১৮ ঘণ্টা ‘নাইট মুডে’ ঘুমিয়ে জাগলো পাকিস্তান
কলকাতা টাইমস :
অবশেষে অন্ধকার ঘুচে আলোর দেখা পাওয়া গেল পাকিস্তানে । ভয়াবহ বিদ্যুৎ বিপর্যয়ের মধ্যে পড়েছিল পাকিস্তান। প্রায় ১৮ ঘণ্টা পর বিদ্যুতের দেখা মিলেছে। শনিবার মধ্যরাতে ‘ব্ল্যাক আউটে’ ঢেকে যায় পাকিস্তান । অনেক সময় অপেক্ষার পর স্থানীয় সময় রোববার বৈদ্যুতিক পরিস্থিতি স্বাভাবিক গতিতে ফিরেছে বলে কর্মকর্তারা নিশ্চিত করেছেন।
পাকিস্তানে বিদ্যুৎ সরবাহ ব্যবস্থা বেশ জটিল ও সুক্ষ্ম। যার কারণে ২১ কোটির বেশি মানুষের জন্য বিদ্যুৎ সরবরাহ বেশ কঠিন হয়ে পড়ছে। এর আগে পাকিস্তানের বিদ্যুৎমন্ত্রী জানান, ন্যাশনাল ট্রান্সমিশন ডেসপাচ কোম্পানির (এনটিডিসি) বিদ্যুৎসংযোগ ব্যবস্থায় প্রযুক্তিগত ত্রুটির কারণে এই বিপর্যয় ঘটেছে।
ইসলামাবাদে এক সংবাদ সম্মেলনে বিদ্যুৎমন্ত্রী ওমর আইয়ুব খান বলেন, দেশের বেশিরভাগ স্থানেই প্রায় ১৮ ঘণ্টা পরে বিদ্যুৎ ছিল না। দীর্ঘ সময় বিদ্যুৎ না থাকায় পাওয়ার প্লান্টও বন্ধ রাখতে হয়েছে।
বিদ্যুৎ না থাকায় দীর্ঘ সময় ধরে রাজধানী ইসলামাবাদ, করাচি, লাহোর, রাওয়ালপিণ্ডি, পেশোয়ার, মুলতান, কোয়েটা, ফয়সলাবাদ, মুজাফ্ফরগড়, ভাওয়ালপুর, বেলুচিস্তানসহ বড় বড় শহরগুলো অন্ধকারে ঢেকে যায়। জিন্নাহ আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরেও বিদ্যুৎ সঙ্কটের কারণে সেখানকার কার্যক্রম ব্যহত হয়েছে।
এনটিডিসি জানিয়েছে, সবগুলো ৫০০কেভি এবং ২০০কেভি গ্রিড স্টেশন ও ট্রান্সমিশন লাইন আবারও বিদ্যুৎ সরবরাহ করা শুরু করে দিয়েছে। পুরো পাকিস্তানজুড়েই বিদ্যুৎ সরবরাহ পুনরায় চালু হয়েছে বলে উল্লেখ করেন তিনি।
এর আগে ২০১৫ সালেও ব্ল্যাক আউট হয়ে গিয়েছিল পাকিস্তান। সেসময় রাজধানী ইসলামাবাদসহ দেশের ৮০ শতাংশ অঞ্চল অন্ধকারে ডুবে গিয়েছিল। ন্যাশনাল গ্রিড বসে যাওয়ার কারণেই ভয়ানক বিপর্যয়ের মুখে পড়তে হয়েছিল পুরো পাকিস্তানকে।
এদিকে, শনিবার দেশজুড়ে বিদ্যুৎ বিভ্রাটের পর থেকেই সামাজিক মাধ্যম টুইটার, ফেসবুক এবং হোয়াটসঅ্যাপে প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের সরকার এবং তাদের দক্ষতা নিয়ে ব্যাঙ্গাত্মক মিম এবং কৌতুক করে পোস্ট করছেন ব্যবহারকারীরা।
মুসাররাত আহমেদজেব নামে এক টুইটার ব্যবহারকারী বলেন, ‘পাকিস্তানে বিদ্যুৎ বিভ্রাট ইমরান খানকে ব্ল্যাকমেইল করছে।’ অপর এক ব্যবহারকারী লিখেছেন, ‘নতুন বছর যেভাবে শুরু হলো…চলুন সবাই আল্লাহর কাছে করুণা চাই।’ অপরদিকে হোয়াটসঅ্যাপে এক ব্যবহারকারী লিখেছেন, ‘নতুন পাকিস্তান নাইট মুডে ঘুমিয়ে আছে।