বিস্বস্ত কর্মচারীই করোনা রোগীর লালারস পানীয়তে মিশিয়ে খাওয়াতে চাইলেন
কলকাতা টাইমস :
করোনা রোগীর লালারস পানীয়তে মিশিয়ে বসকে হত্যাচেষ্টার অভিযোগে এক যুবককে গ্রেফতার করা হয়েছে। ওই বস বিষয়টি আগেভাগে জানতে পেরেছিলেন। সেজন্য তিনি ওই পানীয় পান করেননি। অভিযুক্তের বিরুদ্ধে দায়ের করেন হত্যা ও হুমকির মামলা। ঘটনাটি ঘটেছে তুরস্কে।
কিন্তু কেন ওই যুবক তার বসতে মেরে ফেলতে চাইলেন? ওই বস পেশায় দক্ষিণ-পূর্ব তুরস্কের গাড়ি ব্যবসায়ী। নাম ইব্রাহিম উনভের্দি। তিনি গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন, তার ওই অধস্তন কর্মী রীতিমতো বিশ্বস্ত ছিলেন। সেই জন্য সম্প্রতি একটি গাড়ি বিক্রির ৩০ হাজার ডলার তার হাতে দিয়ে অফিসে পৌঁছে দিতে বলেন। আর তাতেই ঘটে বিপত্তি। টাকা নিয়ে চম্পট দেয় অভিযুক্ত। সেদিন বারবার ফোন করেও মেলেনি তার সাড়া। তবে পরের দিন অবশ্য ফোনে উত্তর মিলেছিল। দেনার দায়ে ডুবে যাওয়ায় ওই টাকাগুলো দিয়ে ঋণমুক্ত হওয়ার লোভ তিনি সামলাতে পারেননি বলে ইব্রাহিমকে জানান।
তবে কেবল টাকা নিয়ে পালানোই নয়, তার আগে বসকে মেরে ফেলতে তার পানীয়তে করোনা রোগীর লালারস মিশিয়ে দেন। রীতিমতো ৭০ ডলার খরচ করে ওই লালারস কিনেছিলেন তিনি। কিন্তু অন্য এক সহকর্মী তা দেখে ফেলেন। তিনিই সাবধান করে দেন বসকে। সেকথা বসের কাছে স্বীকারও করেন অভিযুক্ত। হুমকি দিয়ে বলেন, ভাইরাস দিয়ে তো হলো না। পরের বার গুলি করে বসের খুলিই উড়িয়ে দেবেন।বিশ্বস্ত কর্মীর এই ভোলবদল মানতে পারছেন না বস। পাশাপাশি পানীয়তে চুমুক দিলে কী হতে পারত, তা ভেবেও শিউরে উঠছেন। তিনি বলেন, ‘এই প্রথম হত্যার এমন ভয়ানক পদ্ধতির কথা জানলাম। সৃষ্টিকর্তাকে ধন্যবাদ, আমি অসুস্থ হয়ে পড়িনি। কেবল আমিই নই, বাড়িতে আমার অসুস্থ বাবা-আছেন। তারা আমার থেকে করোনা আক্রান্ত হয়ে পড়লে আর বাচানো যেত না। এর থেকে আমাকে গুলি করে মেরে ফেললেও ভালো। তাহলে অন্তত আমি একা মারা যেতাম। বাবা-মায়ের কোনও ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা থাকত না।’