প্রাক্তনীর এক মন্তব্যেই একদিনেই ৪১ হাজার অভিযোগ!
মেগান মার্কেল ব্রিটিশ রাজপরিবারের ছোট বধূ। ডিউক অব সাসেক্স প্রিন্স হ্যারির স্ত্রী। সম্প্রতি তার এক বিস্ফোরক মন্তব্যে প্রকাশ্যে এসেছে ব্রিটেনের রাজপরিবারের বর্ণবাদসহ নানা বৈষম্যমূলক আচরণ, যা বিশ্বব্যাপী হইচই ফেলে দিয়েছে।
এবার সেই মেগানকে নিয়ে মন্তব্য করে বিপাকে পড়েছেন তার প্রাক্তন বয়ফ্রেন্ড পিয়ার্স মরগান।
তিনি ব্রিটেনের আইটিভির ব্রেকফাস্ট শো ‘গুড মর্নিং ব্রিটেনের’ উপস্থাপক। ইতোমধ্যেই এই দায়িত্ব থেকে সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা করেছেন দেশটির জনপ্রিয় টেলিভিশন এই হোস্ট।এর আগে তার প্রাক্তন প্রেমিকা, যিনি এখন প্রিন্স হ্যারির স্ত্রী, সেই মেগান মার্কলেকে নিয়ে এক মন্তব্যের জেরে তার বিরুদ্ধে ৪১ হাজার অভিযোগ এসেছে।
এক বিবৃতিতে আইটিভি জানিয়েছে, ‘গুড মর্নিং ব্রিটেন’ শো থেকে পদত্যাগের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন মরগান। আইটিভি তার সিদ্ধান্তকে মেনে নিয়েছে।
তার পদত্যাগের বাইরে টেলিভিশনটি আর কোনও তথ্য দেয়নি।
প্রিন্স হ্যারির সঙ্গে যোগাযোগ হওয়ার পর থেকেই মরগানের সঙ্গে সম্পর্ক কেটে দিয়েছেন মেগান। এরপর থেকেই তার বিরুদ্ধে কঠোর সমালোচনা করে আসছিলেন এই উপস্থাপক।
অপরাহ উইনফ্রকে দেওয়া সাক্ষাৎকারের পর ব্রিটিশ রাজবধূকে নিয়ে তিনি আরও কড়া ভাষায় আক্রমণ করেন। সিএনএনের প্রাক্তন এই উপস্থাপক বলেন, মেগান ‘আর বেঁচে থাকতে চাননি’ বলে যে মন্তব্য করেছেন— তা আমি বিশ্বাস করছি না।
এরপর তার বিরুদ্ধে অভিযোগের জোয়ার নেমে আসে। তার মন্তব্যের একদিন পরেই ৪১ হাজার অভিযোগ পেয়েছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা অফকম।
এছাড়া সাক্ষাৎকার নিয়ে মঙ্গলবার সহকর্মী উপস্থাপক অ্যালেক্স বেরেসফোর্ডের সঙ্গে দ্বন্দ্বে জড়িয়ে তিনি সেট ছেড়ে উঠে যান।
বেরেসফোর্ড বলেন, আমি বুঝতে পেরেছি যে মেগানের সঙ্গে আপনার একটা ব্যক্তিগত সম্পর্ক ছিল এবং সেই সম্পর্ক সে ছেদ করে চলে গেছে।
‘যদি সে চায়, তবে আপনার সঙ্গে সম্পর্কচ্ছেদ করার অধিকার সে রাখে। সম্পর্ক ছিন্ন করার পর সে কি আপনাকে নিয়ে কোনও মন্তব্য করেছে? আমার মনে হয় না, সে এমন কিছু করেছে— কিন্তু আপনি নিয়মিত তাকে নিয়ে বাজে বকে যাচ্ছেন।’
এই মন্তব্যের পরই সেট ছেড়ে উঠে যান পিয়ার্স মরগান। গত বছরে মহামারী নিয়ন্ত্রণে ব্রিটিশ সরকারের ভূমিকার কঠোর সমালোচক ছিলেন তিনি।