ভোটের দায়িত্বের বলি বহু শিক্ষক, চরম সিদ্ধান্ত শিক্ষক সংগঠনের
কলকাতা টাইমস :
শোনেনি নির্বাচন কমিশন (ইসি)। জোর করে ভোটের ডিউটিতে পাঠানো হয়েছিল শিক্ষকদের। এখন করোনায় চলে গেছে বহু শিক্ষকের প্রাণ! তাই একপ্রকার বাধ্য হয়েই উত্তরপ্রদেশের পঞ্চায়েত ভোটের গণনা বয়কটের ডাক দিল আরএসএসের শিক্ষক সংগঠন। আরও বেশ কয়েকটি সংগঠন ভোটগণনা বয়কটের ডাক দিয়েছে। সব মিলিয়ে প্রায় ৬০ হাজার শিক্ষক রবিবার গণনার জন্য ভোটগ্রহণ কেন্দ্রে যেতে আপত্তি জানিয়েছেন।
আসলে করোনা পরিস্থিতিতে পঞ্চায়েত ভোটের আয়োজন নিয়ে শুরু থেকেই আপত্তি জানিয়েছিল শিক্ষক সংগঠনগুলো। কিন্তু রাজ্যের নির্বাচন কমিশন তাতে আমল দেয়নি। প্রশাসনের তরফে একপ্রকার জোর করে শিক্ষকদের ভোটের ডিউটিতে পাঠানো হয়।
শিক্ষক সংগঠনগুলোর দাবি, গত ১২ এপ্রিল থেকেই রাজ্যে কোভিড পরিস্থিতি ভয়াবহ রূপ ধারণ করেছে। সেই সময় নির্বাচন কমিশনের কাছে ভোট স্থগিত করার আবেদন জানানো হয়েছিল। কিন্তু শিক্ষক সংগঠনের সেই দাবি মানা হয়নি। উল্টো শিক্ষকদের ভয় দেখানো হয়। ভোটের ডিউটিতে না গেলে বেতন দেওয়া হবে না, এফআইআর দায়ের করা হবে, নানাবিধ হুমকি দেওয়া হয়। তাই অনিচ্ছা সত্ত্বেও ভোটের ডিউটিতে যেতে বাধ্য হন শিক্ষকরা।
আরএসএস অনুমোদিত শিক্ষক সংগঠন রাষ্ট্রীয় শিক্ষক মহাসংঘের দাবি, আমরা শিক্ষকদের প্রাণ বাঁচাতেই ভোটের গণনা বয়কটের এই সিদ্ধান্ত নিয়েছি। আমাদের কাছে হাজার হাজার অনুরোধ আসছিল শিক্ষকদের পক্ষ থেকে। শিক্ষকরা ভীষণ ভয় পাচ্ছেন। বিশেষজ্ঞরাও বলছেন, মে মাসে করোনা চরম আকার নেবে। উত্তরপ্রদেশ শিক্ষক মহাসংঘের তরফে আবার দাবি করা হয়েছে, “সরকার আমাদের নিয়ে একেবারেই চিন্তিত নয়। ভোটের ডিউটিতে গিয়ে আমরা ৭০৬ জন শিক্ষককে হারিয়েছি। সংখ্যাটা আরও বাড়তে পারে। সব বিবেচনা করে আমরা গণনা বয়কটের সিদ্ধান্ত নিয়েছি।”
সংগঠনগুলোর দাবি, সব মিলিয়ে ৬০ হাজার শিক্ষক গণনা বয়কট করবেন, যা কমিশনের কপালে চিন্তার ভাঁজ ফেলেছে।