মধ্যবয়সী মানুষই সবচেয়ে অসুখী
কলকাতা টাইমস :
ভাবছেন সুখ-অসুখ আবার বয়েস বিচার করে নাকি ? করে,করে। এমনই তো বলছে এই সমীক্ষা। আমেরিকায় বিভিন্ন বয়স ও মতাদর্শের মানুষের মাঝে সুখের মাত্রা নির্ণয় করার জন্য একটি সমীক্ষা করা হয়। এতে দেখা গেছে, মধ্যবয়সী মানুষই অন্যদের তুলনায় অসুখী হয়।
৩০ থেকে ৬০ বছর সময়কালকে মধ্যবয়স ধরা হয়। আর মধ্যবয়সের মানুষকে সবচেয়ে অসুখী দেখা যায়। এর কারণ হিসেবে গবেষকরা জানান, নানা কারণে তাদের মাঝে জীবনযাপন নিয়ে অসন্তুষ্টি ও মানসিক চাপ ভর করে। এ ক্ষেত্রে ৪৫ থেকে ৫৯ বছর বয়সী ব্যক্তিদের মধ্যে এ উদ্বেগ সবচেয়ে বেশি হয় এবং মানসিক সন্তুষ্টিও কমে যায়।
আমেরিকার অফিস ফর ন্যাশনাল স্ট্যাটিসটিকস এ জরিপটি করে। বিভিন্ন ধর্মে বিশ্বাসী তিন লাখ প্রাপ্তবয়স্ক ব্যক্তিকে এ সমীক্ষায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়। এ সমীক্ষায় ২০১২ থেকে ২০১৫ সাল পর্যন্ত তথ্য সংগ্রহ করা হয়। এতে তাদের প্রশ্ন করার পর মনের সুখের মাত্রা কয়েকটি ভাগে ভাগ করা হয়। এগুলো হলো : সবচেয়ে সুখী, সন্তোষজনক, কিছুটা ও উদ্বেগজনক।
সমীক্ষায় আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় উঠে এসেছে। এতে দেখা গেছে, বয়স বাড়লে মানুষের সুখের মাত্রা বাড়ে। বিশেষ করে ৬৫ থেকে ৭৯ বছর পর্যন্ত তাদের এ সুখের মাত্রা যথেষ্ট পরিমাণে ভালো থাকে। বয়স আরও কিছুটা বাড়লে অবশ্য নানা স্বাস্থ্যগত সমস্যা দেখা দেয়, যা সুখের মাত্রাকে প্রভাবিত করতে পারে।
সমীক্ষায় দেখা যায় ৩৫ বছরের কম যাদের বয়স তাদের মাঝে অসুখী মানুষের হার সবচেয়ে বেশি। এ ক্ষেত্রে ব্যস্ত জীবনযাপন ও নানা ক্ষেত্রে প্রতিযোগিতা, হতাশা ইত্যাদিকে দায়ী করেন বিশেষজ্ঞরা। তবে ভালো খবর হচ্ছে, বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে এ হার কমতে থাকে।
এ বিষয়ে ইউনিভার্সিটি কলেজ লন্ডনের ইন্সটিটিউট অব এপিডেমিওলজির প্রফেসর অ্যান্ড্রিউ স্টেপটো বলেন, আমরা যদি সুখের সঙ্গে স্বাস্থ্যের বিষয়টির সম্পর্ক দেখতে যাই তাহলে ধরে নিতে হয় বয়স বাড়লে অসুখী মানুষরা টিকতে পারেন না। কিন্তু বাস্তবে বয়স্ক মানুষরা অনেক বয়সেও সুখী হতে পারেন।
এ বিষয়ে রিপোর্টটিতে উল্লেখ করা হয়েছে, বয়স্ক জনসংখ্যা এখন ক্রমে বাড়ছে। এ অবস্থায় মানুষের যত বেশি বয়স বাড়বে ততই এ বিষয়ে গবেষণা বাড়াতে হবে। বৃদ্ধদের নানা সুযোগ-সুবিধা ও স্বাস্থ্যগত বিষয় বিবেচনায় এ ধরনের গবেষণার তথ্য ব্যবহৃত হবে।