ঘরে কার্পেট পাতেন, তাহলেই ফুসফুস শেষ !
[kodex_post_like_buttons]
কলকাতা টাইমস :
ফুসফুস শরীরের এমন একটি অঙ্গ যা শ্বাস-প্রশ্বাসের কাজে ব্যবহৃত হয়। এর প্রধান কাজ হল বাতাস থেকে অক্সিজেন গ্রহণ করা ও শরীরের ভিতরে থাকা কার্বন-ডাই-অক্সাইডকে বাইরে নিষ্কাশন করে। ফুসফুস ছাড়া আমাদের বেঁচে থাকা সম্ভব নয়।
ফুসফুসের সমস্যা এখন অনেকেরই হচ্ছে। বেশি বয়সের মানুষের তো বটেই, কমবয়সীদেরও ফুসফুসের সমস্য়া হয়। আর এক্ষেত্রে দূষণ ও জীবনযাত্রাকেই সকলে সবার প্রথমে দোষ দেয়। তবে সবসময় যে আসল সমস্যা তা থেকে হয় তেমন নয়।
আসলে আমাদের চারপাশে এমন অনেক জিনিস রয়েছে যা আমাদের নজর এড়িয়ে যায়। কিন্তু তা আদতে অত্যন্ত ক্ষতিকর ফুসফুসের জন্য। আর ফুসফুস সঠিকভাবে কাজ না করলে গোটা শরীরে তার প্রভাব পড়বে। কখনও কখনও তা প্রাণঘাতীও হতে পারে।
ফুসফুস ভালো রাখতে বিভিন্ন জায়গায় ধূমপান ছাড়ার পরামর্শ দেওয়া হয়। তা অবশ্যই প্রয়োজন। তবে তার সঙ্গে সঙ্গে আরও কিছু জিনিস ঘরের মধ্যেই থাকে যা ফুসফুসের দারুণ ক্ষতি করে। জেনে নিন, কোন জিনিসগুলি ঘরে থাকলে ফুসফুসের ক্ষতি হতে পারে।
ব্লিচ : ব্লিচিং লিকুইডে ক্লোরিন ও অ্যামোনিয়া থাকে। ফলে তা ঘর পরিষ্কারে কাজে দেয়। তবে এই দুটি রাসায়নিক ফুসফুসের দারুণ ক্ষতি করে। যাদের শ্বাসকষ্টের সমস্যা রয়েছে তাদের আরও বেশি অসুবিধা হতে পারে।
কার্পেট : কার্পেট জীবাণুদের আঁতুরঘর। চোখে দেখা যায় না এমন অনেক অণুজীবী কার্পেটে লুকিয়ে থাকে। তা ফুসফুসের সমস্যা তৈরি করে। কাঠের আসবাব পুরনো কাঠের আসবাবের অনেক খাঁজ থাকে ফলে তাতে প্রচুর ধুলোময়লা জমতে পারে। যা থেকে অ্যালার্জি, শ্বাসপ্রশ্বাসের সমস্যা হতে পারে।
ভ্যাকুম : ক্লিনার ভ্যাকুম ক্লিনারের মধ্যে জমে থাকা ধুলোময়লা ফুসফুসের সংক্রমণ ঘটিয়ে তার ক্ষতি করতে পারে। সেজন্য ভ্যাকুম ক্লিনার পরিষ্কারের সময়ে সতর্ক থাকবেন।
ছত্রাক : বাড়িতে ঘরের দেওয়ালে বা বাথরুমের দেওয়ালে প্রচুর ক্ষতিকর অণুজীবী থাকে যা শ্বাসকষ্টের সমস্যা তৈরি করতে পারে। কীটনাশক যদি বাড়িঘর পরিষ্কার রাখার ঠেলায় আপনি অনেক বেশি করে কীটনাশক ব্যবহার করেন তাহলে তা ফুসফুসের ক্ষতি করে।
রঙ : রঙে উচ্চমাত্রার টক্সিক রাসায়নিক থাকে। ফলে অনেক বেশি করে রঙের সংস্পর্শে এলে ফুসফুসের সমস্যা হতে পারে।