November 14, 2024     Select Language
৭কাহন Editor Choice Bengali KT Popular

একরকম লুকিয়েই একমাত্র মেয়েকে হার্ভার্ডে পড়তে পাঠান চীনের প্রেসিডেন্ট

[kodex_post_like_buttons]
কলকাতা টাইমস : 
দাদা নাকি আদর করে নাম রেখেছিলেন জিয়াও মুজি। এছাড়াও কূটনৈ’তিক নিরা’পত্তার কারণে ছদ্মনামের আড়ালে মাঝে মাঝে গো’পন থেকেছে তার পোশাকি পরিচয়। জীবনযাপনে ইভাঙ্কা ট্রাম্পের বিপরীত মেরুতে থাকা জি মিংজে প্রচারের আলোয় কার্যত আসতেই চান না। বাইরের দুনিয়া প্রায় জানেই না চীনের প্রেসিডেন্টের একমাত্র মেয়ের নাম।

চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং এবং তার লোকসঙ্গীত শিল্পী স্ত্রী পেং লিউয়ানের মেয়ে জি মিংজে-এর জন্ম ১৯৯২ সালের ২৭ জুন। ঝেজিয়াং বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আন্ডারগ্র্যাজুয়েট স্তরের পড়াশোনা শেষ করে জি পাড়ি দিয়েছিলেন আমেরিকায়, ২০১০ সালে। গন্তব্য হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়। কিন্তু তিনি যে হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ছেন, সে খবর অন্তত দু’বছর পর্যন্ত নির্দিষ্ট স্তরের বাইরে প্রকাশিত হয়নি।

China President Xi Jinping's Daughter Xi Mingze Public Appearance Fact -  China के राष्ट्रपति शी जिनपिंग की खूबसूरत बेटी के छुपने का क्या है राज? |  Patrika News

চূড়ান্ত গো’প’নীয়তার মধ্যে ছদ্মনাম ও পরিচয়ে জি সেখানে পড়াশোনা করেন মন’স্তত্ব এবং ইংরেজি সাহিত্য নিয়ে। জি যখন হার্ভার্ডে যান, তখনও তার বাবা চীনের প্রেসিডেন্ট হননি। কিন্তু জিয়ের দাদা জি ঝোংজুন ছিলেন চীনের কমিউনিস্ট পার্টির প্রভা’বশালী নেতা। মাও সে তুংয়ের শা’সনে গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বে ছিলেন জি ঝোংজুন। ফলে প্রথম থেকেই হার্ভার্ডে চ’র’ম গো’প’নীয়তা পালন করতে হয়েছে জি-কে।

সব সময়ই তাকে ছায়ার মতো অনুসরণ করত বিশেষ নিরা’পত্তার’ক্ষীর বাহিনী। বাইরে সাধারণ ছাত্রীর পরিচয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্লাস করলেও নির্দে’শ মতো বেশি শিক্ষার্থীর সঙ্গে তিনি বন্ধুত্ব করতে পারেননি। অবসর সময়ে জি ভালবাসেন বিভিন্ন বিষয়ের উপর বই পড়তে। ফ্যাশনেও আগ্রহ আছে তার। নব্বইয়ের দশকে জি-এর শৈশবের কিছু ছবি সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছিল। তার পর তিনি চলে যান গো’প’নীয়তার অন্ত’রালে।

সংবাদমাধ্যম বা সোশ্যাল মিডিয়ার কোথাও ছিলেন না তিনি। এখনও যে তাকে বিশেষ প্রকা’শ্যে দেখা যায়, সে রকমও নয়। তার স’ম্ব’ন্ধে তথ্য বা তার ছবি, দুই-ই বি’র’ল। তাকে প্রথম প্রকা’শ্যে স্বপরিচয়ে দেখা যায় ২০১৩ সালে। তার বাবার চীনের প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্বগ্রহণের পরে। বাবা এবং মায়ের সঙ্গে তিনি দেশবাসীকে বসন্তোৎসব এবং নতুন বছরের শুভেচ্ছা জানান।

চীনের ইয়ানান প্রদেশের লিয়াংজিয়াহে গ্রামেও গিয়েছিলেন জি। এই গ্রামেই তার বাবা শি জিনপিং ১৯৬৯ থেকে ১৯৭৫, ছ’বছর কা’টিয়েছিলেন। সে সময় দল থেকে দূরে সরে তাকে সমাজসেবামূলক কাজ করতে হয়েছিল। চীনের সংবাদমাধ্যমে জি সম্বন্ধে যেটুকু বিবরণ প্রকাশিত হয়েছে, সেখানে তাকে সরল এবং মার্জিত তরুণী বলে বর্ণনা করা হয়েছে, যিনি সমাজের জন্য গুরুত্বপূর্ণ।

ছোট থেকেই সামাজিক কাজে আগ্রহ দেখিয়েছেন জি। সংবাদমাধ্যমে জানিয়েছেন তার মা পেং। ২০০৮ সালে বি’ধ্বং’সী ভূ’মিক’ম্প হয়েছিল চীনের সিচুয়ান প্রদেশে। সে সময় ষোড়শী জি স্কুলে আবেদন করেছিলেন ছুটির জন্য। যাতে তিনি সিচুয়ানে গিয়ে উ’দ্ধা’রকাজে সামিল হতে পারেন। জি-এর এই উদ্যোগে পূর্ণ সম্মতি ছিল তার বাবা মায়ের। পেং পরে জানিয়েছিলেন, সিচুয়ানের অভি’জ্ঞতা তার মেয়েকে জীবনসং’গ্রামের পথে তৈরি হতে সাহায্য করেছিল।

ইতিমধ্যেই জি-কে তার বাবার উত্তরসূরি বলা হচ্ছে। শোনা যায়, পারিবারিক ধা’রা মেনে তিনিও রাজনীতিতে পা রাখবেন। কিন্তু বেশ কিছু মার্কিন ও তাইওয়ানের সংবাদমাধ্যমে আবার উ’ল্টো সুরও শোনা যায়। সেখানে প্রকাশিত প্রতিবেদনে দাবি, জি নাকি চীনের জীবন থেকে বেশি পছন্দ করেন মার্কিন শহর ম্যাসাচুসেটসে কা’টানো দিনগুলো। মেয়ের ইচ্ছের কাছে হা’র মেনে চীনের প্রেসিডেন্ট নাকি তাকে আবার আমেরিকায় ফিরে পড়াশোনা করার অনুমতি দিয়েছেন।

প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং নিজে কোনও দিন চীনের বাইরে গিয়ে থাকেননি। তার পড়াশোনার পর্বও সম্পূর্ণ কে’টেছে নিজের জন্মভূমিতেই। অথচ তার দুই পূর্বসূরি নেতা জিয়াং জেমিন (চীনের প্রেসিডেন্ট পদে ১৯৯৩-২০০৩) এবং ডেং জিয়াওপিং দু’জনেই সাবেক সোভিয়েত রাশিয়ায় গিয়েছিলেন উচ্চশিক্ষার জন্য। জিয়াওপিং তো কয়েক বছর কাটিয়েছেন ফ্রান্সেও। কিন্তু শি জিনপিং কোনও দিন চীনের বাইরে থাকতে আগ্রহী ছিলেন না।

শোনা যায়, এই কারণে নাকি প্রথম স্ত্রীর সঙ্গে তার বিবাহবি’চ্ছে’দ অবধি হয়ে গিয়েছিল। কারণ তার প্রথম স্ত্রী কে লিংলিং চীন ছেড়ে ব্রিটেনে গিয়ে থাকতে চেয়েছিলেন। লিংলিংয়ের সঙ্গে তিন বছরের দাম্পত্য শেষ হয়ে যায় ১৯৮২ সালে। তার পাঁচ বছর পরে পেং লিউয়ানকে বিয়ে করেন শি জিনপিং। তবে বিশ্বের অন্যতম ক্ষ’মতাবান এবং প্রভা’বশালী এই রাষ্ট্রনেতা তার মেয়ের ব্যক্তিগত জীবনকে পর্দার আ’ড়ালে রাখতেই পছন্দ করেন। ফলে, তার একমাত্র মেয়ে এখন কোথায় আছেন এবং কী করছেন তা অ’ধ’রাই বাইরের বিশ্বের কাছে। হয়তো প্রকা’শ্যে তখনই আসবে, যখন তারা চাইবেন।

Related Posts

Leave a Reply