ডায়বেটিস থেকে বাঁচাতে পারে ঘরোয়া এই টোটকা
[kodex_post_like_buttons]
কলকাতা টাইমস :
আজকের দিনের হুড়োহুড়ি পড়ে যাওয়া জীবনে ডায়বেটিস একটি অত্যন্ত কমন রোগ। এখন আমাদের জীবনযাত্রার ধরন এমন হয়ে গিয়েছে যে ঘরে ঘরে ডায়বেটিস রোগ জাঁকিয়ে বসেছে।
চিকিৎসকেরা জানাচ্ছেন, রক্তে গ্লুকোজের মাত্রা অতিরিক্ত পরিমাণে বেড়ে গেলে ডায়বেটিস রোগের শিকার হই আমরা। ইনসুলিন হরমোনের উৎপাদন রক্তে কমে গেলে ডায়বেটিস জাঁকিয়ে বসে শরীরে।
২০১৩ সালের হিসাব অনুযায়ী বিশ্বের প্রায় ৪০ কোটি মানুষ ডায়বেটিস বা মধুমেয় রোগে আক্রান্ত। আর এর মধ্যে ৯০ শতাংশই আক্রান্ত টাইপ ২-তে। এহেন ডায়বেটিসের ক্ষেত্রে তা নিয়ন্ত্রণে রাখতে গেলে প্রথমেই জানতে হবে ঠিক কতোটা ডায়বেটিসে আক্রান্ত আপনি। সেই অনুযায়ী নিজের খাওয়া-দাওয়া থেকে শুরু করে সবকিছুকে নিয়ন্ত্রণ করতে হবে আপনাকে।
জেনে নিন, আপনাকে ডায়বেটিসের হাত থেকে মুক্ত করতে পারে কোন কোন খাবার।
গাজর : ডায়বেটিসের সমস্যা থেকে মুক্তি দিতে পারে গাজর। শরীরে ইনসুলিনের মাত্রাকে নিয়ন্ত্রণে রাখতে ভীষণভাবে সাহায্য করে গাজর।
মাছ : মাছে রয়েছে ওমেগা ৩ ফ্যাটি অ্যাসিড যা ডায়বেটিস নিয়ন্ত্রণ করে। সপ্তাহে অন্তত ২-৩ দিন মাছ খেলেই হবে। অলিভ অয়েল : এই তেলে খুব বেশি ফ্যাট থাকে না। পাশাপাশি এই তেল রক্তে ইনসুলিনের মাত্রাকে নিয়ন্ত্রণ রাখে।
পাঁউরুটি : সাদা পাঁউরুটি খাওয়া কখনও উচিত নয়। বরং একাধিক শস্য সমৃদ্ধ পাউরুটি বা ব্রাউন ব্রেড ডায়বেটিসের সমস্যাকে বাড়তে দেয় না।
লেবু জাতীয় ফল : সাইট্রাস অ্যাসিড রয়েছে এমন লেবু জাতীয় ফল ডায়বেটিস নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে।
বাদাম : অ্যামন্ড ডায়বেটিসে আক্রান্তরা সহজেই খেতে পারেন। এর মধ্যে থাকা ফাইবার ও প্রোটিন ডায়বেটিস কমাতে সাহায্য করে।
গ্রিন টি : গ্রিন টিতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ফাইটোনিউট্রিয়েন্টস যা রক্তে শর্করার পরিমাণ নিয়ন্ত্রণে রাখতে ও তাকে কমাতে সাহায্য করে।
বিনস : বিনস-এর বীজেও রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ফাইটোনিউট্রিয়েন্টস যা একইভাবে ডায়বেটিস রুখতে সাহায্য করে।
আপেল : চিকিৎসকেরা বলেন, প্রতিদিন একটি আপেল খেলে রোগব্যাধি ধারে-কাছে ঘেঁষে না। একইভাবে মধুমেয় রোগেও আপেল খাওয়া খুবই উপকারী।
ওটস : পাচনকারী এনজাইম ও খাদ্যের মধ্যে থাকা শর্করার মধ্যে যোগসূত্র স্থাপন করে ওটস। শর্করার পরিমাণকেও নিয়ন্ত্রণে রাখতে বিশেষ সাহায্য করে এটি।