বিয়ের পরে রোজ রাতে স্বামীর সঙ্গে এই কাজটা না করলে স্বস্তি পান না বিদ্যা
কলকাতা টাইমস :
বলিউডের নামকরা অভিনেত্রী বিদ্যা বালনের মুখে লাগাম নেই! যখন যা মনে হয়, তাই বলে ফেলেন! সরল, সহজ মেয়ে এই বিদ্যা। যা বলেন সোজাসাপটা। তাই তো নিজের দাম্পত্য জীবনের গোপন ব্যাপারস্যাপার সর্বসমক্ষে চিৎকার করে বলতে পারেন।
সিদ্ধার্থ রায় কপূরের সঙ্গে বিয়ে হয়েছে বিদ্যার। বিয়ের পরেও চুটিয়ে কাজ করে যাচ্ছেন তিনি। একটি মঞ্চে সঞ্চালক সালমান মঞ্চে ডেকে নেন বিদ্যাকে। ‘পরিণীতা’র নায়িকা মঞ্চে আসতেই সলমন তাঁর স্বভাবসিদ্ধ ভঙ্গিতে শুরু করেন, ‘আপনার সঙ্গে আমার কবে প্রথম দেখা হয়েছিল মনে আছে?’ লাজুক হেসে বিদ্যার জবাব, ‘হ্যাঁ, বেশ মনে আছে।’
সালমান বলে চলেন, ‘আমস্টারডামে প্রথম দেখা। আপনি ছিলেন। সঙ্গে ছিলেন আপনার বাবা।’ বিদ্যা হাসতে হাসতে বলেন, ‘আপনি বাবার সামনে একটা গানও করেছিলেন।’ সালমান সেই গানের দু’ কলি গেয়েও শোনান। উপস্থিত দর্শকরা তখন তো হেসে খুন। দর্শকদের তালিকায় উপস্থিত ছিলেন অনুষ্কা শর্মা, প্রিয়ঙ্কা চোপড়া-সহ আরও অনেকে। সামনের সারিতে বসে বিদ্যার স্বামী সিদ্ধার্থ রায় কপূর।
সালমান বিদ্যাকে অস্বস্তিতে ফেলে ফেলে প্রশ্ন ছুড়ে দেন, ‘বিদ্যা, বিয়ের পরে কেমন চলছে সব কিছু?’ অপ্রস্তুত হয়ে পড়ার মেয়েই নন তিনি। হেসে ফেলেন বিদ্যা। হাসতে হাসতেই সলমনের প্রশ্নের জবাবে বিদ্যা বলতে থাকেন, ‘বিয়ের পরে আমার যা পছন্দ, যেটা ভাল লাগে, তা আমি রাতেই করি…।’
কথা শেষ করেন না বিদ্যা। মাইক হাতে বিদ্যা যা বললেন, তাতে সবাই অবাক। সালমানেরও চোখ কপালে। দর্শক আসনে বসে থাকা অনুষ্কা অবাক হয়ে গিয়েছেন, মুখে হাত দিয়ে ফেলেছেন। প্রিয়ঙ্কার মাথা লজ্জায় হেঁট। স্বামী সিদ্ধার্থ চোয়াল শক্ত করে বসে রয়েছেন। আশঙ্কা করছেন, এই বুঝি বেফাঁস কিছু বলে ফেলেন বিদ্যা।
একটু নিঃশ্বাস নিয়ে, নিজেকে স্থির করে বিদ্যা বলতে শুরু করেন, ‘বিয়ের পরে আমার যা পছন্দ, যেটা ভাল লাগে, তা রাতেই করি। কারণ আমার স্বামী সিদ্ধার্থ রায় কপূর খুব সকালে অফিসে চলে যান। অফিস থেকে রাতে বাড়ি ফেরেন। আমরা দু’জনে রাতে একসঙ্গে ডিনার করি।’ বিদ্যার মুখে এই কথা শুনে সবাই তখন হাসিতে ফেটে পড়েছেন। সলমনও শুরু করে দিয়েছেন রসিকতা।
বলছেন, ‘একসঙ্গে খাবার খাওয়ার জন্য কেউ বিয়ে করে, এমনটা তো কখনও শুনিনি।’ হাসিতে ফেটে পড়েন সবাই ।