এই কারণেই চুপিচুপি মরিশাসে ভারতের সামরিক ঘাঁটি
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গত দুই বছর ধরে ভারত তিন কিলোমিটারের একটি রানওয়ে নির্মাণ করেছে। একই সঙ্গে তারা সেখানে বেশ বড়সড় দুইটি জেটির নকশাও তৈরি করেছে। যা মূলত সামরিক কাজে ব্যবহার করা হবে।
এ ব্যাপারে মরিশাসের আগালেগা দ্বীপের বাসিন্দা ফ্রান্সো পৌলে বলেন, ‘আমরা একটি বিমানবন্দর আর হাসপাতাল চেয়েছিলাম। কিন্তু এত বড় বিমানবন্দর আমরা চাইনি। এই বিমানবন্দর দেখলে আমরা শঙ্কিত হই।’ আগালেগা দ্বীপের বাসিন্দাদের আশঙ্কা দ্বীপটিতে সামরিক ঘাঁটি নির্মাণ হলে হয়ত তাদের সেখান থেকে তাড়িয়ে দেওয়া হবে।
সামরিক বিশ্লেষকেরা বলছেন, দ্বীপটি সম্ভবত ভারতীয় নৌবাহিনী সামুদ্রিক গোয়েন্দা এবং শত্রুপক্ষের ওপর নজরদারির কাজে ব্যবহার করবে।
২০১৮ সালের দিকে বিভিন্ন আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে ভারতের এই গোপন সামরিক ঘাঁটির বিষয়ে খবর বের হয়। কিন্তু মরিশাস ও ভারত দুই দেশের পক্ষ থেকেই এই নির্মাণ প্রকল্প সামরিক কাজে ব্যবহৃত হওয়ার বিষয়টি অস্বীকার করে। দুই দেশ তখন দাবি করেছিল এসব অবকাঠামো সেখানকার বাসিন্দাদের সুবিধার জন্য নির্মাণ হচ্ছে।
যদিও দুই দেশের আনুষ্ঠানিক এই বক্তব্য কোনোমতেই বিশ্বাস করছেন না আগালেগার বাসিন্দারা। যাদের প্রধান জীবিকা মাছ শিকার ও নারকেল চাষ করা। তাদের মতে, ২৫০ মিলিয়ন ডলারের এ প্রকল্প তাদের জন্য এটা তারা বিশ্বাস করে না।
অন্যদিকে আবারও মরিশাস সরকার জানিয়েছে, তারা আগালেগায় ভারতের সঙ্গে সামরিক ঘাঁটি নির্মাণের বিষয়ে কোনো চুক্তি করেনি। প্রসঙ্গত, ২০১৫ সালে ভারত ও মরিশাসের মধ্যে আগালেগার উন্নয়নের জন্য একটি সমঝোতা স্মারক সই হয়েছিল।