‘শিশু জন্মানো নিষিদ্ধ’ এক দ্বীপে ১২ বছর পর হঠাৎই জন্ম হলো এক শিশুর !

নিউজ ডেস্কঃ
ব্রাজিলের প্রত্যন্ত একটি দ্বীপের বাসিন্দারা ১২ বছর পর কোনো শিশুর জন্মকে উদযাপন করেছে। আইনগতভাবে ফার্নান্দো দে নরোনহা নামের সেই দ্বীপটিতে কোনো শিশুর জন্ম নিষিদ্ধ। সেই আইন ভঙ্গ করেই শনিবার ফুটফুটে একটি কন্যা শিশুর জন্ম দেয় এক তরুণী মা। সংশ্লিষ্ট পরিবার জানিয়েছে, গর্ভধারনের বিষয়টি তারা জানতেন না।
দ্বীপবাসী তো বটেই, শিশুর জন্মে তার বাবা-মাই বেশ চমকে গেছেন। দ্বীপের বাসিন্দা মোটে তিন হাজার। সমৃদ্ধ প্রাকৃতিক জীব-বৈচিত্র্যের কারণে এই দ্বীপটি ২০০১ সাল থেকে ইউনেস্কোর বিশ্ব ঐতিহ্যের তালিকায় রয়েছে। বিরল উদ্ভিদ এবং জীবজন্তু সমৃদ্ধ দ্বীপটি একটি সংরক্ষিত অঞ্চল। দ্বীপটিতে সন্তান প্রসব নিষিদ্ধ থাকায় এতদিন এখানে কোন শিশুর জন্ম হয়নি।
ফার্নান্দো দে নরোনহা দ্বিপটি প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের জন্যেও পরিচিত। দ্বীপটিতে সন্তান প্রসব নিষিদ্ধ কারণ, সেখানে একটি মাত্র হাসপাতালে মায়েদের প্রজনন বিভাগ নেই। তাই গর্ভবতীদের দ্বীপের বাইরের কোন হাসপাতালে নিয়ে যেতে বলা হয়। কোন ধরনের জটিলতা তৈরি হওয়ার ভয়ে সেখানে প্রসবের ওপরে নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। দ্বীপটিতে রয়েছে সুন্দর সমুদ্র সৈকত। রয়েছে ডলফিন, তিমি, বিরল পাখি আর কচ্ছপ সহ আরো নানা প্রাণীর সংরক্ষণ। এসব প্রাণী সংরক্ষণের জন্যেও দ্বীপটিতে জনসংখ্যা কম রাখার ব্যাপারে সরকারি চাপ রয়েছে।