চটি ফেভারিট হলে সাবধান!
[kodex_post_like_buttons]
কলকাতা টাইমস :
আজকাল আমরা অনেকেই স্টাইলিশ ফ্লিপফ্লপ বা রংবেরঙের টটি পরতে খুব ভালবাসি। এতে পায়ের সৌন্দর্য বৃদ্ধি পায় ঠিকই, কিন্তু একথা কি জানা আছে যে শরীরের জন্য এই ধরনের জুতো একেবারেই ভাল নয়। একাধিক কেস স্টাডি করে দেখে গেছে, চটি পরে হাঁটার সময় শরীরের ভারসাম্য মারাত্মকভাবে বিঘ্নিত হয়। সেই সঙ্গে পায়ে সংক্রমণের আশঙ্কাও বৃদ্ধি পায়।
অসলে পা যত কম ঢাকা থাকবে, তত রাস্তায় ঘুরে বেরানো হাজারও ব্যাকটেরিয়া, ফাঙ্গাস এব ভাইরাসেরা বেশি করে আক্রমণ চালাবে। ফলে বাড়বে সংক্রমণের সম্ভবনাও। চটির গঠনের কারণে চলার সময় হোঁচট খাওয়ার সম্ভবনা যেমন বেড়ে যায়, তেমনি গোড়ালিতে আঘাত লাগার আশঙ্কাও বৃদ্ধি পায়। এখানেই শেষ নয়, আরও নানাভাবে চটি আমাদের শারীরিক ক্ষতি করে থাকে, যে সম্পর্কে জানলে হয়তো চটি পরাই ছেড়ে দেবেন আপনারা।
১. জয়েন্ট এবং পেশির ক্ষতি করে: সারা দিন চটি পরে হাঁটাহাঁটি করলে প্রথমেই গোড়ালি ক্ষতিগ্রস্থ হয়। তারপর ধীরে ধীরে শরীরের একাধিক পেশি, এমনকী স্পাইনাল কর্ডও মারাত্মকভাবে আঘাত প্রাপ্ত হয়।
২. পরে যাওয়ার আশঙ্কা বৃদ্ধি পায়: একাধিক কেস স্টাডি করে দেখা গেছে চটি পরে হাঁটার সময় হোঁচট খাওয়ার সম্ভবনা বৃদ্ধি পায়। কেন জানেন? আসলে এই ধরনের জুতো পরলে শারীরিক ভারসাম্য একেবারে ঠিক থাকে না। যে কারণে পরে যাওয়ার প্রবণতা বৃদ্ধি পায়।
৩. কিছু ভুল অভ্যাস রপ্ত হয়ে যায়: চটি পরে হাঁটার সময় বড় বড় পদক্ষেপ ফেলে হাঁটা সম্ভব হয় না। ফলে কোমরের নিচের দিকে এবং হাঁটুতে মারাত্মক চাপ পরে। আর এমনটা দীর্ঘ সময় ধরে হতে থাকলে শরীরের এই অংশগুলির ক্ষয় হতে শুরু করে, যা শরীরের পক্ষে মোটেও ভাল নয়।
৪. ফোসকা পরার প্রবণতা বৃদ্ধি পায়: চটি পরলে ফোসকা পরবেই। আর এমনটা হলে পায়ের ওই অংশে ক্ষতিকর ব্যাকটেরিয়া এবং ভাইরাসের সংখ্যা বৃদ্ধি পায়। ফলে সমস্যা কমার নাম তো নেয়ই না, উলটে আরও কিছু রোগকে ডেকে আনে।
৫. শিরদাঁড়ায় মারাত্মক চাপ পরে: যেমনটা আগেও বলা হয়েছে, চটি পরে হাঁটলে শরীরিক ভারসাম্য বিগড়ে যায়। যে কারণে শিরদাঁড়ার উপর মারাত্মক চাপ পরে। ফলে পিটে ব্যথা হওয়ার মতো সমস্যা দেখা দেয়।
নতুন ডায়েট হ্যাক! এই মেয়েটি তার বিয়ের আগে 5 Kg ওজন কমিয়েছে – চেক করুন Weight Loss কী ধরনের জুতো পায়ের জন্য ভাল: একাধিক গবেষণায় দেখা গেছে পায়ের পাতা ঢাকা থাকবে এমন জুতো পরলে বেশি উপকার পাওয়া যায়। কারণ এমন জুতো শুধু সংক্রমণের হাত থেকেই বাঁচায় না। সেই সঙ্গে শরীরের ভারসাম্য ঠিক রেখে চোট-আঘাত লাগার আশঙ্কাও কমায়।