খাবারে কেন বিষক্রিয়া হয় জানলেই ..
কলকাতা টাইমস :
খাবার রান্না শুরুর আগের সময়টা যদি টয়লেট বা অন্যান্য নোংরা স্থান পরিষ্কার করে থাকেন, তাহলে ফুড পয়জনিংয়ের শিকার আপনি একা নন। এসব কারণে লাখ লাখ মানুষ প্রতিদিন এ পরিস্থিতির শিকার হয়ে থাকে। সবাই সালমোনেলা বা অন্যান্য সাধারণ ব্যাকটেরিয়াকে বিষক্রিয়ার জন্য দায়ী করে। কিন্তু ভুল ভাবছেন। এমন অনেক ভাইরাস রয়েছে, যা খাদ্যের মাধ্যমে দেহে প্রবেশ করে এবং একই ধরনের লক্ষণ প্রকাশ করে। বমি ভাব আনা পরিচিতি এক ভাইরাসের নাম ‘নরোভাইরাস’।
পচা খাবার মানেই বিষক্রিয়া নয়
পচা খাবার খেলেই যে বিষক্রিয়া হবে—এমন কোনো কথা নেই। এটি এমন একটি বিষয়, যা একজন থেকে অন্যজনে ছড়াতে পারে। ‘ডিসিক্রেট নিউজ’ জানায়, আপনার কাছের কেউ এতে আক্রান্ত হলে কোনো খাবার না খেয়ে আপনিও ভুগতে পারেন। আক্রান্ত ব্যক্তি কোনো ভালো খাবার স্পর্শ করার পর তা খেলে আপনারও ফুড পয়জনিং হতে পারে।
পোল্ট্রি বিষয়ে সাবধান
খাবারে বিষক্রিয়া ঘটলেই যে পোল্ট্রির মুরগিকে দোষারোপ করতে হবে, বিষয়টা তেমন নয়। তবে মুরগি বা টার্কি বড় ধরনের কালপ্রিট হতে পারে। ২০০৬ ও ২০০৭ সালে যুক্তরাষ্ট্রে মহামারি ফুড পয়জনিংয়ের পেছনে পোল্ট্রি দায়ী ছিল বলে এনবিসি নিউজ জানায়।
খাবার থেকে হেপাটাইটিস ‘এ’
‘ই. কোলি’র নাম অনেকেই শুনেছেন। কিন্তু আপনি হয়তো জানেন না, খাবার থেকেও আপনি ‘হেপাটাইটিস এ’-তে আক্রান্ত হতে পারেন। সাধারণত খাদ্য ও পানির জীবাণু থেকে এটি ছড়ায়। এই রোগে লিভার ক্ষতিগ্রস্ত হতে থাকে। যেসব দেশে পানিদূষণ বেশি, সেখানকার মানুষ ই. কোলির কারণে ফুড পয়জনিংয়ের শিকার হতে পারে।
আন্দাজে ওষুধ নয়
খাদ্য বিষক্রিয়ার চরম অবস্থা প্রকাশ পেতে পারে বমি আর ডায়রিয়ার মাধ্যমে। আবার এসব লক্ষণ প্রকাশ পাওয়ার অর্থ এই নয় যে আপনার ফুড পয়জনিং ঘটেছে। তাই ওষুধ খাওয়ার আগে অবশ্যই বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিতে হবে।