এগুলি খেয়েছেন কি রাতে দুঃস্বপ্ন অবধারিত !
[kodex_post_like_buttons]
কলকাতা টাইমস :
স্বপ্ন দেখতে কে না ভালোবাসে। কিন্তু তা অবশ্যই সুখের হলেই আনন্দের। কিন্তু সে স্বপ্ন যদি হয় খারাপ বা ভয়ের কিছু, তাহলে ? জানলে অবাক হবে এই স্বপ্ন কি হবে তা নির্ভর করে রাতের খাবারের ওপর।
তাহলে একবার ভেবে দেখুন তো, রাতে কি খাবার খেয়েছেন। আমি, আপনি ঘুমের মধ্যে ভয় পেয়ে শুধু জেগে থাকলেও, রাতদিন এক করে এর উপর গবেষণা করেছেন একদল বৈজ্ঞানিক। তাদের মতে, আমরা রাতের বেলা যা খাই, তার সঙ্গে স্বপ্ন দেখার এক বিরাট যোগ আছে। তাহলে চলুন জেনে নেওয়া যাক, কি কি খাবার খেলে আমাদের রাত হয়ে ওঠে দুঃস্বপ্নের।
আইস ক্রিম: রাতে ঘুমোতে যাওয়ার আগে কোনোভাবেই আইসক্রিম খাওয়া উচিত নয়। এতে দেহের অন্দরে উৎসেচকের পরিবর্তন ঘটে এবং মস্তিষ্ক সজাগ হতে ওঠে। ফলে ঘুম আসতে চায় না। একই ঘটনা ঘটে যদি শুতে যাওয়ার আগে কফি, চা, ইত্যাদি খাওয়া হয় তো। এই খাবারগুলি ফলে মস্তিষ্কে এমন পরিবর্তন হয় যে নানা চিন্তা আসতে থাকে এবং রাতে বাজে বা ভয়ঙ্কর স্বপ্ন দেখার সম্ভাবনা বৃদ্ধি পায়।
চিজ: রাতে শুতে যাওয়ার আগে চিজ বা কোনও দুগ্ধজাত খাবার খেতে নেই। কারন এই ধরণের খাবারগুলোতে প্রচুর পরিমাণে ট্রিপ্টোফ্যান থাকে, যা ঘুমে ব্যাঘাত ঘটায়। ফলে জাগ্রত বা আধা ঘুমের মধ্যে বাজে স্বপ্ন দেখার প্রবণতা বাড়ে।
সেলেরি পাতা: সেলেরি পাতা রাতে খেলে এতে বারবার মূত্রত্যাগের প্রবণতা বৃদ্ধি পায়। ফলে ঘুমের ব্যাঘাত ঘটে। সেই সঙ্গে কোনও এক অজানা কারণে স্বপ্নের চরিত্রও বদলে যেতে শুরু করে। তাই রাতে কখনোই সেলেরি খাওয়া উচিত নয়।
হট সস: রাতে শুতে যাওয়ার আগে কখনোই খুব বেশি পরিমাণে মশলাদার খাবার খাওয়া উচিত নয়। এতে দেহের অন্দরে বিশেষ কিছু ধরনের উৎসেচকের ক্ষরণ বেড়ে যায়। ফলে মস্তিষ্ক এতটাই সজাগ হয়ে যায় যে ঘুমে ব্যাঘাত ঘটে। যার ফলে রাতে দুঃস্বপ্ন দেখার আশঙ্কা বৃদ্ধি পায়।
মাদকজাতীয় পানীয়: রাতে কি মদ্যপান করার অভ্যাস আছে? তাহলে এই অভ্যাস বদলে ফেলুন। আসলে এই অভ্যাস আমাদের ঘুমে ব্যাঘাত ঘটায়। এমনকি নানারকম শারীরিক সমস্যার সৃষ্টি করতে পারে। সেই সঙ্গে দুঃস্বপ্ন দেখার সম্ভাবনা বেড়ে যায়।
কুকিজ: রাতে শুতে যাওয়ার আগে খুব বেশি মিষ্টি দেওয়া কোনও খাবার বা স্ন্যাক্স খাবেন না। বেশ কিছু সমীক্ষায় দেখা গেছে এমন খাবার খেলে দুঃস্বপ্ন দেখার প্রবণতা প্রায় ৩১ শতাংশ বৃদ্ধি পায়।
পিৎজা: পিৎজা মানেই তাতে বেশ অনেক পরিমাণে চিজ দেওয়া থাকবে। আর যেমনটা আগেও বলা হয়েছে যে, চিজ সহ যে কোনও দুগ্ধজাত খাবার ঘুমে ব্যাঘাত ঘটায়। তাই নিশ্চিন্তে ঘুমোতে কখনোই রাতে পিৎজা খাওয়া উচিত নয়।
চিপস: রাতের বেলায় যদি মুচমুচে চিপস খান। তাহলে কিন্তু ঘোর বিপদ! এতে খারাপ স্বপ্ন দেখার প্রবণতা প্রায় ১২.৫ শতাংশ বৃদ্ধি পায়। তাই সাবধান!
ক্যাফেইন: ক্যাফেইন অর্থাৎ কফি বা কফি মেশানো কোনও খাবার খেলে এনার্জি হঠাৎ করে বৃদ্ধি পায়। এর ফলে ঘুম আসতে চায় না, যে কারণে আধা ঘুমন্ত অবস্থায় খারাপ স্বপ্ন দেখার আশঙ্কা বাড়ে।
পাউরুটি: স্টার্চ মেশানো কোনও খাবার রাতে খাওয়া উচিত নয়। যেমন ধরুন- পাউরুটি, পাস্তা ইত্যাদি। কারণ এমন খাবার খেলে শরীরে শর্করার পরিমাণ বৃদ্ধি পায়, সেই সঙ্গে ঘুমের ব্যাঘাত ঘটে।
সোডা: রাতে শুতে যাওয়ার আগেই শুধু নয়, সারাদিনের মধ্যে কখনই সোডা খাওয়া উচিত নয়। কারণ এর মধ্যে প্রচুর পরিমাণে চিনি জাতীয় উপাদান থাকে, যা মারাত্নকভাবে ঘুমের ব্যাঘাত ঘটায় এবং এই কারণেই খারাপ স্বপ্ন দেখার সম্ভাবনা বৃদ্ধি পায়।
রসুন: রক্তকে জমাট বাঁধার হাত থেকে রক্ষা করে রসুন। কিন্তু রাতের বেলা রসুন খেলে এই কাজের পরিমাণ বৃদ্ধি পায়। ফলে শরীরের মধ্যে অস্বস্তি হতে থাকে এবং ঘুমের ব্যাঘাত ঘটে। ফলস্বরূপ দুঃস্বপ্ন দেখতে হয় গভীর রাতে।