জানেন কি নায়কদের এই মারাত্মক ‘নেশা’য় আসক্তি সম্পর্কে
হৃতিক রোশন: তিনি বলিউডের অভিনেতা। কিন্তু তাঁর লক্ষ্য ছিল গায়ক হওয়া। সেটা মনের টান। তাই অভিনেতা হিসেবে সাফল্যের শীর্ষে উঠেও গান গাওয়া ছাড়েননি। সুযোগ পেলেই ডুবে থাকেন সঙ্গীতচর্চায়। অবসর সময়ে এবং শুটিং-এর ফাঁকে সুযোগ পেলেই দল বেঁধে গানের লড়াইয়ে মেতে ওঠেন গায়ক হৃতিক।
অক্ষয় কুমার: তার আসক্তি জিমন্যাস্টিক্স এবং কিক বক্সিং-এ। শুধু সিনেমার পর্দায় নয়, বাস্তবেও ফিট থাকতেই পছন্দ করেন অক্ষয়। আর সেই ফিট থাকাটা রীতিমতো আসক্তি তাঁর। ভার্সোভাতে তাঁর ফ্ল্যাট আসলে যেন একটা জিম। অবসর পেলেই ছেলে আরভকে সঙ্গে নিয়ে লেগে পড়েন ফিট থাকার সাধনায়।
শাহিদ কপূর: তার ইচ্ছা ছিল ডিজে হবেন কিন্তু খ্যাতি পেয়ে গিয়েছেন অভিনেতা হিসেবে। কিন্তু নেশা ছেড়ে দেওয়া কি অতই সহজ! একটা সময়ে এক বন্ধুর নাইটক্লাবে নাকি নিয়মিত ডিজে হিসেবে পারফর্ম করতেন। ডিজেয়িং শিখেও নেন। এখন আর সেটা হয় না, কিন্তু বাড়িতেই ডিজে কনসোল কিনে নিয়েছেন। সেখানে চর্চা চলে। তার পাশাপাশি কোনও পার্টিতে গেলেই একবার কনসোলের পিছনে তাঁকে দেখা যায়।
জন আব্রাহাম: বেস্ট ফ্রেন্ড তাঁর বাইক। কলেজজীবন থেকেই বাইকের প্রতি তাঁর আসক্তি। একটা সময় নাকি বাইকে চেপেই খাওয়া-দাওয়া করতেন। এমনকী ঘুমিয়েও পড়তেন। একটু বিশ্রাম নিয়ে আবার বাইক চালাতেন। এখন অতটা না সম্ভব হলেও বাইক-প্রীতি একটুও কমেনি। বাইক নিয়ে স্টান্ট করাও তাঁর নেশা। বিভিন্ন বাইকারস্ ক্লাবের সঙ্গেও যুক্ত জন।
ফারহান আখতার: তার গিটারের নেশা মারাত্মক। গিটার অন্ত প্রাণ ফারহান। প্রতি ছ-মাস অন্তর নতুন গিটার কেনা চাই-ই চাই। বাড়িতে একটা ঘর নাকি শুধু গিটারে ভর্তি। যখন যে গিটারটা ইচ্ছে হয় সেটা নিয়ে বাজানোয় মেতে ওঠেন। বন্ধু-বান্ধবদের কয়েকটি ব্যান্ড রয়েছে। তাঁদের সঙ্গেও গিটার বাজাতে চলে যান ছুটি পেলে।
রণবীর সিং: লং ড্রাইভে যাওয়াটা নেশা রণবীর সিংহের। কাজের চাপ থেকে নিজেকে রিফ্রেশ করতে গাড়ি নিয়ে অজানা দূর পথে বেরিয়ে পড়েন রণবীর। শোনা যায় রণবীর বেশ পেটুকও। তাই লং ড্রাইভ মানেই কোনও ধাবায় গিয়ে খাওয়াটা রণবীরের আর এক আসক্তি। বন্ধু-বান্ধবদের নিয়ে হইচই করলেই মুড রিফ্রেশ হয়ে যায়।
সাইফ আলি খান: তার বই পড়তে ভালবাসেন। সবথেকে প্রিয় কমিক্স। শুটিংয়ের ফাঁকে সুযোগ পেলেই বই নিয়ে বসে পড়েন। এটা বলিউডের সবাই জানে। বাড়িতেও কাজ নেই মানে বইয়ে মুখ গুঁজে বসে পড়েন। আর যত কাজই থাকুক দিনের একটা সময় বইয়ের জন্য নির্দিষ্ট থাকে। এমনকী জন্মদিনে কেউ উপহার দিতে চাইলে সেফ কমিক্স চেয়ে নেন।
রণবীর কপূর: বাবা ঋষি কপূর একটা অ্যানালগ ক্যামেরা কিনে দিয়েছিলেন। সেটা নিয়েই হাতেখড়ি। আর কবে যেন ছবি তোলাটা নেশা হয়ে যায়। এখন নিজে দামি ডিএসএলআর ক্যামেরা কিনেছেন। সুযোগ পেলেই হল, ক্যামেরা হাতে বেরিয়ে পড়েন। মুম্বইয়ের বিভিন্ন জায়গায় তো বটেই সর্বক্ষণের সঙ্গী ক্যামেরা নিয়ে দেশ-বিদেশের ছবি তোলাও তাঁর নেশা।