নিজের অফিসেই টেলিফোন রাখতেন না আবিষ্কারক গ্রাহাম বেল!
আজ যে টেলিফোন ছাড়া আপনার চলে তার আবিষ্কর্তা হিসেবে ইতিহাসে লেখা আছে আলেকজান্ডার গ্রাহাম বেলের কথা। এই স্কটিশ বিজ্ঞানী একজন আবিষ্কারক, উদ্ভাবক এবং প্রকৌশলী। প্রথম টেলিফোনের মেধাস্বত্ত্ব তার নামেই সংরক্ষিত রয়েছে। আজ সবার ঘরে ঘরে টেলিফোন থাকলেও আবিষ্কারক নিজেই যন্ত্রটি ব্যবহার করতে চাইতেন না। কিন্তু কেন চাইতেন না?
আসলে আবিষ্কারক নিজের আবিষ্কারের ভুত-ভবিষ্যত দেখতে পান। তাই তিনি বুঝেছিলেন, এ যন্ত্র যতটা কাজের, ততটাই বিরক্তির কারণ হয়ে দাঁড়াবে। তাই নিজের অফিসে কখনোই টেলিফোন রাখতেন না গ্রাহাম বেল।
১৮৭৬ সালের মার্চে তথ্য ও যোগাযোগব্যবস্থায় বিice cream-1প্লব আসে তারই হাত ধরে। ১৮৮৫ সালে তিনি প্রতিষ্ঠা করেছিলেন আমেরিকান টেলিফোন অ্যান্ড টেলিগ্রাফ কম্পানি, যেটাকে আপনারা এটিঅ্যান্ডটি নামেই চেনেন। সেই টেলিফোনই তো আজ নানা পরিবর্ধন ও পরিমার্জনের মাধ্যমে আপনার হাতের মুঠোয় এসেছে। বিজ্ঞানের বিভিন্ন গবেষণায় বলা হয়েছে, এই যন্ত্র আপনার দৈহিক ও মানসিক অশান্তির যথেষ্ট কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। কিন্তু এটা ছাড়া আবার চলেও না এক মুহূর্ত। তবুও এই যন্ত্রণা থেকে মুক্তি পেতে তিনি অফিসে কখনোই টেলিফোন রাখেননি।
অন্য একটা যৌক্তিক কারণও ছিল অবশ্য। বিজ্ঞানীর বক্তব্য ছিল, টেলিফোন অফিসে থাকলে হাজারো মানুষ তার সঙ্গে যোগাযোগ করেন। এতে তার গবেষণার কাজ বাধাগ্রস্ত হয়। তাই আর যেখানেই থাকুক, অফিসে টেলিফোন তিনি ঢোকাতে দেননি তিনি।