শুকায়নি সারদা কাদা, ফের ‘কেলেঙ্কারি’ তে হাজতে শ্যামাপ্রসাদ, দায় এড়ালো তৃণমূল-বিজেপি
কলকাতা টাইমস :
রবিবার সকালে প্রায় ১০ কোটি টাকা প্রতারণার অভিযোগে রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী তথা বিজেপি নেতা শ্যামাপ্রসাদকে গ্রেফতার করে পুলিশ। বিধানসভা নির্বাচনের আগে আগে তৃণমূল ছেড়ে বিজেপি-তে গেলেও গ্রেফতারের পরে শ্যামাপ্রসাদের দায় নিতে নারাজ গেরুয়া শিবির। দলের রাজ্য সহ-সভাপতি রাজু বন্দ্যোপাধ্যায়ের বক্তব্য, ‘‘উনি তো এখন তৃণমূলেই। আমাদের দলে এসেছিলেন এবং ফিরেও গিয়েছেন। সুতরাং, ওঁকে বিজেপি নেতা বলাটা ঠিক নয়।’’
একই সঙ্গে রাজু মনে করাতে চাইলেন যে বিধানসভা ভোটের আগেই শ্যামাপ্রসাদ নিজেই তৃণমূলে আছেন বলে জানিয়েছিলেন। গত ডিসেম্বর মাসে প্রাক্তন মন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারী তৃণমূল ছাড়ার সময়েই একই সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন শ্যামাপ্রসাদ। প্রথম তৃণমূল সরকারের আবাসন, বস্ত্র,নারী ও শিশু-কল্যাণ মন্ত্রী হন শ্যামাপ্রসাদ। বাঁকুড়া জেলার বিষ্ণুপুরের বিধায়ক হয়েছিলেন ২০১১ সালে। জিতেই মন্ত্রিত্ব পান। তবে ২০১৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনে ওই কেন্দ্র থেকেই হেরে যান তিনি। দল অবশ্য তার পরেও বাঁকুড়া জেলা তৃণমূলের সভাপতি করেছিল তাঁকে।
গত ১৫ ডিসেম্বর তৃণমূল ছেড়ে বিজেপি-তে যোগ দেওয়ার সময় শ্যামাপ্রসাদ বলেছিলেন, ‘‘‘আমি দলের সহ-সভাপতির পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছি। দলও ছেড়েছি।
গেরুয়া শিবিরের স্থানীয় নেতারা এমন দাবিও করেন যে, তোলাবাজি, মন্দিরের জায়গা বিক্রি করে দেওয়া, সারদার টাকা নয়ছয় করা, চাকরি দেওয়ার নাম করে টাকা তোলার মতো দুর্নীতির অভিযোগ রয়েছে তাঁর বিরুদ্ধে। এমন দুর্নীতিগ্রস্ত কাউকে দলে নেওয়া যাবে না। এর পরে দলে নেওয়া হলেও শ্যামাপ্রসাদকে কোনও পদ দেওয়া বা বিধানসভা নির্বাচনে প্রার্থীও করেনি বিজেপি।