সর্বনাশ : তোশক বানাতে তুলোর সঙ্গে কারি-কারি ব্যবহৃত মাস্ক ভরছে কারখানা
কলকাতা টাইমস :
গত ২৪ ঘণ্টায় ভারতে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন দেড় লাখেরও বেশি মানুষ। এমন পরিস্থিতিতেও কিছু অসাধু ব্যবসায়ী নিজেদের স্বার্থসিদ্ধির জন্য মানুষকে আরো ভয়াবহ বিপদের মুখে ঠেলে দিচ্ছে।
সর্বনাশ ডেকে আনছেন কিছু স্বার্থপর মানুষই। জঞ্জালে ফেলে দেওয়া ব্যবহৃত মাস্ক ব্যবহার করে তৈরি হচ্ছে গৃহস্থালির বিছানার তোশক। সেই তোশক প্যাকিং চলে যাচ্ছে রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তের ছোট থেকে বড়, নামি থেকে বেনামি দোকানে। তারপর তা কিনে নিয়ে বাড়িতে ফিরছেন আপনার-আমার মতো সাধারণ মানুষ।
গোপন সূত্রে ভয়ংকর এ ঘটনার সঙ্গে যুক্ত চক্রের সন্ধান পায় পুলিশ। আচমকা তল্লাশি চালায় মহারাষ্ট্রের জলগাঁও জেলার এই তোশক তৈরির কারখানায়। এ অভিযোগ কারখানার মালিক আমজাদ আলী মনসুরির বিরুদ্ধে। তাকে গ্রেপ্তার করে তার বিরুদ্ধে একাধিক ধারায় মামলা রুজু হয়েছে। আমজাদকে জেরা করে চক্রের সঙ্গে আরো কে বা কারা যুক্ত তার সন্ধান করছে পুলিশ।
জলগাঁওয়ের ‘মহারাষ্ট্র ম্যাট্রেস সেন্টার’ নামে যে কারখানায় তোশক তৈরি হতো, সেটি মুম্বাই থেকে ৪০০ কিলোমিটার উত্তর-পূর্বে অবস্থিত। জানা গেছে, তোশকের মধ্যে কম তুলা দিয়ে সেই জায়গায় ব্যবহৃত মাস্ক মিলিয়ে দিত কারখানার কর্মীরা। সেই তোশক চলে যেত বিক্রির জন্য।
* পুলিশ সুপার চন্দ্রকান্ত গোয়ালি জানিয়েছেন, মহারাষ্ট্র ইন্ডাস্ট্রিয়াল ডেভেলপমেন্ট করপোরেশন থানার পুলিশ যখন কুসুম্ব গ্রামের কারখানাটিতে অতর্কিতে হানা দেয়, তখন ব্যবহৃত মাস্ক দিয়ে তোশক তৈরির প্রক্রিয়া চলছিল।
* মহারাষ্ট্র পুলিশ কারখানায় থাকা সব মাস্ক তৎক্ষণাৎ পুড়িয়ে দেয় করোনাবিধি মেনে। কারখানার মালিককে জেরা করা হচ্ছে তার এই চক্রে আর কারা যুক্ত তা জানতে।
* উল্লেখ্য, গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে নতুন করে করোনায় আক্রান্ত হয়েছে এক লাখ ৬৮ হাজার মানুষ। তার মধ্যে শুধু মহারাষ্ট্রেই সংখ্যাটা ৬৩ হাজার ২৯৪। মৃত্যু হয়েছে ৩৪৯ জনের। পরিসংখ্যান অনুযায়ী, বিশ্বে এই মুহূর্তে প্রতি ছয়জনের মধ্যে একজন এই মারণভাইরাসে আক্রান্ত। সেই জায়গায় দাঁড়িয়ে ব্যবহৃত মাস্ক পুনর্ব্যবহার করে এমন ব্যবসা দেখে মনুষ্যত্ব নিয়ে প্রশ্ন উঠছে