কম্পিউটার ভুলে মুরগি পুষান দারিদ্র দূর করতে : বিল গেটস

কলকাতা টাইমস :
চরম দারিদ্র দূর করার উপায় কি? প্রযুক্তি ব্যবসায়ী বিশ্বের শীর্ষ ধনকুবের বিল গেটসের উত্তর হলো চিকেন বা মুরগি! আর এটা মাইক্রোসফটের নতুন কোনো সফটওয়্যারের নামও নয়।
বিশ্বের সবচেয়ে বড় সফটওয়্যার কম্পানির প্রতিষ্ঠাতা বিল গেটস বলেন, “বিশ্বের সবচেয়ে গরীব মানুষদের জীবনমানের উন্নয়নে কম্পিউটার বা ইন্টারনেট কোনো কাজে আসবে না। বরং কয়েকটি মুরগি লালন-পালনেই তা সম্ভব। অথচ এই বিল গেটস সাড়ে সাত হাজার কোটি ডলারের মালিক হয়েছেন শুধু কম্পিউটার ও সফটওয়্যার বিক্রি করে।
নিজের ওয়েবসাইট গেটস নোটস ডটকমে তিনি বলেন, “আমার কাছে এটা এখন দিনের আলোর মতো পরিষ্কার, যারা দারিদ্রসীমার নিচে বসবাস করছেন নিজেদের জীবনমানের উন্নয়নে, তাদের উচিত বাড়িতে মুরগির লালন-পালন করা।”
বিল গেটস জানান, তাঁর বিল ও মেলিন্ডা গেটস ফাউন্ডেশন আফ্রিকার সাব সাহারান অঞ্চলের দরিদ্র পরিবারগুলোকে এক লাখ মুরগি দানের জন্য হেইফার ইন্টারন্যাশনাল নামের একটি উন্নয়ন সংস্থার সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ হয়। আফ্রিকার ওই দরিদ্র পরিবারগুলো দিনে মাত্র দুই ডলারেরও কম খরচে জীবনযাপন করে থাকে। এ কর্মসূচির লক্ষ্য ওই অঞ্চলের ৩০ শতাংশ গ্রামীণ দরিদ্র পরিবারকে টিকাদানকৃত মুরগির উন্নত জাতের বাচ্চা পালনের আওতায় নিয়ে আসা। বর্তমানে ওই অঞ্চলের মাত্র পাঁচ শতাংশ পরিবার মুরগি পালন করে থাকে।
বিল গেটস বলেন, “অন্য যে কোনো কিছুর চেয়ে মুরগি পালনের লাভ অনেক বেশি। কারণ মুরগি পালনে খরচ কম। আর মুরগির বংশ বিস্তার হয় দ্রুত। এ ছাড়া মুরগির ডিম ও মাংস পরিবারে পুষ্টির চাহিদা মেটাতেও সক্ষম।”
বিল গেটস আরো বলেন, “মুরগি পালনে নারীদেরও ক্ষমতায়ন হয়। কারণ, মুরগি সাধারণত আকারে ছোট হয় এবং বেশিরভাগ সময়ই বসতবাড়ির আশপাশেই অবস্থান করে। বিশ্বের বিভিন্ন সংস্কৃতিতেই মুরগিকে মহিলাদের পোষা প্রাণী হিসেবে গণ্য করা হয়। আর যে নারীরা মুরগি বিক্রি করে আয় করেন তারা তাদের আয়ের লভ্যাংশ সাধারণত পুনরায় পরিবারের জন্যই বিনিয়োগ করে থাকে।