তাদের মিষ্টি প্রেম কেন তেতো ওষুধে পরিণত হল জানেন ?
কলকাতা টাইমস :
সত্য আর আগুনের মতো বলিউড পাড়ার কোনো গুঞ্জনও কখনো চাপা থাকে না। সেটা প্রেম থেকে বিয়ের গুজব কিংবা সম্পর্কচ্ছেদ—যেকোনো কিছু। মাঝেমধ্যে প্রেম গড়ায় বিয়ে অবধি, আবার সম্পর্কচ্ছেদ হতেও সময় লাগে না। অনেকে আবার প্রেমের সম্পর্ক ছিন্ন করে একসঙ্গে কাজ করে যান বন্ধুর মতো। তবে কিছু ভাঙন এতটাই তিক্ততার মধ্য দিয়ে হয় যে একসঙ্গে কাজ করা তো দূরের কথা, কেউ কারও ছায়া পর্যন্ত মাড়াতে চান না। বছরের পর বছর চলে গেলেও তাঁদের মন এতটুকু গলে না। প্রেমের সম্পর্ক ভেঙে যাওয়ার পর আর একসঙ্গে কাজ করতে দেখা যায়নি যাঁদের, জেনে নিন তাঁদের কথা—
শহিদ-কারিনা: শহিদ কাপুর আর কারিনা কাপুর খানের ‘জাব উই মেট’ ছবিটা নিশ্চয়ই সিনেমাপ্রেমীদের মনে দাগ কেটে আছে? কী ভীষণ মিষ্টি জুটি ছিলেন তাঁরা! কিন্তু কারিনা হঠাৎ পেয়ে গেলেন সাইফ আলী খানকে। শোনা গেছে, শহিদ নাকি কারিনার ওপর একটু বেশিই খবরদারি করতেন। এ জন্য হয়তো শহিদে মন টেকেনি ‘বেবো’র।
জন-বিপাশা: করণ সিং গ্রোভারকে বিয়ে করে বেশ সুখে আছেন বিপাশা। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তাঁদের পোস্ট করা ছবিগুলো দেখে এমনটাই মনে হয়। ঠিক আগে যেমন মনে হতো বিপাশা আর জন আব্রাহামকে একসঙ্গে দেখলে। দশ বছরের প্রেম বলে কথা! বিয়ে পর্যন্ত কথাবার্তা গড়ালেও শেষ পর্যন্ত সাত পাকে বাঁধা পড়া হয়নি ‘জিসম’ জুটির। দুজনের কেউ কখনো বিচ্ছেদের কারণ প্রকাশ করেননি। এ ব্যাপারে যেকোনো প্রশ্ন এড়িয়ে গেছেন তাঁরা। যদিও বিপাশা এটুকু বলেছেন, এই ক্ষত কোনো দিন শুকোনোর নয়।
বিবেক-ঐশ্বরিয়া: ঐশ্বরিয়ার মন ভেঙে দিয়েছিলেন বিবেক ওবেরয়। প্রেমের সম্পর্কটা তাঁরা কখনো স্বীকার করেননি। কিন্তু দুজনের সব সময় একসঙ্গে চলাফেরা নজরে পড়ে যায় গণমাধ্যমের। তখন ঐশ্বরিয়ার প্রাক্তন প্রেমিক সালমান খান নাকি বিবেককে প্রাণনাশের হুমকিও দিয়েছিলেন! সংবাদ সম্মেলন করে সবাইকে এ কথা জানিয়েছিলেন বিবেক। এতে ক্ষুব্ধ হন ঐশ্বরিয়া। যোগাযোগ বন্ধ করে দেন বিবেকের সঙ্গে। বিবেক দাবি করেছিলেন, ঐশ্বরিয়ার পরামর্শে তিনি ওই কথা বলেছিলেন। যদিও পরে অনুশোচনা হলে সালমানের কাছে ক্ষমা চেয়েছিলেন ‘সাঁথিয়া’ তারকা। কিন্তু ক্ষমা তিনি পাননি আজ অবধি।
অমিতাভ-রেখা: অমিতাভ বচ্চন আর রেখার প্রেমকাহিনি বলিউড ইতিহাসের অংশ। যদিও প্রেমের কথা জনসম্মুখে প্রকাশ না করলেও, পর্দায় তাঁদের প্রেম একদম বাস্তব মনে হতো! সম্পর্কচ্ছেদ হওয়ার অনেক বছর পর ১৯৮৪ সালে এক ম্যাগাজিনকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে সত্যটা স্বীকার করেন রেখা। জানিয়েছিলেন, তাঁদের মধ্যে প্রেম ছিল। কিন্তু অমিতাভ তাঁদের স্ত্রী-সন্তানদের কথা ভেবে সেই সম্পর্কে ইতি টেনেছিলেন। দুজনে একসঙ্গে শেষবারের মতো অভিনয় করেছেন ‘সিলসিলা’ ছবিতে। মজার ব্যাপার, সেই ছবির গল্প নাকি অমিতাভ, তাঁর স্ত্রী জয়া ও সাবেক প্রেমিকা রেখার ত্রিভুজ প্রেমের সঙ্গে একদম মিলে যায়!