জানেন কতটা ভয়ঙ্কর ‘স্পেয়ার টায়ার অবেসিটি’?
কলকাতা টাইমস :
দেহের আকার ও ওজন গড়ের আশপাশেই রয়েছে। কিন্তু পাকস্থলী ও এর আশপাশে অতিরিক্ত ওজন বয়ে বেড়াতে হচ্ছে।
এমন মানুষরা স্থুলকায়দের চেয়ে অনেক বেশি স্বাস্থ্যঝুঁকিতে থাকেন। আমেরিকার বিখ্যাত মায়ো ক্লিনিকের এক দল গবেষকের নতুন গবেষণায় এসব এ কথা বলা হয়।
১৫ হাজার ১৮৪ জন আমেরিকান নারী-পুরুষের ওপর গবেষণা চালান বিশেষজ্ঞরা। এদের সবার গড় বয়স ৪৫ বছর। দেখা গেছে, যে সব পুরুষের স্বাস্থ্য গড়পড়তা, কিন্তু যাদের ভুঁড়ি দুই পাশে বাড়তি চাকার মতো হয়ে গেছে, তাদের মৃত্যুঝুঁকি স্থুলকায়দের চেয়ে অনেক বেশি। এ ক্ষেত্রে নারীদের মৃত্যুঝুঁকি ৪০ শতাংশ বেড়ে যায়। বিজ্ঞানীরা জানান, এ ধরনের স্থূলতাকে বলা হয় ‘স্পেয়ার টায়ার ওবেসিটি’।
বিগত ১৪ বছরের স্বাস্থ্যতথ্য ঘেঁটে দেখা গেছে, স্বাভাবিক ওজনের মানুষের পেট অস্বাভাবিক বড় হলে তারা নানা ঝুঁকিতে থাকেন।
প্রধান গবেষক ড. ফ্রান্সিসকো লোপেজ-জিমিনেজ জানান, স্বাভাবিক ওজনের মানুষের স্থূল পেট থাকলে দীর্ঘমেয়াদে ঝুঁকিপূর্ণ জীবনযাপন করেন তারা। এদের তুলনায় মোটা মানুষদের ঝুঁকি অনেক কম।
দেহের অভ্যন্তরে প্রত্যঙ্গে আশপামে অতিরিক্ত চর্বি জমে এ অবস্থার সৃষ্টি হয়। এটা বিশেষভাবে স্বাস্থ্যের জন্যে ঝুঁকিপূর্ণ। এ ধরনের মানুষের রক্তে গ্লুকোজের মাত্রা বৃদ্ধি, রক্তে ফ্যাট বেড়ে যাওয়া, কোলেস্টরেলের মাত্রা বৃদ্ধিসহ প্রদাহ সৃষ্টির ঝুঁকি বাড়ে।
ব্রিটিশ হার্ট ফাউন্ডেশনের সিনিয়ন কার্ডিয়াক নার্স ক্রিস্টোফার অ্যালেন বলেন, দেহের ওজন নিয়ে সবারই সচেতন হওয়া উচিত। কিন্তু কেবলমাত্র পেট স্থুলকায় হওয়াটাকে অনেকেই পাত্তা দেন না। অথচ এ বিষয়ে বিশেষ সাবধানতা অবলম্বন করা উচিত। দেহের অন্যান্য অংশ স্বাভাবিক থেকে কেবলমাত্র ভুঁড়ি বেড়ে যাওয়াতে হার্ট অ্যাটাক, স্ট্রোকসহ অন্যান্য ঝুঁকি বাড়তেই থাকে।
দৈহিকভাবে ক্রিয়াশীল থাকা এবং স্বাস্থ্যকর খাবার গ্রহণের মাধ্যমে এ অবস্থা থেকে পরিত্রাণ সম্ভব। যদি এ ধরনের সমস্যাতে পড়েই যান, তবে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া শুরু করুন।