিক (নিউরোলজি) ত্রুটিমুক্ত হয়ে জন্ম নেমে।
রেললাইন থেরাপি: ইন্দোনেশিয়ার কিছু এলাকার লোকজন বিশ্বাস করে যে রেললাইনে শুয়ে থাকলে অনেক ধরনের রোগ-বালাই দূর হয়ে যায়। এই কায়দায় রোগীকে একটি রেললাইনে শুইয়ে দেওয়া হয় তখন যখন পাশের আরেকটি লাইন দিয়ে ট্রেন যেতে থাকে। তাদের বিশ্বাস, ট্রেনের ধাতব চাকা ও রেললাইলের ঘর্ষণে যে শক্তি উৎপন্ন হয় তার প্রভাবে পাশে থাকা ব্যক্তি বাতসহ কয়েক ধরনের রোগমুক্ত হন।
ভিডিও গেম থেরাপি: ইউরোপীয় দেশ স্লোভাকিয়ায় এক ধরনের চোখের রোগীদের বিশেষ ধরনের ভিডিও গেম খেলতে দেওয়া হয়। এটা রোগমুক্ত হতে সহায়তা করে বলে মনে করেন সংশ্লিষ্ট ‘চিকিৎসকরা’।
ডাক্তার মাছ: ডাক্তার ফিশ নামে পরিচিত ছোট আকারের এই মাছগুলো একাধিক চিকিৎসায় ব্যবহার হয়। ধারণা করা হয়, পক্ষাঘাত (প্যারালাইসিস) চিকিৎসায় এর প্রয়োগ ধন্বন্তরী। এছাড়া হাড়ের জোড়ের ব্যথা আর চর্মরোগে নাকি এটা কার্যকরী। তুরস্কের এক অভিজাত হোটেলে এই মাছের সহযোগে স্পা ট্রিটমেন্টের জন্য দেশ-বিদেশের অনেক মানুষ সমবেত হয়। এই চিকিৎসা পদ্ধতিতে বাথ টাবে বা বড় পাত্রে জ্যান্ত ডাক্তার মাছ রাখা হয়। সেখানে রোগীর শরীরের হাত-পা বা পুরো শরীর ডুবিয়ে রাখা হয়। আর ওই মাছ এসে রোগীর শরীর থেকে খুটে খুটে খাবার খায়। এতেই নাকি সেরে যায় রোগ। জাপানসহ বেশ কয়েকটি দেশে এই পদ্ধতির চিকিৎসা রয়েছে।