শিবের বাবা ও দাদু, তারা আবার কে ?
কলকাতা টাইমস :
শিরোনাম দেখেই নিশ্চয়ই কৌতুহল জন্মেছে আপনার মধ্যে। ভাবছেন, শিবের বাবা? কে হতে পারে? তেত্রিশ কোটি দেবতার একেক জনের একেক রকমের বেশ।
তবে এর মধ্যে শিব ঠাকুরের পোশাক কিন্তু বেশ ‘ইউনিক’। বাঘের ছালকে পোশাক হিসেবে পরতে দেখা যায় একমাত্র তাকেই। মাথায় জটা, জটায় সাপ আর পরনে বাঘছালই অন্যান্যদের থেকে আলাদা করে দেয় শিব ঠাকুরকে।
কথিত আছে, এক সাধু শিব ঠাকুরকে একদিন প্রশ্ন করেছিলেন, কে ছিল তার বাবা? এই প্রশ্নের উত্তরে শিব জানিয়েছিলেন, ব্রহ্মা ছিলেন তার বাবা। এরপরই ফের আবার সেই সাধুটি শিব ঠাকুরের কাছে জানতে চায়, তার দাদুর নাম কি ছিল?
শিব জানায়, তার দাদু ছিলেন বিষ্ণু। কিন্তু এই উত্তর জেনেও দমে থাকেন নি সাধু। তিনি জানতে চান, শিবের প্রপিতামহ কে ছিলেন? এই প্রশ্নের উত্তর শুনে চমকে যান ওই সাধু। শিব জানায়, সে নিজেই নিজের প্রপিতামহ।
তবে, শুধু তাই-ই নয়। শিবের অবির্ভাবের পিছনে রয়েছে আরও একটি মজার ঘটনা। কথিত আছে, ব্রহ্মা এবং বিষ্ণুর মধ্যে কে বেশি শক্তিশালী। এই নিয়ে দু’জনের মধ্যেই বাগবিতন্ডা হয়। সেই সময় আচমকাই হালকা একটি জ্বলন্ত বাতিস্তম্ভ দেখা যায়। যে বাতিস্তম্ভের শুরু এবং শেষ কোথায় সেটি কোনদিন জানতে পারেননি ব্রহ্মা কিংবা বিষ্ণুরও।
হিন্দু ধর্মগ্রন্থ অনুযায়ী জানা গিয়েছে, শিব ঠাকুরের অবির্ভাব হয় এই বাতিস্তম্ভ থেকেই হয়েছিল। বাতিস্তম্ভের মতনই শিবঠাকুরের অবির্ভাব এবং অন্তর্ধানের কোনও বিবারণ জানা যায়নি।