স্কুল ছুটির পরই বাবা-মা’র দিকে ছুটে আসে শিশু, তাতে লুকানো থাকে কী বার্তা?
কলকাতা টাইমস ;
দুই বছরের ছেলে ওরিয়ন ওয়াশিংটন। সারাক্ষণ তার বাবার আশপাশে থাকা চাই। এরইমধ্যে তাকে নার্সারিতে ভর্তি করিয়ে দিয়েছেন বাবা প্রোজেক্স সানতানা।
২৭ বছর বয়সী প্রোজেক্স নিজেই স্কুল থেকে আনতে যেতেন ওরিয়নকে। বাবাকে দেখেই আনন্দে আত্মহারা ওরিয়ন। চিৎকার করে বলে ওঠে ‘ড্যাডি’! তারপর দৌড়ে ছুটে আসে পায়ের কাছে। চরকার মতো দুই হাত গোল করে জড়িয়ে ধরত বাবাকে।
ওরিয়নকে কাছে পেয়ে সবকিছু ভুলে যান বাবা। ছেলের এসব কাণ্ডকারখানা সব তুলে রাখেন ভিডিওতে। গত এক মাস ধরে প্রতিদিনই চলেছে এসব কাণ্ড। তাতে প্রকাশ পেয়েছে বাবাকে কাছে পাওয়ার পর ছেলের অভিব্যক্তি আর প্রতিক্রিয়া। একপর্যায়ে ভিডিওটি টুইটারে দেন তিনি।
প্রজেক্স সানতানা একজন গীতিকার ও সংগীত শিল্পী। সংবাদ মাধ্যমকে তিনি বলেন, ‘ভিডিওটি অনেকের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে- এটি দেখে এত ভালো লেগেছে- ভাষায় প্রকাশ করার মতো না। চার দিনে ভিডিওটিতে ৩৫ হাজার লাইক পড়ে। সানতানার প্রতিক্রিয়া অনুযায়ী, ওই ঘটনার পর জীবনের দৃষ্টিভঙ্গিই বদলে গেছে।
টুইটারে একজন তার প্রতিক্রিয়ায় লিখেছেন, ‘আমি আগে বাচ্চা নেওয়ার কথা ভাবিনি। কিন্তু ভিডিওটি দেখার পর সন্তানের জন্য ব্যাকুল বোধ হয়। জবাবে প্রজেক্স লিখেছেন, ‘আমি কেবল বাচ্চার বাবা হওয়ার সুবিধাগুলো তুলে ধরতে চেয়েছি।’
ভিডিওটি প্রোজেক্স পোস্ট করেছে বাবা দিবসে। তিনি লিখেছেন, ‘আমার ছেলের মুখের উত্তেজনাটি এত সতেজ ছিল, ভাবাই যায় না।’
একগাল হেসে প্রজেক্স বলেন, ‘ঠিক এই মুহূর্তে আমি আমার ছেলের নায়ক।’ তিনি বলেন, ‘আমার ভুল হতে পারে না এবং ছেলের মতো একই বিষয়গুলো ঘটবে আমার আট বছর বয়সী মেয়ে জাইয়াহ’র বেলায়ও। আমি তাকে স্কুল থেকে তুলে নিয়েছি।
কিন্তু ছেলের সুখনৃত্যকে ধরে রাখার প্রয়োজন পড়ল কেন একজন বাবার? জবাবটি প্রোজেক্স নিজেই দিয়েছেন, ‘তার (ওরিয়ন) মুখের হাসি পৃথিবীর সবকিছুই ইতিবাচক করে তোলে। এমনকি যদি কোনো খারাপ মুহূর্ত কিংবা বাজে দিনও আসে। কেননা, ছেলের ছুটে আসা দেখলেই নিমেষে পালিয়ে যায় সব খারাপ জিনিসগুলো।’