করোনা থেকেও ভয়ঙ্কর এই অসুখে প্রতি ঘন্টায় আক্রান্ত ১৫ জন ভারতীয় মহিলা
করোনাভাইরাস সংক্রমণের চেয়ে মেয়েদের এই মারণ-অসুখ বেশি ভয়ঙ্কর। মহামারির এই অসময়ে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে অক্টোবর মাস জুড়ে পালন করা হচ্ছে স্তন ক্যান্সার সচেতনতা মাস।
স্তন ক্যান্সারে আক্রান্ত নারীদের মৃত্যুর হার ৫০ শতাংশ। এর অন্যতম কারণ, রোগ যখন ডালপালা বিস্তার করে শরীরে ছড়িয়ে পড়ে, বেশির ভাগ মেয়ের তখনই হুঁশ হয়। সঙ্কোচ কাটিয়ে ছুটে যান ডাক্তারের কাছে।
কিন্তু চিকিৎসকরা আধুনিক চিকিৎসাবিজ্ঞানের সবগুলো হাতিয়ার নিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়েও শেষ রক্ষা করতে পারেন না।
ভারতে বেশির ভাগ মা-বোন সঙ্কোচের কারণে স্তনসংক্রান্ত সমস্যা হলে চিকিৎসকের কাছে যেতে দ্বিধা করেন। আর এ কারণে ভারতের নারীরা পর্যায়-৩ ও পর্যায়-৪ এ গিয়ে স্তন ক্যান্সারে আক্রান্ত হিসেবে শনাক্ত হন।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, প্রাথমিক অবস্থায় রোগ ধরা পড়লে ও সঠিক চিকিৎসা করা হলে মৃত্যুহার অনেকাংশে কমিয়ে দেওয়া যায়। সে কারণেই স্তন ক্যান্সার সচেতনতা মাসে জোর দেওয়া হয়েছে দ্রুত রোগ নির্ণয়ের ওপর। করোনা অতিমারির বছরে ভারতে প্রতি ৪ মিনিটে একজন নারীর স্তন ক্যান্সার শনাক্ত হচ্ছে, প্রতি ১৩ মিনিটে এই ক্যান্সারে আক্রান্ত একজন মারা যাচ্ছে।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার বিশেষজ্ঞদের হিসাবে, প্রতিবছর প্রায় ১৪ লাখ নারী নতুন করে স্তন ক্যান্সারে আক্রান্ত হচ্ছে এবং চার লাখ ৫৮ হাজার নারী মারা যাচ্ছে।
চিকিৎসাবিজ্ঞানীরা একমত যে স্তন ক্যান্সার এমন এক অসুখ, যা প্রাথমিক অবস্থায় ধরা পড়লে বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই পুরোপুরি সারিয়ে তোলা যায়। দ্বিতীয় পর্যায়ে ধরা পড়লে ৬০ শতাংশ ও তৃতীয় পর্যায়ে ৩০ শতাংশ রোগীকে সুস্থ করে তোলা যায়।