November 25, 2024     Select Language
Editor Choice Bengali KT Popular ধর্ম

রোজ এই মন্ত্র পথে আছে চমকে দেবার শক্তি  !

[kodex_post_like_buttons]
কলকাতা  টাইমস :
রামায়ণে রামের একনিষ্ঠ ভক্ত হলেন মহাবীর হনুমান। রামায়ণে শুধু রামের পাশেই দাঁড়াননি হনুমান, তিনি তাঁর ভক্তদের পাশেও সবসময় থাকেন, এমনই বিশ্বাস তাঁর ভক্তদের। হনুমান চালিশার মন্ত্রোচ্চারণের মধ্যে দিয়ে হনুমানের আরাধনা করলে বিশেষ আশীর্বাদ মেলে! শাস্ত্রে বলে, কবি তুলসীদাস জেলে বসে অবধী ভাষায় লেখেন হনুমান চালিশা৷ হনুমান চালিশা সঙ্গে থাকায় জেলে তুলসি দাসের কোনও কষ্ট হয়নি।
হনুমান চালিশার চল্লিশটি চৌপাইয়ের মধ্যে পাঁচটি চৌপাইয়ে রয়েছে অলৌকিক ক্ষমতা, এমনটাই প্রাচীন পণ্ডিতরা বলে গিয়েছেন৷ এই মন্ত্রোচ্চারণে কষ্ট থেকে রেহাই মিলবে, সমস্ত সমস্যা এবং চিন্তা দূর হবে। সমৃদ্ধিলাভ করাও সম্ভব হনুমান চালিশা পাঠে। তাহলে দেখে নিন হনুমান চালিশা-র মন্ত্রগুলি – হনুমান চালিশা মন্ত্র এবং এর অর্থ
১) ‘শ্রী গুরু চরণ সরোজ রাজ নিজ মানে মুকুরে সুধারি’ নিজের মনকে পরিশুদ্ধ করার পর আমি রঘুকুল বংশের সর্বশ্রেষ্ঠ রাজার খ্যাতি আবৃত্তি করি। যা আমাদের চারটি প্রচেষ্টার ফল দেয়।
২) ‘বুধি হীন তনু জানিকে সুমিরাও পবন কুমার’ নিজেকে কম বুদ্ধিমান মনে করে আমি মহাবীরের কথা মনে করবো যিনি আমাকে শক্তি, জ্ঞান দান করবেন।
৩) ‘জয় হনুমান জ্ঞান গুণ সাগর, জয় কাপেস টিহুন লোক উজাগর’ ভগবান হনুমানের বিজয় তুলে ধরা হয়েছে এখানে।
৪) ‘রাম দূত অতুলিত বাল ধামা অঞ্জনি পুত্র পবন সুত নামা’ শ্রী রামের বার্তাবাহক, অঞ্জনির পুত্র অসীম শক্তিধর।
৫) ‘মহাবীর বিক্রম বজরঙ্গি কুমতি নিভার সুমতি কে সঙ্গী’ অন্ধকার দূর করে শুভবুদ্ধি এনে দেন মহাবীর।
৬) ‘কাঞ্চন বরণ বিরাজ সুবেসা কানন কুন্দল কুঞ্চিত কেশা’ সোনার মতো গায়ের রং, সুবেশা।
৭) ‘হাথ বাজরা অউর ধুবাজে বিরাজে কান্ধে মঞ্জ জনেষু সাজাই’ একটি বিজয় (কেশারি) পতাকা হাতে তাঁর।
৮) ‘শঙ্কর সুভান কেশরী নন্দন তেজ প্রতাপ মহা জাগ ভণ্ডন’ ভগবান শঙ্করের বংশধর, শ্রী কেশরীর গর্ব তিনি।
৯) ‘বিদ্যাবান গুণী অতি চতুর রাম কাজ করিবে ক আতুর’ রামের নির্দেশ বহনকারী, বিদ্যাবান, গুণী হলেন মহাবীর।
১০) ‘প্রভু চরিত্র শুনিবে ক রসিয়া রাম লক্ষণ সীতা মন বসিয়া’ হনুমানজির বুকে থাকেন রাম, সীতা এবং লক্ষণ।
১১) ‘সূক্ষ্মা রূপ ধারী সিয়ানি দিখাবা বিকট রূপ ধারী লঙ্কা জরাভা’ লঙ্কায় আগুন লাগিয়ে দিয়েছিলেন তিনি।
১২) ‘ভীমা রূপ ধারী অসুর সংহারে রামচন্দ্র কে কাজ সম্ভারে’ শ্রী রামের নির্দেশমতো অসুরদের শেষ করেছিলেন হনুমান।
১৩) ‘লায়ে সঞ্জীবন লখন জিয়ায়ে শ্রী রঘুবীর হারাশি ওর লায়ে’ লক্ষণের জীবন বাঁচাতে সঞ্জীবনী এনেছিলেন বীর হনুমান।
১৪) ‘রঘুপতি কিন্হী বহুত বড়াই তুম মুম প্রিয়ে ভারত হি সাম ভাই’ হনুমানকে নিজের ভাই ভরতের সমতুল্য ভালোবাসতেন শ্রী রাম।
১৫) ‘সাহস বাদন তুমহারো যশ গাবে উস কাহি শ্রীপতি কন্ঠ লাগাভে’ হাজার হাজার মানুষ বীর হনুমানের জয়গান করেন।
১৬) ‘সংকাদিক ব্রহ্মাদি মুনেসা নারদ সারদ সহিত আহেসা’ শঙ্কর মতো ভাববাদীরা, এমনকি ভগবান ব্রহ্মার মতো ঋষি, মহোদয় নরদ নিজে, দেবী সরস্বতী এবং অহিশা।
১৭) ‘যম কুবের দিগপাল জাহান তে কভি কবিদ কাহি সকে খান তে’ যমরাজ, কুবের, দিগপালও হনুমানজিকে অর্ঘ্য নিবেদন করেছেন।
১৮) ‘তুম উপকার সুগ্রীভহীন কীন্হা রাম মিলায়ে রাজপদ দীনহা’ আপনি সুগ্রীবের উপকার করেছেন। তাকে শ্রী রামের সাথে এক করে দিয়েছেন এবং তিনি তাকে সিংহাসনে বসিয়েছেন। আপনার পরামর্শ মেনে বিভীষণ লঙ্কার প্রভু হয়েছিলেন। এটি সমস্ত মহাবিশ্বে পরিচিত।
১৯) ‘যুগ সাহাস্ত্র যোজন পার ভানু লীলায় তাহি মধুর ফল জানু’ শত যোজন দূর থেকে সূর্যকে ফল মনে করেন হনুমান।
২০) ‘প্রভু মুদ্রিক মেলি মুখ মাহি জলধি লঙ্ঘি গায়ে আচরাজ নাহি’ প্রভুর আংটি মুখে বহন করে, হনুমান সহজেই সমুদ্রজুড়ে ঝাঁপিয়ে পড়েন।
২১) ‘দুর্গাম কাজ জগৎ কে যেতে সুগম অনুগ্রহ তুম্হারে তেতে’ পৃথিবীর সমস্ত কঠিন কাজের বোঝা মহাবীরের সদয় অনুগ্রহে হালকা হয়ে যায়।
২২) ‘রাম দ্বারে তুম রাখভরে, হোট না আজ্ঞা বিনু পয়সারে’ মহাবীর শ্রী রামের ঐশ্বরিক আবাসের দরজার প্রেরক। তার অনুমতি ব্যতীত কেউ সেখানে প্রবেশ করতে পারে না।
২৩) ‘সব সুখ লাহে তুম্হারি সারনা তুম রক্ষক কাহু কো দার না’ বিশ্বের সব সুখ তোমার পায়ের নিচে। ভক্তরা তোমার পায়ের নিচে শান্তি খুঁজে পান।
২৪) ‘আপন তেজ সামহারো আপাই তিনহো লোক হাঙ্ক তে কোনপাই’ মহাবীর নিজের বীরত্ব নিজেই বহন করেন। তার বজ্রকণ্ঠে গোটা পৃথিবী কাঁপে।
২৫) ‘ভূত পিশাচ নিকট নাহি আভায় মহাবীর যব নাম সুনাভাই’ মহাবীরের নাম শুনলে ভূত পিশাচ পালিয়ে যায়।
২৬) ‘সঙ্কট সে হনুমান চূড়াভাই মন করম বাচান যে লাভাই’ যারা আন্তরিকতা ও বিশ্বাসের সাথে শ্রী হনুমানকে চিন্তায়, কথাতে এবং কর্মে স্মরণ করেন, তারা জীবনের সমস্ত সঙ্কট থেকে উদ্ধার পেয়েছেন।
২৭) ‘সব পর রাম তাপসভী রাজা তিন কে কাজ সকল তুম সাজা’ যাঁরা রামের ওপর ভরসা রাখেন তাঁদের সব সমস্যা দূর করে দেন হনুমানজি। ২৮) ‘অউর মনোরথ জো কোই লাভাই সহি অমিত জীবন ফল পাভই’ কোনও মনোস্কামনা নিয়ে কেউ মহাবীরের কাছে এলে তা পূর্ণ হবে।
২৯) ‘চারণ যুগ পারতাপ তুমহারা হ্যায় পারসিধ জগৎ উজিয়ারা’ চার যুগের সমস্ত সময় জুড়েই, হনুমানের দুর্দান্ত গৌরব সুদূরপ্রসারী প্রশংসিত। তার খ্যাতি পুরো বিশ্বব্যাপী প্রশংসিত।
৩০) ‘সাধু সন্ত কে তুম রাখওয়ারে অসুর নিকানদান রাম দুলহারে’ সাধু সন্তদের রক্ষাকর্তা মহাবীর। অসুরদের নিধন করেন তিনি।
৩১) ‘আস্থা সিদ্ধি নাভ নিধি কে ধাতা উস ভার দীন জানকি মাতা’ হনুমানজি যে কাউকে অষ্ট সিদ্ধি ও নবম নিধির অনুদান দিতে পারেন।
৩২) ‘রাম রসায়ন তুমহারে পাসসদা রহো রঘুপতি কে দসা’ শ্রী রামের প্রতি ভক্তি প্রদর্শনের ক্ষমতা রাখেন মহাবীর।
৩৩) ‘তুমহারে ভজন রাম ক পাভাই জনম জনম কে দুখ বিস্রাবই’ হনুমানের প্রতি ভক্তিতে গাওয়া স্তবগুলির মাধ্যমে, কেউ শ্রী রামকে খুঁজে পেতে পারেন এবং যন্ত্রণা থেকে মুক্ত হতে পারেন।
৩৪) ‘অন্তঃ কাল রঘুবীর পুর যায়ে জাহান জনম হরি ভক্ত কাহায়ে’ মৃত্যুকালে যদি কেউ শ্রী রামের পদযুগলে স্থান পান তাহলে পরের সব জন্মে তিনি মহাবীরের ভক্ত হয়ে জন্মাবেন।
৩৫) ‘অউর দেবতা চিৎ না ধরেহি হনুমান্থ সে হয় সর্বে সুখ করেহি’ শ্রী হনুমানের প্রতি ভক্তিই সমস্ত সুখ দিতে পারে।
৩৬) ‘সঙ্কট কাটে মিতে সব পীরা জো সুমিরাই হনুমাত বলবীরা’ যে শ্রী হনুমানকে শ্রদ্ধা ও স্মরণ করে পৃথিবীর পুনর্জন্মের সমস্ত দুর্ভোগ থেকে মুক্তি পেয়েছে।
৩৭) ‘জয় জয় জয় হনুমান গোসাহীন কৃপা করাহু গুরুদেব কি ন্যাহী’ শ্রী হনুমানকে সর্বোচ্চ গুরু মেনে তার কাছে আশীর্বাদ চান ভক্তরা।
৩৮) ‘জো সৎ বার পথ কারে কোহি ছুঁতেহি বান্ধি মহা সুখ হহি’ এক হাজার বার কেউ চালিশা পাঠ করলে জীবন ও মৃত্যুর বন্ধন থেকে মুক্তি পাবেন।
৩৯) ‘জো ইয়াহ পধে হনুমান চালিশা হোয়ে সিদ্ধি সখি গৌড়ীশা’ প্রতিদিন হনুমান চালিশা পাঠ করলে সব বিপদ থেকে মুক্তি পাবেন।
৪০) ‘পবননাই সঙ্কট হরণ মঙ্গল মূর্তি রূপ’ সব দুর্দশার বিনাশকারী, শুভর প্রতীক মহাবীর। তাঁর বুকে রামের সঙ্গে লক্ষণ ও সীতার বাস।
হনুমান চলিশা পাঠের উপকারিতা 
হনুমান চালিশা পাঠে ভাগ্য ফিরতে পারে আপনার। জেনে নিন হনুমান চালিশা জপের উপকারিতা।
১) দুষ্ট, নেতিবাচক শক্তি দূর হয়ে যায় হনুমান চালিশা পাঠ করলে৷ সমস্ত সমস্যার সমাধান হয়।
২) শনির সাড়ে সাতির বিপদ থেকে আপনাকে বাঁচাতে পারেন বীর হনুমান। নিয়ম করে পাঠ করলে শনির সাড়ে সাতির প্রভাব থেকেও মুক্তি মেলে৷
৩) রাতে অনেকেরই দুঃস্বপ্নে ঘুম ভেঙে যায়৷ হনুমান চালিশা পাঠ করলে দুঃস্বপ্ন আসে না৷ শোওয়ার সময় বালিশের নিচে হনুমান চালিশা রেখে দিলে খারাপ স্বপ্ন আসবে না। অতীতের কোনও খারাপ স্মৃতি অনেককে তাড়া করে বেড়ায়৷ তা থেকেও মুক্তি পেতে পারেন হনুমান চালিশা পাঠ করলে৷
৪) কর্মক্ষেত্রে বাধা বিপত্তি সবার আসে। দিনরাত খেটেও সাফল্য পান না। হনুমান চালিশা পাঠ করলে মহাবীর আপনা সব বাধা দূর করবেন। কর্মজীবনে আসবে সাফল্য৷
৫) দুশ্চিন্তায় ঘুম আসে না? স্ট্রেস এবং মানসিক অবসাদে ভুগছেন? কাজে মন বসছে না? জীবনের সমস্ত চাপ থেকে মুক্তি পেতে পারেন হনুমান চালিশা পাঠে। জীবনকে সঠিক পথে নিয়ে যেতে পারবেন।
৬) অনেকেই গাড়িতে হনুমান চালিশা ও হনুমানজির মূর্তি রাখেন৷ বিশ্বাস করা হয় যে, দুর্ঘটনা আটকে দিতে পারেন মহাবীর। যাত্ৰা শুভ হয়।
৭) যাঁরা জ্ঞানার্জন করতে চান, নিয়ম করে পাঠ করুন হনুমান চালিশা। আধ্যাত্মিক জ্ঞান বাড়াতে সাহায্য করে এটি।
৮) অসৎ সঙ্গে চলে গিয়েছে কাছের মানুষটি, প্রতিদিন তাকে হনুমান চালিশা পাঠ করান। বিপথ থেকে ফিরে আসবে তাড়াতাড়ি।

Related Posts

Leave a Reply