অপেরেশনে মেয়েকে বাঁচাতে না পেরে ‘সরি’ লিখে আত্নঘাতী চিকিৎসক বাবা !
কলকাতা টাইমস :
করোনাকালে কেউ রাজি হয়নি ছোট্ট মেয়েটির অপেরেশনে। তাই চিকিৎসক নিজেই সেই দায়িত্ব নিয়ে অপারেশন করছিলেন। নিজের ৭ বছরের মেয়েকে বাঁচাতে পারেননি। মেয়ের মৃত্যুর পর আত্মহত্যা করেন নিজেও।
চিকিৎসকের নাম অনুপ কৃষ্ণা। কেরালায় নিজের ‘অনুপ অর্থো কেয়ার হাসপাতাল’ চালাতেন। গত বৃহস্পতিবার কাদাপ্পাকাড়াতে নিজ বাড়ি থেকে তার দেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
খবর অনুসারে, গত ২৩ সেপ্টেম্বর ডা. অনুপের সাত বছরের মেয়ের অস্ত্রোপচারের সময় মৃত্যু হয়। সেই অস্ত্রোপচারের দায়িত্ব পালন করেছিলেন তিনি নিজেই।
মেয়ের মৃত্যুর জন্য সোশ্যাল মিডিয়ায় তাকে খুনি হিসেবে সাব্যস্ত করা হয়। হেনস্থার শিকারও হন তিনি। তারপরেই আত্মহত্যার সিদ্ধান্ত নেন ওই চিকিৎসক। বাথরুমের দেয়ালে ‘সরি’ লিখে আত্মহত্যা করেন তিনি।
হাঁটুর অস্ত্রোপচারের সময় মেয়েটি হৃদরোগে আক্রান্ত হয়। গত ২৩ সেপ্টেম্বর তার সাত বছরের মেয়ে বাবার হাসপাতালেই ভর্তি হয়েছিল।
মেয়ের মৃত্যুর জন্য পরিবার ও স্থানীয়রা হাসপাতালের বাইরে বিক্ষোভ দেখান। অনুপের বিরুদ্ধে গাফিলতির অভিযোগ তোলা হয়। কোল্লাম পূর্ব পুলিশ স্টেশনে তার বিরুদ্ধে চিকিৎসায় গাফিলতির অভিযোগ করা হয়।
তবে ডা. অনুপের পক্ষেও মুখ খুলেছেন কেরালার একাধিক চিকিৎসক। সোশ্যাল মিডিয়ায় তাকে ভয়াবহ হেনস্থা করা হচ্ছিল বলে জানিয়েছেন তারা। একাধিক চিকিৎসক জানিয়েছেন, কোভিড পরিস্থিতিতে মেয়ের হাঁটু অস্ত্রোপচারে রাজি হয়নি অনেক চিকিৎসক। তাই অনুপ একাই ঝুঁকি নিয়ে রাজি হয়েছিলেন। মেয়ের মৃত্যুর পর তিনি সামাজিকমাধ্যমে লেখেন, ‘দুর্ভাগ্যবশত আমরা শিশুটিকে হারিয়ে ফেলেছি।’