November 22, 2024     Select Language
Editor Choice Bengali KT Popular শারীরিক

কোন কিছু ভাজতে হলেই সরষের তেল মনে পড়ে বুঝি ?

[kodex_post_like_buttons]
কলকাতা টাইমস :
ঠাৎ এমন প্রশ্ন কেন? কারণ সম্প্রতি আমেরিকার “ফুড অ্যান্ড ড্রাগ অ্যাডমিনিস্ট্রেশন” একটি রিপোর্ট প্রকাশ করেছে, যাতে এমনটা দাবি করা হয়েছে যে নিয়মিত সরষের তেল খাওয়া শুরু করলে হার্টের স্বাস্থ্যের এত মাত্রায় উন্নতি ঘটে যে কোনও ধরনের হার্টের রোগে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা একেবারে থাকে না বললেই চলে। আসলে এই তেলটির অন্দরে উপস্থিত “ওলেরিক অ্যাসিড” শরীরে প্রবেশ করার পর এমন খেল দেখায় যে করোনারি হার্ট ডিজিজে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা দূরে পালায়। সরকারি এবং বেসরকারি সংস্থার প্রকাশ করা রিপোর্ট অনুসারে গত কয়েক বছরে যে যে রোগের কারণে সব বেশি সংখ্যক মানুষের মৃত্যু ঘটেছে এদেশে, সেই লিস্টের একেবারে উপরের দিকে রয়েছে হার্টের রোগ। শুধু তাই নয়, “গ্লোবাল বার্ডেন অব ডিজিজ স্টাডি” তে দেখা গেছে প্রতি এক লক্ষ ভারতীয়ের মধ্যে প্রায় ২৭২ জন কোনও না কোনও কার্ডিওভাসকুলার ডিজিজে আক্রান্ত হয়ে মারা যাচ্ছেন। তাই তো বলি বন্ধু, এমন পরিস্থিতিতে ভারতীয়দের আরও বেশি করে সরষের তেলের উপর ভরসা রাখা যে উচিত, সে বিষয়ে কোনও সন্দেহ নেই!
প্রসঙ্গত, নিয়মিত সরষের দিয়ে বানানো নানা পদ খাওয়া শুরু করলে যে কেবল হার্টের স্বাস্থ্যের উন্নতি ঘটে, তেমন নয়। সেই সঙ্গে আরও একাধিক শারীরিক উপাকার পাওয়া যায়। যেমন ধরুন…
১. নানাবিধ সংক্রমণে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা কমে: একাধিক গবেষণায় দেখা গেছে এই তেলটির অন্দরে মজুত রয়েছে প্রচুর মাত্রায় অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল, অ্যান্টি-ফাঙ্গাল এবং অ্যান্টি-ভাইরাল প্রপাটিজ, যা শরীরে প্রবেশ করার পর এমন খেল দেখায় যে কোনও ধরনের সংক্রমণই ধারে কাছে ঘেঁষতে পারে না। এমনকি ডায়জেস্টিভ ট্র্যাক ইনফেকশানের মতো রোগও দূরে থাকে। অল্প বয়সে চুল পেকে যাচ্ছে? জানুন এর কারণ ও সাদা চুল রোধ করার উপায়
২. হজম ক্ষমতার উন্নতি ঘটে: নানা কারণে কি পেটের বারোটা বেজে গেছে? তাহলে নিয়মিত সরষের তেল দিয়ে বানানো নানা পদ খাওয়া শুরু করুন। দেখবেন অল্প সময়েই হজম ক্ষমতার উন্নতি ঘটবে চোখে পরার মতো। আসলে এই তেলটির শরীরে প্রবেশ ঘটা মাত্র হজমে সহায়ক একাধিক রসের ক্ষরণ বেড়ে যায়। ফলে বদহজম বা ওই জাতীয় সমস্যা মাথা চাড়া দিয়ে ওঠার আশঙ্কা যায় কমে।
৩. ভাজা-ভুজির জন্য আদর্শ: আমরা মানে বাঙালিরা যেহেতু বেশিরভাগ খাবারই উচ্চ তাপমাত্রায় রান্না করে থাকি তাই আমাদের জন্য সরষের তেলের কোনও বিকল্প হয় না বললেই চলে। আজকাল অনেকে বাঙালিই স্বাস্থ্যের কথা ভেবে অলিভ ওয়েল ব্যবহার করে থাকেন। কিন্তু একথা জেনে রাখা ভাল যে রকমের খাবার আমরা খেয়ে থাকি তা বানাতে অলিভ অয়েল একেবারেই আদর্শ নয়। কারণ কম তাপমাত্রায় বানানো খাবারে অলিভ অয়েল ব্যবহার করা যেতে পারে। কিন্তু যেসব খাবার বেশি আঁচে বানানো হয়, তাতে অলিভ অয়েল ব্যবহার করলে শরীরের ভাল হওয়ার থেকে খারাপ হয় বেশি।
৪. যে কোনও ধরনের যন্ত্রণা নিমেষে কমে যায়: সরষের তেলে উপস্থিত অ্যান্টি-ইমফ্লেমেটারি উপাদান যে কোনও ধরনের প্রদাহ কমাতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে। বিশেষত মাথা যন্ত্রণা এবং তলপেটের অস্বস্তি কমাতে এই প্রকৃতিক উপাদানটি দারুন কাজে আসে।
৫. ক্যান্সারের মতো মারণ রোগ দূরে রাখে: একাধিক গবেষণায় দেখা গেছে সরষের তেলে উপস্থিত লাইনোলেনিক অ্যাসিড শরীরে প্রবেশ করে এমন খেল দেখায় যে ক্যান্সার সেল জন্ম নেওয়াক আশঙ্কা একেবারে কমে যায়। ফলে ক্যান্সারের মতো মারণ ব্যাধি ধারে কাছেও ঘেঁষতে পারে না। বিশেষত স্টমাক এবং কোলন ক্যান্সারকে দূরে রাখতে এই তেলটির কোনও বিকল্প হয় না বললেই চলে।
 ৬. খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা কমে: একাধিক গবেষণায় দেখা গেছে সরষের তেলে এমন কিছু উপাদান রয়েছে যা খারাপ কোলস্টেরলের মাত্রা কমানোর মধ্যে দিয়ে হার্টের রোগে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা কমায়। সেই সঙ্গে শরীরের প্রতিটি কোণায় যাতে ঠিক মতো রক্ত পৌঁছে যেতে পারে সেদিকেও খেয়াল রাখে।
৭. গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গগুলির ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়: বেশ কিছু স্টাডি অনুসারে সপ্তাহে একদিন সরষের তেল সারা শরীরে লাগিয়ে ভাল করে মাসাজ করলে দেহের প্রতিটি কোনায় রক্তের প্রবাহ বেড়ে যায়। ফলে প্রতিটি গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গের কর্মক্ষমতা বৃদ্ধি পেতে শুরু করে। সেই সঙ্গে দেহের সচলতাও চোখে পরার মতো বেড়ে যায়। এবার বুঝেছেন তো বন্ধু, ছোট বাচ্চাদের কী কারণে তেল মালিশ করানোর পরামর্শ দেন চিকিৎসকেরা!
৮. ওমেগা ত্রি ফ্যাটি অ্যাসিডের ঘাটতি মেটে: বিশ্ব সংস্থার প্রকাশ করা রিপোর্ট অনুসারে সরষের তেল ওমেগা ত্রি এবং ওমেগা ৬ ফ্যাটি অ্যাসিডে সমৃদ্ধি, যা জয়েন্ট পেন এবং ডিপ্রেশনের মতো রোগের প্রকোপ কমাতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে।
৯. ব্রেন পাওয়ার বৃদ্ধি পায়: সরষের তেলে উপস্থিত স্বাস্থ্যকর ফ্যাট স্মৃতিশক্তি বাড়াতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে। সেই সঙ্গে মনোযোগ বৃদ্ধি এবং সার্বিকভাবে মস্তিষ্কের কর্মক্ষমতার উন্নতিতেও সাহায্য করে।

Related Posts

Leave a Reply