সফলতা প্রমানে বিফল তবু অগ্রিম ৫৭০ কোটি ডোজ ভ্যাকসিন কেনা শেষ !
করোনার ভ্যাকসিন তৈরিতে জোর প্রচেষ্টা চালাচ্ছে গোটা বিশ্ব। একটি ভ্যাকসিনই এখন আস্থার মূল কেন্দ্র বলে মনে করছে সবাই। এর জের ধরেই ভ্যাকসিন তৈরিতে রাত দিন কাজ করে যাচ্ছে বিশ্বের খ্যাতনামা সব বিজ্ঞানীরা। এরই মধ্যে কোন ভ্যাকসিন তার সফলতা প্রমাণ না করতে পারলেও এই ভ্যাকসিনের জন্য রেকর্ড পরিমাণ আগাম অর্ডার দেওয়া হয়েছে।
ভ্যাকসিন শতভাগ সফল ভাবে এখনো কাজ না করলেও সারা বিশ্ব জুড়ে ৫৭০ কোটি ডোজ ভ্যাকসিনের জন্য আগাম অর্ডার করা হয়েছে। আমেরিকার সিয়াটলে প্রথম এমআরএনএ-১২৭৩ নামের করোনা ভ্যাকসিনের খোঁজ মেলে। এরপর আমেরিকা ও চীনের তৈরি ৫ টি ভ্যাকসিনের সন্ধান পাওয়া যায়।
অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটির অ্যাস্ট্রাজেনেকার তৈরি ভ্যাকসিন সেপ্টেম্বরের মধ্যে ফল মিলবে বলে জানিয়েছেন বিজ্ঞানীরা। এদিকে মার্কিন জৈববিষয়ক প্রতিষ্ঠান মর্ডানার ভ্যাকসিন এ বছরের শেষেই আসার কথা রয়েছে। এ বছরের মধ্যেই জনগণের কাছে করোনা টিকা পৌঁছে দেওয়ার জন্য কাজ করছে মার্কিন প্রশাসন। ২০২১ সালের জানুয়ারির মধ্যে ভ্যাকসিন সবার হাতে পৌঁছে দেওয়ার কথা জানিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। আমেরিকা অন্যান্য দেশের চেয়ে বেশি অর্থ বরাদ্দ করছে কারণ তাদের ধারণা একটি না একটি ভ্যাকসিন করোনা প্রতিরোধে কাজে আসবে।
ওয়াশিংটন পাঁচটি ভ্যাকসিন তৈরিকারী প্রতিষ্ঠানের সাথে ৭০ কোটি ডোজের জন্য চুক্তি করেছে। আবার অ্যাস্ট্রাজেনেকা ও সানোফির সাথে ৭০ কোটি ডোজের জন্য চুক্তি করেছে ইউরোপিয় ইউনিয়ন।
এদিকে ব্রিটেন ব্রেক্সিট জটিলতার জন্য আলাদাভাবে ২৫ কোটি ডোজের জন্য আলাদাভাবে অর্ডার করেছে। এশিয়ার দেশ জাপান নোভাভ্যাক্স থেকে ২৫ কোটি সহ তিনটি ভ্যাকসিন তৈরিকৃত প্রতিষ্ঠান থেকে ৪৯ কোটি ডোজ ভ্যাকসিনের জন্য চুক্তি করেছে।
দক্ষিণ আমেরিকার দেশ ব্রাজিল অ্যাস্ট্রাজেনেকা থেকে ১০ কোটি এবং চীনের সাথে ১২ কোটি ডোজ ভ্যাকসিনের জন্য চুক্তি করেছে। সিনোভাক ও সিনোফর্ম দুই চীনা ভ্যাকসিন ক্লিনিকাল ট্রায়াল অগ্রগতির দিকে এবং তাদের সাথে কাজ করছে ব্রাজিল ও ইন্দোনেশিয়া।
রাশিয়া বলছে এরই মধ্যে ২০ টি দেশ স্পুটনিক ভি এর জন্য ১০০ কোটি ডোজের অর্ডার দিয়েছে। এদিকে এশিয়ার দেশের জনগণকে লক্ষ্য করে সিরাম ইন্সটিটিউট অফ ইন্ডিয়া অসংখ্য ভ্যকসিন তৈরি করছে।